বুধবার, ১৩ জুন, ২০১২

সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার টোকিওতে!

জাপানের টোকিওতে ২২ মে থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত হয়েছে `টোকিও স্কাইট্রি' নামের ৬৩৪ মিটার উঁচু একটি টাওয়ার। সুচালো আকৃতির টাওয়ারটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র।
১৯৬০ সালে নির্মিত টোকিও টাওয়ারের চেয়ে দ্বিগুণ উচ্চতার এই টাওয়ারটি নির্মাণ করতে সাড়ে তিন বছর সময় লেগেছে। এক খবরে বিবিসি জানিয়েছে, টোকিওতে টিভি সম্প্রচার করা হবে এই টাওয়ার ব্যবহার করে। জাপানের টেলিভিশন সম্প্রচার সেবা এনএইচকে ওয়ার্ল্ড আগামী বছর থেকে টাওয়ারটিকে তাদের সম্প্রচার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবে। বর্তমানে টাওয়ারটি ব্যবসায়িক কমপ্লেক্স হিসেবেও ব্যবহূত হচ্ছে। এটি প্যারিসে অবস্থিত আইফেল টাওয়ারের চেয়েও প্রায় দ্বিগুণ উঁচু।
উলে্লখ্য, দুবাইতে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার বুর্জ খলিফার উচ্চতা ৮২৮ মিটার।
ভূমিকম্প-প্রতিরোধী এই টাওয়ারটির ৩৫০ মিটার ও ৪৫০ মিটার উচ্চতায় থাকছে দুটি পর্যবেক্ষণের স্থান। টাওয়ারটির লিফট ব্যবহার করে প্রথম পর্যবেক্ষণের স্থানটিতে পঁেৌছাতে সময় লাগে ৫০ সেকেন্ড। প্রথম ডেকটিতে প্রায় দুই হাজার মানুষ ধরে এবং দ্বিতীয় ডেকে ধরে ৯০০ জন।
টাওয়ারটিতে প্রথম দিনে নির্বাচিত আট হাজার দর্শনার্থী পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন। ২২ মে দর্শনার্থী দুই লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেই জানিয়েছে এনএইচকে।Suvro

ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক মশারি-পোশাক!

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে ম্যালেরিয়ার কারণে সারা বিশ্বে প্রতিবছর সাড়ে ছয় লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ও ফ্যাশন দুটো ঠিক রাখতেই সম্প্রতি মশারিসদৃশ পোশাক তৈরি করেছেন গবেষকেরা। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সম্প্রতি ম্যালেরিয়াপ্রতিরোধী প্রযুক্তি-পোশাক তৈরি করেছেন। এক খবরে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট জানিয়েছে, হুডযুক্ত এই `মশারি' পোশাক তৈরিতে ফেব্রিকসের সঙ্গে মেশানো হয়েছে শক্তিশালী কীটনাশক।
ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে হুডিযুক্ত এই পোশাক তৈরিতে কাজ করেছেন আফ্রিকার দুজন গবেষক। ফ্যাশনে ব্যবহূত রঙিন হুডযুক্ত পোশাক হাতে রং করা হয়। গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই কীটনাশকযুক্ত মশারি-পোশাক দিনের বেলায় মশার কামড় থেকে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেবে। এই পোশাক যথষ্টে মজবুত এবং এর মশা থেকে দূরে রাখার ক্ষমতাও দীর্ঘস্থায়ী।
কর্নেল ইউনিভার্সিটির ফাইবার সায়েন্স অ্যান্ড অ্যাপারেল ডিজাইনের (এফএসএডি) গবেষক ফ্রেডেরিক ওচান্দা জানিয়েছেন, `আমাদের তৈরি ফেব্রিকসের বন্ধন খুবই মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী। এই ফেব্রিকস এমন একটি দ্রবণে ডুবানো হয়, যা ব্যবহূত কীটনাশকের ক্ষেত্রে দীর্ঘ স্থায়িত্ব এনে দেয়। সাধারণ মশকরোধী জালের চেয়ে এই পোশাক তৈরিতে কাজ করা হয়েছে ন্যানো স্তরে। কটন ফেব্রিকসের সঙ্গে মিথাইল প্যারাথিয়নের বন্ধন মজবুত করতে মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্ক (এমওএফ) নামের ক্রিস্টাল যেৌগ ব্যবহার করা হয়েছে। মশারোধী জালগুলো যেখানে ছয় মাসের মধ্যেই কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে, সেখানে গবেষকদের দাবি, তঁাদের তৈরি পোশাক ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং বেশিদিন কীটনাশকের কার্যকারিতা ধরে রাখবে।
ওচান্দা জানিয়েছেন, আলো ও তাপমাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে মশারি-পোশাকের কার্যকারিতারও পরিবর্তন ঘটতে থাকে। রাতের বেলা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে এই পোশাক।
বর্তমানে আফ্রিকা ও এশিয়ার মশাগুলো ক্রমেই কীটনাশক-প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। তাই মশা থেকে দূরে থাকতে নতুন প্রযুক্তির প্রয়োজন। ম্যালেরিয়া-প্রতিরোধী প্রযুক্তি হিসেবে মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্ক (এমওএফ) ব্যবহার করে আরও উন্নত মশারি তৈরির বিষয়ে আশাবাদী বলেই গবেষকেরা জানিয়েছেন। তঁাদের বক্তব্য, ফ্যাশন ও বিজ্ঞান একজোট হলে নতুন কিছু করা সম্ভব ও নতুন প্রযুক্তির দিকে যাওয়া সম্ভব।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মশারি-পোশাক নিয়ে কর্নেল ফ্যাশন কালেকটিভ একটি ফ্যাশন শোর আয়োজন করেছিল।Suvto

সন্তানের ওপর নজরদারি করবে `সিমকার্ড'

সন্তান কার কাছে ফোন করছে, কোন কোন ওয়েবসাইট দেখছে-যেসব অভিভাবক এ বিষয়গুলো কঠোরভাবে নজরদারি করতে চান, তঁাদের জন্য মোবাইলের সিমকার্ড-নির্ভর একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেমিলো সিস্টেমস নামের একটি মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। এক খবরে জানিয়েছে বিবিসি।
সিমকার্ড-নির্ভর এই প্রযুক্তিটি ভোডাফোন নেটওয়ার্কে চালু হবে। এ সেবাটির মাধ্যমে সন্তানের ওপর নজরদারির পাশাপাশি নির্দষ্টি সময়ে তাদের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কল করা, মেসেজ পাঠানো, ইন্টারনেট ব্রাউজ করার বিষয়টিও দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
অভিভাবকের চোখ এড়িয়ে এই প্রযুক্তিটিকে বন্ধ রাখা সম্ভব হবে না। সার্ভিসটি পেতে সিমকার্ডসহ `সেফটি প্যাক' সেবাটি কিনতে হবে এবং মোবাইল ফোনে তা ইনস্টল করতে হবে। মাসিক নির্দষ্টি খরচের বিনিময়ে চালু থাকবে বেমিলোর এই সার্ভিসটি। সব ধরনের নেটওয়ার্কে এই সেবা চালু থাকবে। মোবাইল ফোন ও ট্যাবলেটে অভিভাবক নির্দষ্টি ওয়েবসাইট ও ফোন নম্বর এবং নির্দষ্টি সময় ঠিক করে দিতে পারবেন এবং অভিভাবকেরা সন্তানের পাঠানো ই-মেইল ও মেসেজ পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন।Suvro

ই-মেইলটি কোন আইপি ঠিকানা থেকে এসেছে?

আপনার ই-মেইল ঠিকানায় একটি মেইল এসেছে। কীভাবে জানবেন সেটি কোথা থেকে এসেছে, মানে কোন আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানা থেকে এসেছে?
ইয়াহুর ক্ষেত্রে: ইয়াহুর ক্লাসিক সংস্করণের ক্ষেত্রে মেইলে ক্লিক করে সবার নিচে ডান দিকে Full Headers-এ ক্লিক করুন। আর নতুন সংস্করণের ক্ষেত্রে মেইলের বিষয়ের ডান ক্লিক করে সবার নিচে View Full Header অপশনটিতে ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে নিচের দিকে দেখবেন লেখা আছে Received: from []. এই আইপি ঠিকানাটিই হলো সেন্ডারের আইপি ঠিকানা।
জিমেইলের ক্ষেত্রে: ইনবক্সের কোনো একটি ই-মেইল ওপেন করে ডান পাশের Reply-এর পাশের অ্যারোতে ক্লিক করে Show Original-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে নিচের দিকে দেখবেন লেখা আছে Received: from []. এই আইপি ঠিকানাটিই হলো সেন্ডারের আইপি ঠিকানা।
এখন ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে http://www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সট বক্সে পেস্ট করে IP Whois বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে জানতে পারবেন ওই আইপি ঠিকানাটি কোন ইন্টারনেট সেবাদাতার, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি।
ওপরের পদ্ধতি অনুসারে আইপি ঠিকানা খুঁজতে সমস্যা হলে ইয়াহু থেকে Full Header পেইজের লেখাগুলো কপি করে বা জিমেইল থেকে Show Original পেইজের লেখাগুলো কপি করে http://www.ip-adress.com/trace_email/ ঠিকানায় গিয়ে To Trace An Email বক্সে পেস্ট করে Trace Email Sender বাটনে ক্লিক করে বিস্তারিত জানতে পারবেন। একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।Suvro

আসছে অদৃশ্য টেলিভিশন!

প্রযুক্তির উৎকর্ষে কতই না তাক লাগানো জিনিস উদ্ভাবন করা হচ্ছে! আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় ভবিষ্যতে এমন এক টেলিভিশন আসছে, যা বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে ভ্যানিশ বা অদৃশ্য হয়ে যাবে। এর পর্দা হবে বর্তমান প্রচলিত টেলিভিশনের চেয়ে অনেক বেশি পাতলা এবং টেকসই। একমাত্র ‘টুলেড’ প্রযুক্তির সাহায্যেই এ ধরনের টেলিভিশন তৈরি সম্ভব হচ্ছে। বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন পাতলা প্যানেল তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। তবে এই প্রযুক্তিটি এখনই বাস্তবায়িত হচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে শুধু ‘লোয়েউই’ কোম্পানির টেলিভিশনে ‘টুলেড’ পর্দা ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১১ সালে মাইকেল ফ্রাইয়েবি এই প্রযুক্তির একটি টেলিভিশন তৈরি করে আইএফ ডিজাইন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। এটি সেরা উদ্ভাবনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়েছিল।
উদ্ভাবক ফ্রাইয়েবি বলেন, তিনি লোয়েউই ইনভিসিও প্রচলিত এলসিডি এবং সর্বাধুনিক টুলেড ডিসপ্লে প্রযুক্তিতে এবার একটি নতুন ধরনের উদ্ভাবন এনেছেন। মজার ব্যাপার হলো, এই টেলিভিশনের পর্দায় অস্বচ্ছ যেকোনো ছবি পরিষ্কারভাবে দেখা যাবে। ছবির মান হবে অনেক উন্নত। সাদা-কালো ছবি থেকে শুরু করে রঙিন সব ধরনের ছবিই এই প্রযুক্তিতে সম্পূর্ণ উজ্জ্বল পরিসরে দেখা সম্ভব হবে।
‘লোয়েউই’ কোম্পানির টেলিভিশনে এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার অবাক হওয়ার মতো কিছু নয়। কারণ, ১৯৯৮ সালে যখন আইটিউনস কিংবা ইউটিউবের অস্তিত্ব ছিল না, তখন তারা ইন্টারনেট সংযুক্ত টিভি তৈরি করেছে। তা ছাড়া এই কোম্পানির কনসেপ্ট ডিজাইনের প্রায় সবগুলোই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত সেট। ঠিক কবে নাগাদ অদৃশ্য হয়ে যাওয়া এই টিভি সেট বাজারে আসবে, তা বলা যাচ্ছে না। তবে আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগির ড্রইংরুমে এ ধরনের টেলিভিশন শোভা পাবে। —ডেইলি মেইল ও টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে Suvro

‘ফেসবুকে বয়সের বাধ্যবাধকতা থাকছে না’!

সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৩ বছর। সম্প্রতি এক খবরে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সানডে টাইমস জানিয়েছে, ফেসবুক ব্যবহারকারীর জন্য আর কোনো নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকছে না।
অর্থাত্ শিশু থেকে শুরু করে সবার জন্যই উন্মুক্ত হবে ফেসবুক। যুক্তরাজ্যে ফেসবুকের নীতিনির্ধারকদের প্রধান সিমন মিলনারকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য দিয়েছে সানডে টাইমস। মিলনার জানিয়েছেন, ফেসবুক ব্যবহারের নীতিমালায় পরিবর্তন বিষয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে সামাজিক যোগাযোগের এই ক্ষেত্রটি। তিনি বলেন, ‘দেখা গেছে, অনেক মা-বাবা তাঁদের সন্তানকে ফেসবুকে দেখে খুশি হন। তাই আমরা সবার জন্য ফেসবুক উন্মুক্ত করে বিষয়টি মানুষ কীভাবে নেয়, সেটাই পরীক্ষা করে দেখতে চাই।’
এদিকে মিলনারের মন্তব্য নিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এখনো বিষয়টি সরাসরি বাতিল করেনি। ফেসবুকের বক্তব্য হচ্ছে, তারা সব সময় শিশুদের নিরাপদ রাখতে কাজ করেছে এবং তাঁদের নীতিমালায় এ বিষয়টি সব সময়ই থাকবে।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ সব সময় শিশুদের ফেসবুক ব্যবহারের পক্ষে। তাঁর মতে, শিক্ষার কাজে সব শিশুকেই ফেসবুক ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পরিষ্কারভাবে ঘোষণা না দিলেও তাঁরা যে আগে বা পরে যেকোনো সময় সবার জন্যই ফেসবুক উন্মুক্ত করবে, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।Suvro

‘সামাজিক’ হচ্ছে মাইক্রোসফট

ফেসবুক, গুগলের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের দৌড়ে শামিল হয়েছে মাইক্রোসফটও। সম্প্রতি ‘সোশ্যাল’ নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ফেসবুক ও গুগল প্লাসের মতো সরাসরি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট নয় বা এ দুটি সাইটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেও আসেনি মাইক্রোসফটের ‘সোশ্যাল’। এক খবরে বিবিসি জানিয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে সামাজিক যোগাযোগের সোশ্যাল সাইটটিকে কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করেছে মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফটের ফিউজ ল্যাব তৈরি করেছে এই সামাজিক যোগাযোগের নতুন এ মাধ্যমটি। আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষামূলকভাবে সাইটটি ব্যবহার করতে পারবেন। একই বিষয়ে আগ্রহীরা তাঁদের পরস্পর যোগাযোগ বাড়াতে এবং শিক্ষামূলক কাজে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করতে পারবেন। ফেসবুকের পরিচিতি ব্যবহার করেই সোশ্যালে নিবন্ধন করা যাবে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, সোশ্যাল ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় তথ্যবিনিময় ও বিভিন্ন তথ্য খুঁজতে পারবে। এ জন্য সোশ্যালে সার্চ ও শেয়ারের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকের মতোই অনেক ফিচার রয়েছে সোশ্যালে। ফেসবুকের মতোই শেয়ার, কমেন্ট, ট্যাগ করার সুবিধা থাকছে। ওয়েবসাইটটির ঠিকানা- so.cl/             Suvro

চলে গেলেন রিমোট কন্ট্রোলারের উদ্ভাবক

টেলিভিশনের রিমোট কন্ট্রোলারের উদ্ভাবক ইউজিন পলি মারা গেছেন। জেনিথ ইলেকট্রনিকসের মুখপাত্র জন টেলরের বরাতে ইয়াহু অনলাইন জানিয়েছে, বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ২০ মে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর একটি হাসপাতালে ৯৬ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি। ইউজিন প্রকৌশলী হিসেবে জেনিথ ইলেকট্রনিকসে কাজ করতেন ।
১৯৫৫ সালের আগ পর্যন্ত নব ঘুরিয়ে টেলিভিশনের চ্যানেল পরিবর্তন করতে হতো। ১৯৫৫ সালে ইউজিন ‘ফ্ল্যাশ-ম্যাটিক’ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করার পর তারবিহীন পদ্ধতিতে দূর থেকেই টেলিভিশন চালানোর পথ খুলে যায়।
ফ্ল্যাশ-মেটিক নামের এ যন্ত্রটি স্ক্রিনে থাকা ফটো সেলের দিকে আলো ছুড়ে দিত। যার মাধ্যমে টেলিভিশন সেটটি চালু, বন্ধ ও চ্যানেল পরিবর্তন করা যেত। জেনিথ টেলিভিশন কিনলে তাঁর সঙ্গে এই যন্ত্রটি পেতেন ক্রেতারা। ফ্ল্যাশ-ম্যাটিকের পরিচিতি হয়ে উঠেছিল বিলাসপণ্য হিসেবে।
১৯১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ইউজিন পলি। ১৯৩৫ সালে একজন প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন পলি। জেনিথে তিনি ৪৭ বছর কাজ করেছেন এবং ১৮টি মার্কিন পেটেন্টের মালিক ছিলেন। রিমোট কন্ট্রোলার ছাড়াও রাডার প্রযুক্তির উন্নয়ন, অটোমোবাইল ও বেতারের পুশ-বাটন তৈরিতেও তাঁর অবদান ছিল।
১৯৯৭ সালে ইউজিন পলি এবং জেনিথের আরেকজন প্রকৌশলী রবার্ট অ্যাডলার রিমোট কন্ট্রোলার তৈরিতে অবদানের জন্য অ্যামি সম্মাননা পান। ২০০৯ সালে ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স নামের প্রতিষ্ঠান থেকেও পুরস্কৃত হন তিনি।
মজার বিষয় হচ্ছে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিজের উদ্ভাবিত রিমোট কন্ট্রোলারই ব্যবহার করতেন ইউজিন। যদিও তাঁর বাড়িতে ফ্ল্যাট স্ক্রিন টেলিভিশন ও আধুনিক রিমোট কন্ট্রোলারও ছিল।Suvro

স্পর্শ ছাড়াই ‘লিপ’ জাদু !

স্পর্শ ছাড়া কেবল আঙুলের ইশারায় কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণের জন্য ইউএসবি সদৃশ নতুন একটি ডিভাইস তৈরি করেছে সানফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান লিপ মোশন।
জেশ্চার প্রযুক্তি বা অঙ্গভঙ্গি শনাক্তকারী এই ডিভাইসটির নাম ‘লিপ’। এক খবরে হাফিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ইউএসবি সদৃশ লিপ ডিভাইসটিকে কম্পিউটারে যুক্ত করা হলে দূর থেকে হাতের ইশারায় কম্পিউটার চালানো যাবে।
উল্লেখ্য, এ ধরনের প্রযুক্তি টম ক্রুজ অভিনীত স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালিত ‘মাইনরিটি রিপোর্ট’ চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছিল।
জেশ্চার বা অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে কম্পিউটার চালনার ধারণা অবশ্য একেবারে নতুন নয়। এক্সবক্স কাইনেক্ট ও নিনটেনডো উয়ি গেম কনসোলে এই প্রযুক্তি রয়েছে। লিপ মোশন জানিয়েছে, গেম কনসোলের ক্ষেত্রে স্ক্রিনের ওপরে সেন্সর রাখতে হয়। কিন্তু লিপ ডিভাইসটি ইউএসবির ডিভাইসের মতো কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্টে লাগিয়ে দিলেই চলবে। ছোট এই ডিভাইসটি নিখুঁতভাবে প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি শনাক্ত করতে সক্ষম বলেই লিপ মোশনের দাবি।Suvro

‘সেভেন সামুরাই’ রিমেকে টম ক্রুজ

জাপানের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র-নির্মাতা আকিরা কুরোসওয়ার ‘সেভেন সামুরাই’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৪ সালে। এর ছয় বছর বাদে ছবিটির হলিউডের রিমেক ‘দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’ তৈরি করেন মার্কিন চিত্রনির্মাতা জন স্টার্জেস। এবার কুরোসওয়ার সেভেন সামুরাই অবলম্বনে নির্মিত ‘দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’-এর একটি রিমেক ছবি তৈরির পরিকল্পনা করেছে এমজিএম। সবকিছু ঠিক থাকলে ছবিটিতে অভিনয় করবেন ‘মিশন ইম্পসিবল’ তারকা টম ক্রুজ।
শিগগিরই পুরোদমে ছবিটির কাজ শুরু করতে চায় এমজিএম। এই মুহূর্তে ছবিটির চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক নির্বাচনের কাজ চলছে। তবে এরই মধ্যে ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন টম ক্রুজ। ছবিটিতে ভাড়াটে এক বন্দুক যোদ্ধার চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।
‘দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’ ছবিটির প্রধান সাতটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ইয়্যুল ব্রাইনার, স্টিভ ম্যাকুইন, চার্লস ব্রনসন, জেমস কোবার্ন, রবার্ট ভগ, ব্র্যাড ডেক্সটার এবং হর্সট বাখলজ।
ছবির কাহিনিতে রয়েছে মেক্সিকোর একটি গ্রামে কালভেরা নামের এক ডাকাত সর্দারের তার দলবল নিয়ে বারবার ডাকাতি করে। ডাকাতি করে চলে যাওয়ার সময় তারা প্রতিবার বলে যায় যে, আবারও তারা গ্রাম লুটতে আসবে। অতিষ্ঠ হয়ে ডাকাতের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাতজন বন্দুক যোদ্ধার একটি দলকে ভাড়া করে গ্রামবাসীরা।Suvro

RAR ফাইল খুলুন সহজে

ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ফাইল নামানোর (ডাউনলোড) সময় সেটি RAR ফাইল আকারে থাকে, যা খুলতে RAR ফাইল ওপেনার অথবা উইনরার সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয়। তবে সাধারণত winRAR সফটওয়্যারটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ ৩০ দিন পর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তাই এটা ব্যবহার করতে সমস্যা হয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে RAR Extract frog সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা যাবে। বিস্তারিত জানতে এবং সফটওয়্যারটি বিনা মূল্যে নামানো যাবে www.topchoice24.blogspot.com/search/label/Software ঠিকানা থেকে।Suvro

পরীক্ষাগারে তৈরি হচ্ছে হূদপেশি

এবারে গবেষকেরা সত্যিকার অর্থেই ভাঙা হূদয় জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছেন! সম্প্রতি রোগীর দেহকোষ ব্যবহার করে পরীক্ষাগারে অধিক কার্যকর হূদপেশি তৈরিতে সফল হয়েছেন ইসরায়েলের একদল গবেষক।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকের পরে হূৎপিণ্ডের নষ্ট হয়ে যাওয়া পেশিগুলো মেরামত করা সম্ভব। তাঁরা জানিয়েছেন, স্টেম সেল বা ভ্রূণ কোষ ব্যবহার করে চিকিৎসায় হার্ট বা হূৎপিণ্ডকে আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
এক খবরে বিবিসি জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা ভ্রূণ কোষ ব্যবহার করে নতুন পেশি তৈরির মাধ্যমে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন। চিকিৎসকদের বক্তব্য, এখন বাইপাস সার্জারি করে হার্ট অ্যাটাকের পরে বেঁচে থাকা কোষগুলোর মৃত্যু ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু যে অংশ হার্ট অ্যাটাকের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সে অংশে ভ্রূণ কোষ ব্যবহার করে ওই মৃত অংশকেও বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। এর ফলে কোষগুলো আবারও নতুন জীবন লাভ করে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, ভ্রূণ কোষ ব্যবহারের ফলে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে ওঠার পরে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব হবে।
ইসরায়েলের রামবান মেডিকেল সেন্টারের গবেষকেরা তাঁদের সাম্প্রতিক গবেষণায় দুজন হূদরোগীর দেহকোষ সংগ্রহ করে এ কোষের জিনগুলোর মিশ্রণ ঘটিয়েছেন এবং ভ্রূণ কোষ গবেষণায় সফল হয়েছেন। তাঁরা নতুন যে কোষ তৈরি করেছেন, তা প্রাণীদেহে পরীক্ষা করে দেখেছেন। গবেষকেরা আশা করছেন মানুষের ক্ষেত্রেও এ পদ্ধতি কাজে লাগবে। তবে, এ ক্ষেত্রে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলেই মনে করছেন গবেষক লিওর গেপসটিন।Suvro

ক্যালসিয়ামের বড়িতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি

হাড়ের ক্ষয় রোধ করার জন্য যে ক্যালসিয়াম বড়ি বা ক্যাপসুল খাওয়া হয়, তাতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। সম্প্রতির জার্মানির একদল গবেষকেদের বরাতে বিবিসি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে।
‘হার্ট’ নামের একটি জার্নালে এ গবেষণার ফলাফল জানিয়ে বলা হয়েছে, শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে বাড়তি ব্যবস্থা হিসেবে যাঁরা ক্যালসিয়াম বড়ি খান, তাঁদের অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।
জার্মান ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারের গবেষকেরা এক দশক ধরে ২৩ হাজার ৯৮০ জন ব্যক্তির মধ্যে পর্যবেক্ষণ করে এ গবেষণা চালিয়েছেন।
গবেষকেরা পরামর্শ দিয়েছেন, যাঁরা উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান; তাঁদের বাড়তি ঝুঁকি থাকে না। তাই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ও যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব। দুধ ও সবুজ শাক-সবজিতে অন্যান্য খাদ্য উপাদানের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টিগুণ ও ক্যালসিয়াম থাকে।Suvro

স্কাইপিতে আড়ি পাতবে এফবিআই

ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) সম্প্রতি ইন্টারনেট-ব্যবস্থা ও স্কাইপিতে আড়ি পাতার ব্যবস্থা করেছে। এক খবরে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে, পাঁচ কোটি ডলার খরচ করে চার বছর ধরে স্কাইপি ও ইন্টারনেট যোগাযোগব্যবস্থার নজরদারির জন্য একটি বিশেষ বিভাগ গড়ে তুলেছে এফবিআই। যুক্তরাষ্ট্রের ডোমেস্টিক কমিউনিকেশনস অ্যাসিসটেন্স সেন্টার (ডিসিএসি), এফবিআই ও ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি মিলে বিশেষ যে হার্ডওয়্যার তৈরি করছে, তা তারবিহীন ব্যবস্থার মাধ্যমে আড়ি পাততে সক্ষম হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাটির দাবি, নতুন এই ব্যবস্থায় অপরাধীদের উত্স খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। এ বছরের জানুয়ারি মাসে ফেসবুক থেকে অপরাধীর তথ্য পেতে ও ওয়েবসাইটটিকে নজরদারির আওতায় রাখতে বিশেষ প্রোগ্রাম তৈরির কথা জানিয়েছিল এফবিআই।Suvro

চারপেয়ে উভচরের রহস্য আরও বাড়ল!

পৃথিবীতে মাটির ওপরে সর্বপ্রথম যে প্রাণীগুলোর পা পড়েছিল, সেগুলোর মধ্যে সম্ভবত চারপেয়ে উভচর প্রাণীদের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। এক খবরে বিবিসি জানিয়েছে, ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের গবেষকেরা কম্পিউটারের থ্রিডি মডেল ব্যবহার করে দেখিয়েছেন, ৩৬ কোটি বছর আগের যে চারপেয়ে প্রাণীর অস্তিত্ব কল্পনা করা হয়, তা সম্ভবত ঠিক নয়।
পাঠ্যপুস্তকে লেখা চারপেয়ে স্যালামান্ডারদের কোনো অস্তিত্ব তখন ছিল না, বরং সে সময় পানি থেকে সামনের দুই পা ব্যবহার করে হামাগুড়ি দিয়ে চলত এরা। বিবর্তনের ক্ষেত্রে উভচর জীবনযাপনে অভ্যস্ত প্রাণীগুলোর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার’ সাময়িকীতে।
‘ফিডপড’ নামের মাছ ও উভচর প্রাণীর বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রাণীর ফসিল বা জীবাশ্ম পরীক্ষা করে এ তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা। এই ধরনের জীবাশ্মকে বলে ‘ইস্থাস্টোজিয়া’। এ ধরনের প্রাণী ৩৬ কোটি বছর আগে বাস করত বলে গবেষকেরা ধারণা করেন।
গবেষকেরা কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে দেখেছেন, ট্রেটরাপড গণের এই প্রাণীগুলো বেশির ভাগ সময় পানির নিচেই কাটাত। এরপর একসময় সেগুলো সামনের দুটি পা ও পেছনের পাখনা ব্যবহার করে হামাগুড়ি দিয়ে মাটির ওপরে চলে আসে এবং সেখানে সময় কাটাতে শুরু করে। কিন্তু এর আগে গবেষকেরা ধারণা করতেন যে এ সময়কার প্রাণীগুলো চারপেয়ে উভচর ছিল এবং সে অনুসারেই বিভিন্ন জাদুঘরে সে সময়কার জীবাশ্মগুলো এভাবে সাজানো হয়েছে।
নতুন এই গবেষণার ফল আবারও গবেষকদের আদিম উভচর প্রাণীর জীবাশ্ম নিয়ে কাজ করতে উত্সাহ দেবে।Suvro

কাঠের বাতি!

সম্প্রতি জাপানের নকশাবিদেরা কাঠ-নির্মিত বিশেষ একধরনের বৈদ্যুতিক বাতি তৈরি করেছেন। খুব পাতলা কাঠ ব্যবহার করে তৈরি এই এলইডি বাতির নকশাবিদ ইয়াসুকে ফুকুসাদা। এক খবরে প্রযুক্তি-বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে, কিয়োটো রেনেসাঁ ডিজাইন প্রতিযোগিতায় সেরা পুরস্কার জিতেছে জাপানি নকশাবিদ ফুকুসাদার এই কাঠের বাতি।
এ প্রসঙ্গে ফুকুসাদা জানিয়েছেন, একটি এলইডি বাতির চারপাশে পাতলা কাঠের আস্তরণ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এই বৈদ্যুতিক বাতি। এলইডি বাতি কম তাপ উত্পন্ন করে বিধায় এটি জ্বলে যাওয়ার ঝুঁকি কম। এ কারণেই কাঠের বাতি তৈরিতে এলইডি বেছে নেওয়া হয়েছে।
জাপানের ‘রোকোরো’ নামের কাঠ খোদাইয়ের পদ্ধতি ব্যবহার করে কাঠকে খুব পাতলা করে চেঁচে অ্যালুমিনিয়াম সকেটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
কাঠের তৈরি এই বাতি এখনো নির্মাণ পর্যায়ে রয়েছে, এ কারণে শিগগিরই এ কাঠের বাতির দেখা মিলছে না বলেই জানিয়েছে ম্যাশেবল।Suvro

ইয়াহু আনল নতুন ব্রাউজার

অনলাইন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইয়াহু সম্প্রতি ‘অ্যাক্সিস’ নামে নতুন একটি ওয়েব ব্রাউজার উন্মুক্ত করেছে। এক খবরে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে, ২৩ মে বুধবার নতুন এই ওয়েব ব্রাউজারটি উন্মুক্ত করেছে ইয়াহু।
ইয়াহু জানিয়েছে, যেকোনো কম্পিউটার ছাড়াও আইফোন, আইপ্যাডে ‘অ্যাক্সিস’ দ্রুততর ও উন্নত সার্চ রেজাল্ট দেখাতে সক্ষম হবে।
মোবাইল ডিভাইসে ‘অ্যাক্সিস’ অ্যাপ আকারে ব্যবহূত হবে, যাতে সার্চ ইঞ্জিন ও ব্রাউজারের কাজ করা যাবে।
ইয়াহুর এ ব্রাউজারের মাধ্যমে ভিজুয়াল প্রিভিউ দেখে নেওয়ার সুযোগও থাকবে। পাশাপাশি কোনো ওয়েবসাইট বন্ধ না করেও সার্চ রেজাল্ট দেখা যাবে।Suvro

মেয়ের মা হচ্ছেন মেগান ফক্স!

মেয়ের মা-বাবা হতে চলেছেন হলিউডের তারকা-দম্পতি মেগান ফক্স ও ব্রায়ান অস্টিন গ্রিন। সম্প্রতি এই জুটির কাছের বন্ধুরা দাবি করেছেন, মেগানের সন্তানসম্ভবা হওয়ার খবরে তাঁরা দুজনই দারুণ উচ্ছ্বসিত।
এ প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে যুক্তরাষ্ট্রের স্টার ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ‘প্রথম মাতৃত্বের স্বাদ নিতে চলেছেন মেগান ফক্স। এ বছরের সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবরে মেগানের মেয়েটি পৃথিবীর আলো দেখবে।
হলিউডের এ অভিনেত্রীর হাতে ‘সোয়াইনডল’ ছবির কাজ থাকলেও ছবিটির চিত্রনাট্য নতুন করে লেখা হচ্ছে। কাজেই আগামী বছরের আগে ছবির কাজ শুরু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ ছবিটি ছাড়া আর কোনো ছবির কাজও তিনি হাতে নেননি। কাজেই মা হওয়ার পর সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারবেন মেগান।’
উল্লেখ্য, কয়েক বছর ধরেই ব্রায়ান অস্টিন গ্রিন ও তাঁর সাবেক প্রেমিকা ভেনেসা মার্সিলের ছেলে ক্যাসিয়াসের দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন মেগান। তিনি নিজের ছেলের মতোই ১০ বছর বয়সী ক্যাসিয়াসকে বেড়ে তুলছেন।
এবার নিজের মেয়ের মুখে ‘মা’ ডাক শোনার জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন ২৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।Suvro

এক-তৃতীয়াংশ বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছে ফেসবুক!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে। আর সেই ফেসবুকই কিনা এক-তৃতীয়াংশ বিচ্ছেদ ঘটাতে দায়ী। সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপ অনুযায়ী এমন তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের আইনি প্রতিষ্ঠান ডিভোর্স-অনলাইন।
ডিভোর্স অনলাইনের জরিপে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে দম্পতিদের পরস্পর-বিদ্বেষী বিবৃতি, বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সন্দেহজনক ফেসবুক ব্যবহার ও ইন্টারনেটে আপত্তিকর ছবি প্রকাশ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ। এতে বলা হয়, জুটিদের মধ্যকার আপত্তিকর বাক্যগুলো তাদের নিকটস্থ ব্যক্তি তথা বন্ধু-বান্ধবের কাছে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সম্পর্কে ফাটল ধরে।
ডিভোর্স অনলাইন জানায়, সম্প্রতি পাঁচ হাজার বিচ্ছেদ আবেদনের ৩৩ শতাংশের বেশি হয়েছে ফেসবুকের কারণে। অথচ ২০০৯ সালে এ হার ছিল ২০ শতাংশ। সংগঠনটির মুখপাত্র মার্ক কেনান ডেইলি মেইলকে জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে খুব সহজেই যে কেউ প্রেম নিবেদন কিংবা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যেতে পারেন। তাই ফেসবুকের ওয়ালে (প্রধান পৃষ্ঠা) কোনো কিছু প্রকাশ করার আগে সবার উচিত সতর্ক থাকা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আইনি প্রতিষ্ঠান, আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ম্যাট্রিমনিয়াল লয়িয়ারস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিচ্ছেদ মামলা পরিচালনাকারী ৮০ শতাংশ আইনজীবী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে বিচ্ছেদের ঘটনা বাড়ার কথা স্বীকার করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ‘ফেসবুক অ্যান্ড ইউর ম্যারেজ’ গ্রন্থের লেখক কে জেসন ক্রাফস্কি বলেন, কর্মস্থল কিংবা বাড়ির বাইরের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতাগুলো মাস কিংবা বছরের ব্যবধানে বাস্তব রূপ নেয়। ফেসবুকের ক্ষেত্রে কেবল একটি ক্লিকেই এ ঘটনা বাস্তব হয়। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো প্রচলিত প্রেম নিবেদনের সাইটগুলোর চেয়ে ভিন্ন। কারণ এর মাধ্যমে পুরোনো অন্তরঙ্গ বন্ধু-বান্ধবের পাশাপাশি মাত্র এক বা দুই দিনের পরিচয় হয়েছে—এমন ব্যক্তির সঙ্গেও বন্ধুত্ব করা যায়। তা ছাড়া এর মাধ্যমে দীর্ঘ সময়ে ধরে গোপনে প্রেম করেও ধরা পড়ার আশঙ্কা থাকে না। এমন বাস্তবতায় কোনো জুটি ইন্টারনেট জগতের বাইরে প্রণয় সম্পর্কে আবদ্ধ হলেও ফেসবুক ব্যবহার পরস্পরের মধ্যে সন্দেহ-প্রবণতা তৈরি করে।
জানা গেছে, ফেসবুকের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম টুইটারও বিচ্ছেদের ঘটনার জন্য দায়ী। বিভিন্ন সময়ে করা বিচ্ছেদ আবেদনের ২০ শতাংশ হয়েছে টুইটারে প্রকাশিত বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে।Suvro

বিশ্বের ক্ষুদ্রতম হৃদয়

হৃৎপিণ্ডের জটিল সমস্যায় ১৬ মাস বয়সী শিশুটির প্রাণ যায় যায়। কিন্তু তার দেহে তড়িঘড়ি হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের উপায় নেই। শেষে ছোট্ট এক কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে রাখা হলো টানা ১৩ দিন। তা ছিল টাইটেনিয়ামে তৈরি মাত্র ১১ গ্রাম ওজনের একটি ধাতব বস্তু, যা বিশ্বের ক্ষুদ্রতম হৃৎপিণ্ড বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
ঘটনাটি ঘটে ইতালির রোমে। ক্ষুদ্র এই কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসকেরা ১৩ দিন পর্যন্ত শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখেন। এরপর স্বাভাবিক হৃৎপিণ্ড সংগ্রহ করে তা প্রতিস্থাপন করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হৃৎযন্ত্রটিই এখন পর্যন্ত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম কৃত্রিম হৃদয়।
রয়টার্স জানায়, রোমের ব্যামবিনো গেসু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে এপ্রিল মাসে কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড ব্যবহার করেছিলেন। পরে হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠেছে। শিশুটি ডায়ালেট মায়োকার্ডিওপ্যাথি সমস্যায় ভুগছিল। এটি হৃদপেশি ফুলে যাওয়া-সংক্রান্ত একটি রোগ। এ সমস্যায় হৃৎযন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে ও রক্ত পাম্প করে না। চিকিৎসকেরা, এই অবস্থায় শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে কৃত্রিম হৃৎপিণ্ডের ব্যবহার করেন।
টাইটেনিয়ামের তৈরি ক্ষুদ্র এই হৃৎযন্ত্রটি প্রতি মিনিটে দেড় লিটার করে রক্ত প্রবাহিত করতে পারে। এই কৃত্রিম হৃৎপিণ্ডের উদ্ভাবক মার্কিন চিকিৎসক রবার্ট জারভিক। এই যন্ত্রটি এর আগে কেবল অন্য প্রাণীর দেহে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। অর্থাৎ, এবারই প্রথম কোনো মানব শরীরে ক্ষুদ্র এই হৃৎযন্ত্র স্থাপন করা হলো। বয়স্কদের ক্ষেত্রে কৃত্রিম হৃৎপিণ্ডের ওজন হয় ৯০০ গ্রাম।
কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড পরীক্ষায় ইতালি সরকার ও শিশুটির পরিবার থেকেও অনুমতি পেয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসক অ্যান্টোনিও অ্যামোডো জানিয়েছেন, ‘এটা ছিল একটি মাইলফলক। অস্ত্রোপচারের দিক থেকে এটা খুব বেশি জটিল না হলেও শিশুটির আগের কয়েকবারের অস্ত্রোপচারের বিষয়টি ক্ষুদ্রতম হৃৎপিণ্ড স্থাপনের বিষয়টিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছিল।’Suvro

আইপ্যাড, আইফোনে মাইক্রোসফট অফিস

অ্যাপলের আইওএস-নির্ভর পণ্যগুলোর জন্য মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যার প্যাকেজটি এ বছরের নভেম্বরে উন্মুক্ত হচ্ছে। মাইক্রোসফটের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।
এদিকে টাইম অনলাইন জানিয়েছে, অ্যাপলের বিভিন্ন ডিভাইসের জন্য অফিস সুইটের নতুন সংস্করণ তৈরির কাজ করছে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ। মাইক্রোসফটের এই নতুন সংস্করণের অফিস প্যাকেজটি আইপ্যাড এবং নতুন ম্যাক সংস্করণ ছাড়া উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমেও কাজ করবে।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অ্যাপলের পণ্যের জন্য মাইক্রোসফট অফিস পণ্য আসছে এমন তথ্য ফঁাস হয়েছিল। আইপ্যাডে অফিস আসছে-এমন গুজব ছড়ালেও মাইক্রোসফটের এক মুখপাত্র তা অস্বীকার করেছিলেন। তিনি এ-বিষয়ক গুজবে কান না দিতেই পরামর্শ দিয়েছিলেন।
দ্য ডেইলির তথ্য ফাঁসের পরিপ্রেক্ষিতে নিউইয়র্ক টাইমসকে মাইক্রোসফটের এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, `দ্য ডেইলিতে ফাঁস হওয়া খবরটি গুজব ও অনুমান-নির্ভর। এ ছাড়া আমরা আর কোনো মন্তব্য করছি না।' তিনি আরও বলেন, `দ্য ডেইলিতে ফাঁস্ হওয়া আইপ্যাডে মাইক্রোসফট অফিসের নামে যে ছবিটি দেওয়া হয়েছে, সে ছবিও মাইক্রোসফটের তৈরি সফটওয়্যারের নয়।'
এদিকে আইপ্যাডে মাইক্রোসফটের তৈরি `ওয়ান নোট' নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন যোগ হওয়ার ফলে খবর ছড়িয়েছিল, অ্যাপলের পণ্যে কর্তৃপক্ষ পরবর্তীকালে মাইক্রোসফটের অফিস সফটওয়্যারটি যোগ করবে। মাইক্রোসফট বিষয়টি গোপন করার চষ্টো করলেও এ নিয়ে তারা অনেক দূর এগিয়েছে।
এদিকে আইপ্যাডে মাইক্রোসফটের সফটওয়্যারের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় উঠলেও এ বিষয়ে একেবারেই মুখ বন্ধ করে রেখেছে অ্যাপল।
জানা গেছে, কেবল অ্যাপল পণ্যের জন্যই মাইক্রোসফটের এই সফটওয়্যারটি উন্মুক্ত হবে। প্রযুক্তি বিশে্লষকেরা বলছেন, অ্যাপল পণ্যে মাইক্রোসফট এলে তা প্রযুক্তি বিশ্ব স্বাগত জানাবে।Suvro

`ফেসবুক ক্যামেরা'

আইফোনের নতুন অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে `ফেসবুক ক্যামেরা' চালু করেছে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক। হাফিংটন পোস্ট জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নতুন এই অ্যাপ্লিকেশনটি উন্মুক্ত করেছে ফেসবুক। অ্যাপলের `অ্যাপ স্টোর' থেকে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করা যাবে।
ফেসবুক ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশনটি স্মার্টফোনের অন্যান্য ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশনের মতই কাজ করে। ফেসবুক ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ্লিকেশন সদৃশ। উল্লেখ্য, ইনস্টাগ্রাম নামের ফটো-শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশনটি ১ বিলিয়ন ডলার খরচ করে সম্প্রতি কিনে নিয়েছে ফেসবুক।
অ্যাপ্লিকেশনটি চালু করা হলে ক্যামেরা আইকনে ক্লিক করে ছবি তোলা যাবে এবং সে ছবিটি ফিলটার, ক্রপ, টল্টি ও ফেসবুকে শেয়ার করার সুবিধাও থাকছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, আইফোন অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে `ফেসবুক ক্যামেরা' উন্মুক্ত করা হলেও এর অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ চালু করা হবে। তবে কবে নাগাদ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে এই অ্যাপ্লিকেশনটি উন্মুক্ত হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি ফেসবুক।Suvro

মঙ্গলে প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান রয়েছে

প্রাণ সৃষ্টি হতে পারে, মঙ্গলগ্রহে এমন মৌলিক উপাদান পাওয়ার কথা দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের কার্নেগি ইনস্টিটিউশন ফর সায়েন্সের একদল বিজ্ঞানী তাঁদের গবেষণার ফলাফলে এ তথ্য পাওয়ার কথা দাবি করেন। তাঁদের এই গবেষণা-বিষয়ক নিবন্ধ বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্সে প্রকাশিত হয়। বিবিসি অনলাইনে এ কথা জানানো হয়।
মঙ্গলের উল্কাপিণ্ড পরীক্ষা করে গবেষকেরা দেখেছেন, প্রাণ গঠনের প্রাথমিক উপাদান এই গ্রহটিতে রয়েছে। গবেষণার ফলের বরাত দিয়ে বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, মঙ্গলের চারপাশে ৪০০ কোটি বছরেরও বেশি সময় ধরে ঘোরা ১০টি উল্কাপিণ্ড গবেষণা করে কার্বনের সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। উল্কাপিণ্ডে মঙ্গল গ্রহের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাতের ফলে সৃষ্ট কার্বন যৌগের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছেন। কার্বনের সঙ্গে কার্বনের বা কার্বনের সঙ্গে হাইড্রোজেনের বন্ধনে যে জৈব যৌগ তৈরি হয়, তাই প্রাণ গঠনের প্রাথমিক উপাদান হিসেবে বিবেচনা করেন গবেষকেরা।
গবেষক দলের প্রধান অ্যান্ড্রু স্টিল বলেন, ‘আমরা প্রায় চার দশক ধরে মঙ্গলের জৈব যৌগের সন্ধান করছি। এই যৌগ কোথায় রয়েছে বা মঙ্গলে এর অস্তিত্ব আছে কি না, তা নিয়ে গবেষণা চলেছে।’ সাম্প্রতিক গবেষণায় মঙ্গলে জৈব যৌগ থাকার প্রমাণ দিয়েছে। গবেষকেরা আশা করছেন, ‘কিউরিওসিটি’ নামের মঙ্গল রোবটটি তাঁদের জন্য অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। গবেষকেরা মঙ্গল গ্রহের তথ্য অনুসন্ধানে কিউরিওসিটিকে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন। এখন এই রোবটটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এদিকে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বর্তমানে মঙ্গলে অবস্থান করা ‘অপরচুনিটি’ নামের রোবটটি আবারও সচল হয়েছে। সেখান থেকে লাল গ্রহটির তথ্য অনুসন্ধানে আবার কাজ করা শুরু করেছে। এর আগে মঙ্গলে শীতকাল শুরু হলে সৌরশক্তির অভাবে কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল অপরচুনিটি।Suvro

পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি!

শুক্রাণু উৎপাদনে সক্ষম এমন একটি জিন আবিষ্কার করেছেন এডিনবার্গের গবেষকেরা। এর ফলে ভবিষ্যতে পুরুষের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি তৈরি সম্ভব হবে বলে গবেষকেরা দাবি করেছেন।
ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, শুক্রাণু তৈরির চূড়ান্ত পর্যায়ে ‘কাটনাল১’ নামের একটি জিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গবেষকেরা বলেছেন, ‘কাটনাল১’ প্রতিরোধ করে এমন ওষুধই হতে পারে বিপরীত জন্মনিয়ন্ত্রক।
নতুন এই জিন আবিষ্কারের খবরে শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজনন বিশেষজ্ঞ অ্যালান পেইসি বলেন, এমন একটি ওষুধের আসলেই দরকার আছে।
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর রিপ্রোডাকটিভ হেলথের গবেষক দল এখন পুরুষের বন্ধ্যত্বের কারণগুলো গবেষণা করে দেখছেন। তাঁরা ইঁদুরের জেনেটিক কোডগুলো এলোপাতাড়িভাবে পরিবর্তন করে কোনটি অনুর্বর তা শনাক্ত করেন। এরপর তাঁরা এগুলোর রূপান্তর শনাক্ত করেন, যা কিনা বন্ধ্যত্ব ও ‘কাটনাল১’ তৈরি করে।
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লি স্মিথ বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা করে এই জিনকে শনাক্ত করার একটা পথ খুঁজে বের করতে পারলে হরমোনবিহীন জন্মরোধক তৈরি করতে পারব।’
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, একই কৌশল মানুষের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যায় এবং কোনো রকম স্থায়ী ক্ষতি ছাড়াই তাঁদের শুক্রাণু তৈরি বন্ধ করা সম্ভব।
লি স্মিথ বলেন, এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এ ধরনের ওষুধের প্রভাব হবে উল্টো। কেননা, শুক্রাণু তৈরির শেষ মুহূর্তে ‘কাটনাল১’ কাজ করে। অতএব, এটি শুক্রাণু তৈরির প্রাথমিক কিংবা সামগ্রিক কোনো স্তরেই বাধা সৃষ্টি করবে না। তবে কোষের ভেতরে প্রোটিনের বসবাস থাকায় এটা সফল হওয়াটা তুলনামূলক কঠিন বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিসিসি।Suvro

ছুটির দিনে ফেসবুকে Like করুন

সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকে চালু হয়েছে ছুটির দিনের ‘ফ্যান পেজ’
www.facebook.com/ChutirDine
ছুটির দিনের ফ্যান পেজে আপনার ভালো লাগা, মন্দ লাগা সবকিছু জানাতে পারেন। দিতে পারেন মতামত।Suvro

স্ক্রিন শট নিন সহজে

অনেক সময় ওয়েবসাইট কিংবা কোন পাতার স্ক্রিন শট নেয়ার প্রয়োজন হয়। এ জন্যযে পাতা কিংবা ওয়েবসাইটের স্ক্রিন শট নিতে চান সেটি খুলে একবার কিবোর্ডের Print Sreccn একবার চাপুন। এবার Start\Programs\Accessories\Paint গিয়ে Ctrl+V চাপুন। দেখুন আপনার ওয়েবসাইট কিংবা পাতার স্ক্রিন শট নেয়া হয়ে গেছে।Suvro

ওয়েবসাইট ব্লক করতে চান?

আপনার বাসার বা অফিসের কম্পিউটার হয়তো অনেকেই ব্যবহার করেন। কাজের সময়ও হয়তো অনেকে ফেসবুক বা অন্য কোনো সাইটে অনেক সময় ব্যয় করেন। তাছাড়া পর্নো সাইটগুলো সব সময় শিশুদের কাছ থেকে দূরে রাখতে হয়। আপনি ওয়েব ব্রাউজারের History-তে ক্লিক করেই দেখতে পারেন বাসার বা অফিসের অন্যরা কোন সাইটগুলোতে ভিজিট করেন।
প্রয়োজনে অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্লক করার প্রয়োজন হয়। আপনি ইচ্ছা করলে খুব সহজেই আপনার কম্পিউটারে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্লক করে রাখতে পারেন। তাহলে আর এই কম্পিউটার দিয়ে ওই সাইটগুলোতে কেউ ভিজিট করতে পারবে না। ওয়েবসাইট সাধারণত দুই ভাবে ব্লক করা হয়ে থাকে। ১. আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে ২. কম্পিউটার থেকে। আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে কোনো ওয়েবসাইট ব্লক করলে আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন করলেই ওই সাইটে প্রবেশ করা যায়। কম্পিউটার থেকে কোনো ওয়েবসাইট ব্লক করার জন্য প্রথমে C:/windowsystem32/drivers/etc\ ঠিকানায় গিয়ে hosts ফাইলে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে open-এ ক্লিক করুন। এখন Notepad নির্বাচন করে ok-তে ক্লিক করুন। hosts ফাইলটি ওপেন হলে দেখবেন শেষ লাইনে 127.0.0.1 localhost লেখা আছে। এখন যে ওয়েবসাইটটি ব্লক করতে চান তার ঠিকানা 127.0.0.1 localhost-এর পরের লাইনে লিখুন। যেমন, আপনি যদি www.facebook.com সাইটটি ব্লক করতে চান তাহলে 127.0.0.1 localhost-এর পরের লাইনে লিখুন 127.0.0.1 www.facebook.com। এখন hosts ফাইলটি সেভ করুন। এখন থেকে আপনার কম্পিউটার দিয়ে আর ফেসবুক ওপেন হবে না। একইভাবে আপনি একাধিক ওয়েবসাইটও ব্লক করতে পারবেন। আবার আনব্লক করতে চাইলে একইভাবে 127.0.0.1 localhost-এর পরের লাইনগুলো ডিলিট করে দিয়ে সেভ করুন।Suvro

শিক্ষার্থীদের ১০ লাখ ই-বুক সাহায্য দিল বার্সেলোনা

আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোর শিশুদের শিক্ষাবিস্তারে কাজ করছে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। এক খবরে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে, সম্প্রতি বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা ‘ওয়ার্ল্ডরিডার’ নামে একটি অলাভজনক সংস্থাকে ১০ লাখ ই-বুক রিডার দিয়েছে। সংস্থাটি আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষার্থীদের কাছে এই ই-বুক রিডার পৌঁছে দেবে।
ওয়ার্ল্ডরিডারের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্বে আছেন মাইক্রোসফট ও আমাজনের সাবেক কর্মকর্তা ডেভিড রিসার। ই-বুক রিডার প্রসঙ্গে রিসার বলেন, ‘আমরা আফ্রিকার শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলাদা চিন্তা করেছি। যখন শিক্ষার্থীরা খেলোয়াড়দের ছবি দেখবে তখন তাঁরা অনুপ্রাণিত হবে এবং তাঁর আদর্শ পালন করবে। তাদের পড়াশোনায় আগ্রহী করতেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
বার্সেলোনার তারকা ফুটবলারদের ছবি দেখে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে ওয়ার্ল্ডরিডার আশাবাদী। বার্সেলোনার লিওনেল মেসি, জাভি হার্নান্দেজ, এরিক আবিদাল, সিয়োডো কেইটাকে দেখে তারা উদ্বুদ্ধ হবে এ লক্ষেই ১০ লাখ ই-বুক রিডার বিতরণ করা হবে।Suvro

‘অ্যাপল’ হওয়ার চেষ্টায় বিপদে মাইক্রোসফট!

সম্প্রতি প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, প্রযুক্তি বিশ্বে বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছে মাইক্রোসফট। এর কারণ মাইক্রোসফট অ্যাপল হওয়ার চেষ্টা করছে। অ্যাপলের সফল ব্যবসা নীতিকে অনুসরণ করতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছে মাইক্রোসফট। অ্যাপলের সঙ্গে দৌড়ানোর ক্ষেত্রে অদ্ভুত সব পন্থা অবলম্বন করতে হচ্ছে মাইক্রোসফটকে; যা প্রতিষ্ঠানটিকে বিভিন্ন পরীক্ষার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল ডেটা করপোরেশনের (আইডিসি) বিশ্লেষক আল গিলেনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
উইন্ডোজ ৮ বাজারে ছাড়া, অ্যাপস্টোর চালুসহ সফটওয়্যার ব্যবসায় অ্যাপলকে অনুসরণ করার চেষ্টা করছে মাইক্রোসফট। আল গিলেন জানিয়েছেন, প্রযুক্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, কোনো একটি পণ্য কেনা হলে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেবাটির নিশ্চয়তা না পেলে ক্রেতা সে পণ্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। অ্যাপল এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো ব্যবসা নীতি ঠিক করে রেখেছে। মাইক্রোসফটও তাই এখন অ্যাপলকে অনুসরণ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু অ্যাপলের মতো গোছানো সংসার না থাকায় মাইক্রোসফটকে বাজারে তাল মেলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।Suvro

সাত বছরে ইউটিউব

বিশ্বসেরা ভিডিও দেখার ওয়েবসাইট ইউটিউব www.youtube.com) সাত বছরে পা দিল। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা এ ওয়েবসাইটে বর্তমানে প্রতি মিনিটে ৭২ ঘণ্টা ভিডিও আপলোড করা হয়! এ ছাড়া প্রতি মিনিটে তিন দিনের সমান ভিডিও আপলোড হচ্ছে ইউটিউবে। প্রতিদিন ৪০০ কোটি ভিডিও দেখা হয় সাইটটিতে। ২০০৫ সালে চালু হওয়া ভিডিও দেখার এ সাইট ২০০৬ সালে কিনে নেয় বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল।
প্রতি মাসে ৩০০ কোটি ঘণ্টা এ সাইটে অতিবাহিত করেন ব্যবহারকারীরা এবং বিশ্বের বর্তমানে ৮০ কোটি মানুষ নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও দেখেন। জনপ্রিয় এ ভিডিও ওয়েবসাইটটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি জাওয়েদ করিম প্রথম ‘মি অ্যাট দ্য জো’ নামের একটি ১৯ সেকেন্ডের ভিডিও দিয়ে শুরু করেন ইউটিউব। গত বছরে ইউটিউব ১ ট্রিলিয়ন বার দেখার রেকর্ড করে। ইউটিউবের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা দারুণ গতিতে এবং দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।
ব্যবহারকারী নানা ধরনের ভিডিও প্রতিনিয়ত আপলোড করে চলছেন, যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ইউটিউবের এ অগ্রযাত্রায় দারুণ অগ্রগতি হলেও এখন পর্যন্ত সে পরিমাণ লাভের মুখ দেখেনি গুগল। তবে বিশ্বের ভিডিও দেখার সেরা সাইট হিসেবে ইউটিউবের এ অগ্রযাত্রার সঙ্গে লাভের পরিমাণ যুক্ত করতে গুগল বেশ কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউটিউবের ক্রমাগত জনপ্রিয়তাই বলে দিচ্ছে ঠিক পথেই এগোচ্ছে সাইটটি। —ম্যাশএবল ও সিনেট অবলম্বনে Suvro

গুগল থেকে ‘গুম’ হচ্ছে সার্চ লিংক!

প্রতিনিয়ত বাড়ছে ওয়েবসাইট লিংক আর সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গুগলকে লড়তে হচ্ছে কপিরাইট নীতি লঙ্ঘনকারী ওয়েবলিংকগুলোকে আটকাতে। এক খবরে সিএনএন জানিয়েছে, এত দিন সবার আড়ালেই ওয়েব লিংক গুম করে দিত গুগল। তবে ২৪ মে বৃহস্পতিবার গুগল জানিয়েছে, এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে কপিরাইট লঙ্ঘন করা অভিযুক্ত লিংকগুলো সরিয়ে ফেলা হবে।
গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে আড়াই লাখেরও বেশি লিংক অপসারণের জন্য অনুরোধ পায় তারা। কপিরাইটধারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অনুরোধ পাওয়ার একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে অভিযুক্ত সাইটটির মালিককে। এ প্রক্রিয়ায় উতরাতে ব্যর্থ হলেই গুগল থেকে গুম হয়ে যাবে তার সাইটটি।Suvro

নেপোলিয়ন আইনস্টাইন!

একজন ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন শৌর্য-বীরত্বের জন্য। আরেকজন ক্ষুরধার মস্তিষ্কের জন্য। ‘আইনস্টাইন’ শব্দটি হয়ে উঠেছে মেধা আর বুদ্ধিমত্তার চরম উৎকর্ষের সমার্থক, নেপোলিয়ন যেমন বীরত্বের সমার্থক। তো আলবার্ট আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক, আর নেপোলিয়ন বোনাপার্টের শৌর্য যদি থাকে কোনো একজনের মাঝেই! এর চেয়ে আদর্শ কিছু হয়তো হয় না। কিন্তু ক্রিকেটে অন্তত এই দুয়ের যোগফল শূন্য! যদি তা-ই না হতো, নেপোলিয়ন আইনস্টাইনের নামটা আপনি অবশ্যই শুনতেন। ভিরমি খাবেন না, নেপোলিয়ন আইনস্টাইন ভারতের একজন ক্রিকেটারের নাম! ডানহাতি ওপেনার খেলেছেন ২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বিরাট কোহলির ভারতীয় দলে। ২০০৯ আইপিএলে ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের স্কোয়াডেও। ২০০৭ সালে রঞ্জি ওয়ানডে ট্রফিতে অভিষেকেই তামিলনাড়ুর হয়ে করেছিলেন ৯২, মুরালি বিজয়ের সঙ্গে ২০৫ রানের উদ্বোধনী জুটি!
নামেই ফুটে উঠেছে তাঁর পারিবারিক আবহ। মা পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। আর দাদা তো ছিলেন বিজ্ঞানীই। বিজ্ঞানী দাদুমহাশয় আলবার্ট আইনস্টাইনকে একটা চিঠি লিখেছিলেন এবং সেটার জবাবও পেয়েছিলেন স্বয়ং আইনস্টাইনের কাছ থেকে! আইনস্টাইন নামটার কারণ খুঁজতে তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়। নেপোলিয়ন নামের পেছনে অবশ্য কোনো গল্প নেই। বাবার নাম নেপোলিয়ন, উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে গেছেন এই নাম। বিজ্ঞানী দাদু ছেলের নাম নেপোলিয়ন কেন রেখেছিলেন, এটা যদিও গবেষণার বিষয়! আমাদের দুর্ভাগ্য, এমন নামের একজন ক্রিকেটের জগতে জমি খুঁজে পাননি। ২০০৭ সালে ঘরোয়া দুটি এক দিনের ম্যাচই হয়ে আছে তাঁর পুরো ক্যারিয়ার!Suvro

বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ ১০ সেলিব্রেটি


গলফের সিংহাসনচ্যুত সম্রাট টাইগার উডস। ১৪টি মেজর জয়ী আমেরিকান গলফারের কাছে জয় যেন এখন সোনার হরিণ। টানা দুই বছর নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি টাইগার উডস এক কথায় কক্ষচ্যুত। তবে সেটি গলফ কোর্সেই। ‘মরা হাতিও লাখ টাকা’র মতো ‘পতিত’ উডস এখনো বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সেলিব্রেটি! বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ফোর্বস সম্প্রতি বিশ্বের এক শ ক্ষমতাধর সেলিব্রেটির তালিকা করেছে, যেখানে ক্রীড়াবিদদের মধ্যে সবার ওপরে টাউগার উডস। শোবিজ তারকাদের আধিপত্যের সাক্ষী ওই এক শ সেলিব্রেটির তালিকায় ১২তম অবস্থানে গলফের সাবেক এক নম্বর। গত এক বছরের আয়, বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম ও পত্রপত্রিকায় কভারেজ, ফেসবুক-টুইটারে ভক্ত-অনুসারীর সংখ্যা—এসব বিবেচনায় তৈরি ফোর্বসের বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এক শ সেলিব্রেটির ওই তালিকায় স্থান পাওয়া শীর্ষ দশ ক্রীড়াবিদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে নিন—

টাইগার উডস
বয়স: ৩৬, দেশ: যুক্তরাষ্ট্র, খেলা: গলফ,
সেলিব্রেটি র‌্যাঙ্কিং: ১২
মাঠের পারফরম্যান্স প্রভাব ফেলেছে তাঁর আয়েও। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ট্যাগ হিউয়ার, জিলেটের মতো স্পনসররা। গলফ কোর্স ডিজাইনের ব্যবসাও লাটে ওঠার জোগাড়। তার পরও নাইকির সঙ্গে চুক্তির কল্যাণে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অ্যাথলেট তিনি। গত ১২ মাসে আয় করেছেন ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ক্যারিয়ারে প্রাইজমানিই জিতেছেন ১০ কোটি ডলার।।

লেব্রোন জেমস
বয়স: ২৭, দেশ: যুক্তরাষ্ট্র, খেলা: বাস্কেটবল,
সেলিব্রেটি র‌্যাঙ্কিং: ১৫
২০১২-১৩ মৌসুমে তৃতীয় বারের মতো পেয়েছেন এনবিএ লিগের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ারের স্বীকৃতি। ক্যারিয়ারে কমপক্ষে তিনবার এই স্বীকৃতি পাওয়া মাত্র অষ্টম খেলোয়াড় তিনি। গত ১২ মাসে তাঁর আয় ৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। নাইকি, কোকাকোলা, ম্যাকডোনাল্ডসের বাইরেও আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ লেব্রোন। আমেরিকায় তাঁর দারুণ জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে নাইকি গত বছর লেব্রোনের স্বাক্ষরসংবলিত জুতো বিক্রি করেছে ৯ কোটি ডলারের।

কোবি ব্রায়ান্ট
বয়স: ৩৩, দেশ: যুক্তরাষ্ট্র, খেলা: বাস্কেটবল,
সেলিব্রেটি র‌্যাঙ্কিং: ২৭
গতবারের মতো এবারও এনবিএর সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড়। তবে এনবিএতে খেলার সংখ্যা ২০ শতাংশ কমায় তাঁর বেতন ২ কোটি ৫২ লাখ ডলার থেকে ৪০ লাখ ডলার কমেছে। ২০১১ সালে স্ত্রী ভেনেসার সঙ্গে ডিভোর্সের সময় ব্রায়ান্টের সম্পদে বড় ধাক্কা লেগেছিল। ভেনেসা প্রায় ১ কোটি ৮৮ লাখ ডলার মূল্যের তিনটি ম্যানসনের দখলস্বত্ব পান।

রজার ফেদেরার
বয়স: ৩০, দেশ: সুইজারল্যান্ড, খেলা: টেনিস,
সেলিব্রেটি র‌্যাঙ্কিং: ৩১
এনডোর্সমেন্ট তালিকায় নামের বিচারে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে এই টেনিস তারকার ধারেকাছে কেউ নেই। নাইকি, রোলেক্স, উইলসন, ক্রেডিট সুইসি—এমন ৯টি স্পনসরের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি থেকে ফেদেরারের বার্ষিক আয় ৩ কোটি ডলার। সর্বকালের সেরা টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত এই সুইস প্রদর্শনী ম্যাচের জন্য দশ লাখ ডলার নিয়ে থাকেন। সবচেয়ে বেশি (১৬) গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা ও সবচেয়ে বেশি প্রাইজমানি (৭ কোটি ডলার) জয়ের রেকর্ড তাঁর।

ডেভিড বেকহাম
বয়স: ৩৭, দেশ: যুক্তরাজ্য, খেলা: ফুটবল,
সেলিব্রেটি র‌্যাঙ্কিং: ৩২
পড়তি ফর্ম নিয়ে ইউরোপ ছেড়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমালেও যশ-খ্যাতি, প্রভাব-প্রতিপত্তিতে বেকহাম বেকহামের মতোই। বহুজাতিক বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে এনডোর্সমেন্ট চুক্তি তো আছেই, এর বাইরেও ফ্যাশনওয়্যার হাউস এইচ অ্যান্ড এমের সঙ্গে যৌথভাবে শুরু করেছেন গেঞ্জি ও অন্তর্বাসের ব্যবসাও। লন্ডন অলিম্পিকের দূত বলে তাঁর সঙ্গে পণ্যের নাম জড়াতে আগ্রহী আরও অনেক প্রতিষ্ঠানই।

ম্যানি প্যাকুয়াও
বয়স: ৩৩, দেশ: ফিলিপাইন, খেলা: বক্সিং,
সেলিব্রেটি র‌্যাঙ্কিং: ৩৩
ক্ষমতাধর সেলিব্রেটিদের মধ্যে আয়ের দিক থেকে ১৬তম অবস্থান ফিলিপিন এই বক্সারের (৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার)। আয়ের মূল উৎস পে-পার-ভিউ টেলিভিশন। গত চার বছরে তাঁর পাঁচটি লড়াইয়ের প্রতিটি কমপক্ষে দশ লাখ পে-পার-ভিউ দর্শককে আকৃষ্ট করেছে। এর সঙ্গে আছে নাইকি, হিউলেট-প্যাকার্ড, মনস্টার এনার্জির মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এনডোর্সমেন্ট চুক্তি। ২০১০ সালে বিশাল এক জয় নিয়ে ফিলিপাইন পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

পেটন ম্যানিং
বয়স: ৩৬, দেশ: যুক্তরাষ্ট্র, খেলা: আমেরিকান ফুটবল,
সেলিব্রেটি র‌্যাঙ্কিং: ৪০
গলায় অস্ত্রোপচারের কারণে ২০১১ মৌসুমের প্রায় পুরোটাই ছিলেন মাঠের বাইরে। মার্চে ইন্ডিয়ানাপোলিস কোল্টস তাঁকে ছেড়েও দিয়েছিল। তবে ভাগ্য সহায় ছিল এনএফএলের চারবারের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার পেটন ম্যানিংয়ের। পাঁচ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ডেনভারের সঙ্গে, ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলারে!

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
বয়স: ২৭, দেশ: পর্তুগাল, খেলা: ফুটবল,
সেলিব্রিটি র‌্যাঙ্কিং: ৪৪
যেকোনো ফুটবল লিগে সর্বোচ্চ বেতন পান তিনি, বোনাসসহ যেটির পরিমাণ বছরে প্রায় ২ কোটি ডলার। ২০১২ সালে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পরপর দু বছর লা লিগায় ৪০ বা তদূর্ধ্ব গোল করার রেকর্ড গড়েন। নাইকি, ক্যাস্ট্রল, কোনামির মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ পর্তুগিজ এই উইঙ্গারের গত ১২ মাসে আয় ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। টুইটারে তাঁর ভক্তের সংখ্যা যে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের যেকোনো তারকার চেয়ে বেশি।

রাফায়েল নাদাল
বয়স: ২৬, দেশ: স্পেন, খেলা: টেনিস, সেলিব্রেটি র‌্যাঙ্কিং: ৪৭
হতে পারে র‌্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে অবস্থান তাঁর, কিন্তু সর্বকালের অন্যতম সেরা টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে এরই মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রাফায়েল নাদাল। ফেদেরারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার প্রাইজমানি জিতেছেন। গত কয়েক বছরে এনডোর্সমেন্টও বেড়েছে অনেক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাইকি, বাবোলাট, কিয়া মোটরস ও ব্যাকার্ডি।

ফিল মিকেলসন
বয়স: ৪১, দেশ: যুক্তরাষ্ট্র, খেলা: গলফ,
সেলিব্রেটি র‌্যাঙ্কিং: ৪৮
২০১২ সালে গলফের হল অব ফেমে জায়গা করে নেওয়া ফিল মিকেলসন ৪০টি পিজিএ টুর্নামেন্ট (নবম সর্বোচ্চ), ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার প্রাইজমানি ও ৪টি মেজর (গত ২০ বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ) জিতেছেন। বছরে এনডোর্সমেন্ট খাতে মিকেলসনের আয় ৩ কোটি ডলার।Suvro

হকিংয়ের এলিয়েন তত্ত্বের পাল্টা তত্ত্ব!

সম্প্রতি এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী নিয়ে চমত্কৃত হওয়ার মতো আরেক প্রস্থ তথ্য দিয়েছেন জ্যোতির্বিদেরা। এলিয়েন নিয়ে বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের আশঙ্কা সঠিক নয় বলেই আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা। এলিয়েন গবেষকদের বরাতে এক খবরে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, চলচ্চিত্রে দেখানো এলিয়েনদের কাহিনি থেকে বাস্তবের এলিয়েনদের বিস্তর পার্থক্য থাকতে পারে।
গবেষকেরা আশ্বস্ত করে বলেছেন, এলিয়েনরা এসে আমাদের খেয়ে ফেলবে না বা আমাদের বন্দী করে তাদের দাসও বানাবে না, কারণ তারা আমাদের চেয়েও অনেক বেশি সভ্য হবে আর প্রযুক্তির দিক থেকেও তারা পৃথিবীর মানুষের তুলনায় যোজন যোজন এগিয়ে থাকবে।
সার্চ ফর এক্সট্রা টেরেস্ট্রিয়াল ইনটেলিজেন্স (সেটি)-এর পরিচালক জিল টারটার ২২ মে জানিয়েছেন, `বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিতে দেখানো হয়, এলিয়েনরা তাঁদের নিজেদের চেয়ে মানুষের সম্পর্কে বেশি আগ্রহী।' কিন্তু বাস্তবে তা হবে না। আমাদের দেখা প্রথম এলিয়েনটি ভয়ংকর দঁাতালো কোনো প্রাণী বা খাবার লোলুপ স্থূল প্রাণীর বদলে হতে পারে যথষ্টে সুদর্শন।
টারটার বলেন, পাশাপাশি তাদের থাকবে উন্নত প্রযুক্তির যান ও খাবার তৈরির উপকরণ। তাই তারা অন্তত নরখাদক বা মানুষের সব খাবার কেড়ে সাবাড় করার মতো অসভ্য আচরণ করবে না। এমনকি তাদের উন্নত প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের মতো দাসেরও কোনো প্রয়োজন তাদের পড়বে না; তাই মানুষকে দাস বানানোর চিন্তা তারা করবে না। মহাজাগতিক ভ্রমণে আলোর চেয়েও দ্রুতগতিতে ছুটতে হয় তাদের। সুতরাং উন্নত প্রযুক্তি তাদের আয়ত্তে থাকবে ও প্রযুক্তিজ্ঞানে তারা এতটাই দক্ষ হবে যে তারা নিজেরাই খাবার তৈরি করতে সক্ষম হবে। মানুষের এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
এর আগে `এলিয়েন' নিয়ে ঠিক উল্টো কথাই বলেছিলেন এ সময়কার বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ স্টিফেন হকিং। হকিংয়ের আশঙ্কা, এলিয়েনদের ঘাঁটান মোটেই ঠিক হবে না। কারণ, তারা মানুষকে তাদের দাস বানিয়ে ফেলবে।
টারটার জানিয়েছেন, স্টিফেন হকিংয়ের সঙ্গে তিনি একমত নন। তাঁর মতে, চলচ্চিত্রে দেখানো এলিয়েনদের চেয়ে আরও বেশি সভ্য হবে বাস্তবের এলিয়েন।Suvro

নতুন `ব্রাউজার' আনছে ফেসবুক

সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক এবারে যোগ দিচ্ছে ব্রাউজার দৌড়েও। এক খবরে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে, শিগগির ফেসবুকযুক্ত নতুন ব্রাউজার উন্মুক্ত করবেন মার্ক জাকারবার্গ।
মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, গুগলের ক্রোম, মোজিলার ফায়ারফক্সের পাশাপাশি ইয়াহু সম্প্রতি `অ্যাক্সিস' নামের একটি ব্রাউজার নিয়ে হাজির হয়েছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, এবার এ তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে ফেসবুকের নামও।
পকেট-লিন্ট নামের একটি প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ফেসবুকের ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ফেসবুক অপেরা সফটওয়্যারটি কিনে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। অপেরা ব্রাউজার ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০ কোটি।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, অপেরা ব্রাউজার কিনে ফেসবুকের জন্য আলাদাভাবে নতুন ব্রাউজার তৈরি করবেন জাকারবার্গ। নতুন ব্রাউজারটি থাকবে ফেসবুক ডিফল্ট, মেনু বার প্লাগ ইন; যা ফেসবুক ব্যবহারকারীর জন্য এক দারুণ অভিজ্ঞতাই হবে।Suvro

বিনামূল্যে অ্যাপল `অ্যাপ্লিকেশন' ব্যবহারের সুযোগ!

সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় অ্যাপল জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যাপ স্টোরের জনপ্রিয় সব অ্যাপ্লিকেশন বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে যাচ্ছে। `ফ্রি অ্যাপ অব দ্য উইক' নামে একটি সেবা চালু করার ঘোষণায় এ তথ্য দিয়েছে অ্যাপল। অ্যাপলের `অ্যাপ স্টোর' ও `অ্যাপ' ব্যবসা আরও বাড়ানো ও প্রচারের জন্যই এ সুবিধাটি চালু করছে প্রতিষ্ঠানটি। এক খবরে জানিয়েছে এনডিটিভি।
অ্যাপ স্টোরের নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এক টুইট বার্তায় ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে অ্যাপ্লিকেশন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, বিনামূল্যের অনেক অ্যাপ্লিকেশন বা জনপ্রিয় অনেক অ্যাপ্লিনকেশনের ক্ষেত্রেও সাধারণত অ্যাপ স্টোরের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয় না। তবে এবারে বিনামূল্যে জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল। বিষয়টি অনেকটা আমাজনের `ফ্রি অ্যাপ অব দ্য ডে'র মত হত পারে।
অ্যাপল এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহের সেরা অ্যাপ্লিকেশনটি অ্যাপ স্টোর থেকে বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ দেবে।Suvro

সিগারেট ছেড়ে দেবই


সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে গোটা গোটা করে লেখা থাকে, ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রাস্তার মোড়ে, কখনো প্রচারপত্রেও দেখা যায়, সিগারেট খেলে কেমন করে মানুষের দেহে রোগ বাসা বাঁধে। এগুলো কিন্তু খুবই ইতিবাচক। কিন্তু সত্যি বলতে কি, কেমন করে সিগারেট ছেড়ে দিতে হবে, এমন প্রচারণা কিন্তু রাস্তার মোড়ে কিংবা সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে থাকে না! আসুন জেনে নিই, কেমন করে ছাড়তে হবে সিগারেট। এ জন্য আমরা কথা বলেছি মাদকদ্রব্য ও নেশানিরোধ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি জানান—
 সিগারেট ছাড়ার জন্য প্রথমে ইচ্ছাশক্তি অর্জন করতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমাকে ছাড়তেই হবে সিগারেট।
 সিগারেট ছাড়ার একটা নির্দিষ্ট দিন ধার্য করে নেওয়া যেতে পারে। দিনটা হতে পারে কোনো শুভদিন। নিজের কিংবা সন্তানের জন্মদিন। অথবা প্রথম প্রেম কিংবা পরিণয়েরও হতে পারে দিনটি। যাতে সহজে মনে রাখা যায়, এ দিনটিতেই সিগারেট ছেড়েছিলাম।
 আত্মীয়-পরিজন কিংবা বন্ধুদের কাছে ঘোষণা দিয়ে ছাড়ুন সিগারেট। তাতে তাঁরাও মনে করিয়ে দিতে পারবেন, সিগারেট আর নয়।
অনেক ধূমপায়ীর বদ্ধমূল ধারণা থাকে, এত দিন ধরে যখন সিগারেট খাচ্ছি, হঠাৎ ছেড়ে দিলে হয়তো শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। সত্যি কথা হলো, পুরোটাই মানসিক। বরং যত তাড়াতাড়ি ছাড়া যাবে সিগারেট, শরীরের জন্য ততই মঙ্গল। এবারের টিপস তাঁদের জন্য—
 সিগারেট হঠাৎ ছেড়ে দিলে ধূমপায়ীর কোনো ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না।
 যাঁরা ২০ বছর ধরে সিগারেট খান, তাঁরা যদি আজ থেকে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেন, আজ থেকেই শুভ ফল পেতে থাকবেন।
 যাঁরা বহুদিনের ধূমপায়ী, তাঁদের যত দ্রুত সম্ভব সিগারেট ছেড়ে দেওয়া উচিত।
 সিগারেট ছাড়তে যত দেরি হয়, শরীরে ক্ষতির শঙ্কাও বেড়ে যায় দ্রুতগতিতে।
 অনেকে সিগারেট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পানের দিকে ঝোঁকেন। কিন্তু পান-সুপারিও ক্ষতিকর।
কথা হয়েছিল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক শিশির কুমার মজুমদারের সঙ্গে। তিনি জানান,
 অনেকে সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পর অস্বস্তিতে ভোগেন। তাঁরা লবঙ্গ, দারচিনি, কিংবা আদা মুখে পুরে নিতে পারেন। সিগারেটের দরকার হবে না তাতে।
 যখনই সিগারেটের চাহিদা অনুভব করবেন, নিজেকে তখন জড়িয়ে নিন প্রচুর মনোযোগ দরকার হয় এমন কোন কোনো কাজে।
 ধূমপায়ী বন্ধুদের এড়িয়ে চলুন। ধূমপায়ী বন্ধুদের সঙ্গে থাকবেন আবার সিগারেটও ছেড়ে দেবেন, এ পদ্ধতি একটু জটিলই।
 আর মা-বাবাকেও সচেতন হতে হবে। সন্তান সিগারেটে আসক্ত হতেই পারে। তাকে তিরস্কার না করে ভালোবাসা দিয়ে এ পথ থেকে ফিরিয়ে আনুন। আপনার সন্তানও তখন হয়তো তার প্রিয় মানুষকে এ নেশার পথ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।Suvro

সাদাকালো পটভূমিতে রঙিন ছবি

আমরা অনেক সময় ছবিতে সাদাকালো ব্যাকগ্রাউন্ডে (পটভূমি) রঙিন ছবি দেখে থাকি। অর্থাৎ পুরো ছবিটি থাকে সাদাকালো পটভূমিতে, কিন্তু ছবির নির্দিষ্ট একটি অংশ থাকে রঙিন। আপনি ইচ্ছা করলে যেকোনো ছবির সাদাকালো পটভূমিতে ছবির নির্দিষ্ট স্থানে রঙিন করে দিতে পারেন। এই কাজটি আপনি এডোবে ফটোশপের সাহায্যে করতে পারেন। প্রথমে ফটোশপের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ছবিটি ওপেন করুন। এখন সবার ওপরে Layer বাটন থেকে new Adjustment Layer অপশনে যান এবং Layer লেখা বক্সটি OK করে দিন। এখন Hue/Saturation লেখা একটি বক্স আসবে। এখানে লেখা Hue স্লাইডারটি টেনে একেবারে বাঁ পাশে নিয়ে আসুন অথবা Hue লেখা বক্সে ১৮০ লিখে দিন। এরপর Saturation লেখা বক্সটি টেনে একেবারে বাঁ পাশে নিয়ে আসুন অথবা Saturation লেখা বক্সে ১০০ লিখে দিন। এরপর OK দিন। এখন দেখুন আপনার পুরো ছবিটি সাদাকালো হয়ে গেছে। এখন টুলবার থেকে ব্রাশ টুল সিলেক্ট করুন। এখন Set foreground color অপশন থেকে foreground color হিসেবে কালো রং দিন। এখন আপনি ছবির যে অংশটি রঙিন সেখানে মাউস দিয়ে ড্রাগ করুন। তাহলেই দেখবেন কাঙ্ক্ষিত অংশটি রঙিন হচ্ছে। ছবিটি সম্পাদনার কাজ শেষ হলে File/save as অপশনে গিয়ে JPG ফরমেটে ছবিটি সেভ করুন।Suvro

আগামী বছর আসছে ফেসবুক স্মার্টফোন!

বিশ্বসেরা সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুক এবার স্মার্টফোন নিয়ে আসছে। আগামী বছর ফেসবুকের তৈরি স্মার্টফোন বাজারে আসছে বলে জানা গেছে। মোবাইলে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, তাই মোবাইলের নানা সেবা কেনার পাশাপাশি এবার পূর্ণাঙ্গ স্মার্টফোনই তৈরি করছে ফেসবুক। ইতিমধ্যে এ নিয়ে চলছে নানা ধরনের আলোচনা। অ্যাপলের আইফোন আর আইপ্যাড তৈরির সঙ্গে একদল সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রকৌশলীকে ইতিমধ্যে ফেসবুকের স্মার্টফোন তৈরির জন্য নিয়োগও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ২০১০ সালে প্রথম ফেসবুক নিজেদের স্মার্টফোন তৈরি করবে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়, যা নানা সমস্যার কারণে আলোর মুখ দেখেনি। এ বিষয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, মুঠোফোনসংশ্লিষ্ট সব অংশ নিয়েই ফেসবুক কাজ করছে।
ফেসবুকের স্মার্টফোনটি কেমন হবে, কোন অপারেটিং সিস্টেম চালিত হবে—এসব এখনো জানা যায়নি। কারণ, তৈরির প্রক্রিয়াটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে বলে এক সূত্রে জানা গেছে। এর পাশাপাশি ফেসবুক নিজস্ব ব্রাউজার তৈরি করতে অপেরাকে কিনে নেওয়ার বিষয়ে ভাবছে বলেও জানা গেছে। নানা ধরনের প্লাগ-ইনভিত্তিক ব্রাউজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অপেরাকে নিয়ে ফেসবুক নতুনভাবে কাজ করার চেষ্টা করছে। এ মুহূর্তে ২০ কোটি ব্যবহারকারী অপেরা ব্রাউজার ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে মোবাইলে অপেরা ব্যবহারের হার বেশি। ফেসবুকের সঙ্গে অপেরা যুক্ত হলে দারুণ এক ব্রাউজার হতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তিবিশেষজ্ঞরা। —টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে Suvro

অণুতে অলিম্পিকের লোগো!

সম্প্রতি গবেষকেরা নতুন ধরনের অণু সংশ্লেষ করেতে গিয়ে এর গঠন চিত্রের সঙ্গে অলিম্পিক লোগোর পাঁচটি বৃত্তের অদ্ভুত এক মিল খুঁজে পেয়েছেন। এক খবরে বিবিসি জানিয়েছে, অলিম্পিক লোগোর সঙ্গে মিল থাকায় গবেষকেরা এ অণুর নাম রেখেছেন ‘অলিম্পিসিন’।
এক মিটারের বিলিয়ন ভাগের এক ভাগ আকারের এই কার্বন অণুটি পারমাণবিক মাইক্রোস্কোপে পরীক্ষা করেছেন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস (আইবিএম) ও ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইকের গবেষকেরা।
আইবিএম রিসার্চের গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা প্রথমবারের মতো পেন্টাসিন নামে একটি অণু তৈরিতে সফল হয়েছেন। এ অণুটি একটি রেখার ওপর পাঁচটি বৃত্ত তৈরি করেছে, যা হুবহু অলিম্পিক লোগোর মতো।
অলিম্পিক লোগো সদৃশ এ অণু তৈরির ধারণা দিয়েছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান গবেষক গ্রাহাম রিচার্ড। তাঁর ধারণা নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইকের গবেষক অনীশ মিস্ত্রি ও ডেভিড ফক্স স্ক্যানিং টানেলিং পদ্ধতিতে নতুন এই অণুর রেসিপি তৈরি করেন।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, অলিম্পিসিনের ছবি দেখে এর গঠনটি স্পষ্ট বোঝা যায়। এ ছাড়া এ গবেষণার ফলে ‘গ্রাফিনি’র মতো কার্বনের যৌগ কীভাবে গঠিত হয় সে সম্পর্কেও জানা যাবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান গবেষক গ্রাহাম রিচার্ড জানিয়েছেন, ‘অলিম্পিসিন’ তৈরির সাফল্য রসায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে আরো বেশি আগ্রহী করে তুলবে।

তৈরি করুন নিজের ছবির আইকন

কম্পিউটারের ফোল্ডারের আইকন হিসেবে ইচ্ছা করলে আপনি নিজের ছবি ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য আপনার লাগবে ‘ইমেজ আইকন’ নামের একটি সফটওয়্যার। মাত্র ১.০১ মেগার ছোট্ট এই সফটওয়্যারটি http://www.ziddu.com/download/9779577/Imagicon-www.biggani.tk.exe.html ঠিকানার সাইট থেকে নামিয়ে নিন। এরপর সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে চালু করুন। ইমেজ আইকন ওপেন করে যে ছবিটির আইকন তৈফর করতে চান সেটি মাউস দিয়ে ড্রাগ করে সফটওয়্যারটি ছেড়ে দিন, তাহলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইকন তৈরি হয়ে যাবে।
যেকোনো ফোল্ডারের আইকন পরিবর্তন করতে ফোল্ডারের ওপর মাউস রেখে properties/customize/change icon-এ যান। এখন ব্রাউজ করে আইকনটি যেখানে রয়েছে সেখানে যান এবং নির্বাচন করুন। তাহলেই আপনার পছন্দের ছবিটি ফোল্ডারের আইকন হিসেবে দেখতে পাবেন।Suvro

ফেসবুক ব্যবহারের বই প্রকাশিত

সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুক ব্যবহারের নানা বিষয় নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘ফেসবুক ম্যানুয়াল’। মুনিরুল হাসানের লেখা বইটি প্রকাশ করেছে সিসটেক পাবলিকেশন্স লিমিটেড। একেবারে নতুন ব্যবহারকারীদের প্রতি দৃষ্টি রেখে ফেসবুক ব্যবহারের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো বইটিতে রাখা হয়েছে। বিষয়গুলোর মধ্যে আছে অ্যাকাউন্ট সেটআপ, প্রাইভেসি সেটআপ, প্রোফাইল তৈরি, বন্ধু খোঁজা, ফেসবুক টাইমলাইন, মোবাইল ফোনে ফেসবুক, ফেসবুক গ্রুপস ইত্যাদিসহ আরও অনেক কিছু। ১৯২ পৃষ্ঠার বইটির দাম ১২০ টাকা। Suvro

ইরানে ছড়িয়েছে ‘ফ্লেইম’ ভাইরাস

কম্পিউটার নিরাপত্তা সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি ল্যাব জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে এখন ‘ফ্লেইম’ নামের কম্পিউটার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। স্টাক্সনেট ও ডকুর পর কম্পিউটার ম্যালওয়্যার হিসেবে ফ্লেইমই সবচেয়ে বড় ঝুঁকির। ফ্লেইম নামের জটিল এই কম্পিউটার ভাইরাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ইরান। এক খবরে বিবিসি জানিয়েছে, ইরানের দাবি, তারা এই ম্যালওয়্যারটির প্রতিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
ক্যাসপারস্কির ভাষ্য, ফ্লেইম ম্যালওয়্যারটি নেটওয়ার্কে আক্রমণ করে তথ্য চুরি করতে ও তথ্য মুছে দিতে সক্ষম। এ ছাড়া অন্যান্য ভাইরাসের চেয়ে এর কোড আলাদা হওয়ায় অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে এটি সরিয়ে ফেলা সম্ভব নয়।
ইরানের ন্যাশনাল কম্পিউটার ইমারজেন্সি রেসপনস টিম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মে মাসের শুরুতেই ফ্লেইম ভাইরাসটি অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে তারা। যেসব প্রতিষ্ঠান এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, তাদের জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা সরবরাহের প্রস্তুতি নিয়েছে ইরান।

পুরোদমে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কাজল

ঘর-সংসার সামলে ছবিতে অভিনয়ের জন্য খুব বেশি সময় বের করতে পারছিলেন না বলিউডের অভিনেত্রী কাজল। তবে আবারও পুরোদমে অভিনয় করতে চান ৩৭ বছর বয়সী এ তারকা। এরই মধ্যে এর প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। প্রায় এক বছর ধরে ঘাম ঝরিয়ে শরীর থেকে বাড়তি মেদ সরিয়ে ফেলছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই তিনি রূপালি পর্দায় ফিরবেন এবং নিয়মিত অভিনয় করবেন।
এ প্রসঙ্গে কাজলের উদ্ধৃতি দিয়ে টিওআই জানিয়েছে, ‘মা হওয়ার পর আমার শরীরের ওজন বেড়ে গিয়েছিল। শরীরকে সুন্দর অবয়বে ফিরিয়ে আনতে আমাকে অনেক ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। প্রায় এক বছর ধরে নিয়মিত শরীরচর্চা করছি। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও লাগাম টেনে ধরেছি। এসব ঝক্কি পোহাচ্ছি আমার একমাত্র লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশেই। আর সেটা হলো ছবিতে নিয়মিত অভিনয়।’
কাজল আরও বলেছেন, ‘আমি সারা জীবন ধরে অভিনয়ের কাজটিই করতে চেয়েছি। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছিল, আমার জীবনের ছন্দ থেমে যাচ্ছে। আজন্মলালিত অভিনয়ের স্বপ্ন থেকে ধীরে ধীরে যেন সরে যাচ্ছিলাম। তবে এমনটা আমি কিছুতেই হতে দেব না। আর তাই আবারও পুরোদমে ছবিতে অভিনয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি।’
কাজ ছাড়া খুব বেশি বাইরে বের হন না কাজল ও তাঁর স্বামী অজয় দেবগান। এ জন্য তাঁদের কেউ কেউ অসামাজিক বলেও অভিহিত করেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর লক্ষ্যে ইচ্ছে করেই কী খুব বেশি বাইরে বের হন না—এমন প্রশ্নের জবাবে কাজল বলেছেন, ‘হ্যাঁ, সচেতনভাবেই আমরা দুজন মিলে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ প্রচণ্ড ব্যস্ততার পর যেটুকু সময় আমরা পাই, সেটা পরিবারের পেছনেই ব্যয় করার চেষ্টা করি।’
কাজল আরও বলেছেন, ‘অবশ্য আরও কিছু কারণও আছে। আমি ও অজয় খুবই আলসে প্রকৃতির। এ জন্য পারতপক্ষে ঘরের বাইরে যাই না আমরা। এ ছাড়া খুব বেশি সামাজিক হলে বাইরে অনেক সময় দিতে হয়। তার চেয়ে বরং সেই সময়টা সন্তানদের পেছনে ব্যয় করতে কিংবা বই পড়ে ও ছবি দেখে কাটিয়ে দিতেই বেশি ভালো লাগে আমার। এর জন্য কেউ যদি আমাকে আত্মকেন্দ্রিক এবং অলস বলেন, তাতে দ্বিমত করব না আমি।’Suvro

জমি মাপার ডিজিটাল যন্ত্র

জমি পরিমাপের কাজে ব্যবহারের জন্য ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্র তৈরি করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থী মো. আল-হেলাল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। ডিজিটাল জমি পরিমাপক যন্ত্র সম্পর্কে তিনি জানান, ‘জমি বা যেকোনো কিছু মাপতে সাধারণভাবে আমরা ফিতা বা স্কেল ব্যবহার করি। এতে সময়ের যেমন অপচয় হয় তেমনই প্রায়ই নির্ভুল পরিমাপও সম্ভব হয় না। কিন্তু ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্রের সাহায্যে যেসব জায়গায় ফিতা বা চেন নিয়ে মাপা সম্ভব নয় যেমন নদীর ভেতরে, কোনো সেতুর উচ্চতা বা কোনো উঁচু ভবনের কোনো অংশের দৈর্ঘ্য ইত্যাদি এ যন্ত্রের সাহায্যে দূর থেকেই মাত্র কয়েকটি বোতামে চাপ দিয়ে নির্ভুলভাবে তা নির্ণয় করা যাবে। এ জন্য নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে বস্তুর কাছে যাওয়ারও দরকার নেই। আর এ যন্ত্রের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে দূরত্বটি প্রদর্শিত হবে ডিজিটাল মনিটরে। তাই অত্যন্ত সূক্ষ্ম এমনকি দশমিক-এর পরে প্রায় চার-পাঁচ ঘর পর্যন্ত মান নেওয়া যাবে, যা ফিতা দিয়ে মেপে বের করা প্রায় অসম্ভব।’
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এ যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছে মাইক্রোপ্রসেসর। আর সি প্রোগামিং ভাষায় লেখা হয়েছে এর প্রোগ্রাম। মাত্র দুই-তিন হাজার টাকার মধ্যেই এ যন্ত্র তৈরি করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
হেলালের বন্ধু তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল (ইইই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার মারছুস জানান, পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও তাঁর এই প্রকল্পের জন্য কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিক সার্কিটের ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হয়েছে। এ জন্য তাঁর লেগে গেছে কয়েকটি বছর। তার পরও তিনি হাল ছাড়েননি। শিক্ষক ও বন্ধুদের উৎসাহে তিনি শেষ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখেন।
আল-হেলালের শিক্ষক কামরুজ্জা-মান জানান, ‘ডিজিটাল যুগে পরিমাপে ফিতা বা স্কেল থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই হেলালের এ প্রচেষ্টা, যা তিনি বাস্তবে রূপ দিতে সক্ষম হয়েছেন।’ শিক্ষকদের উদ্যোগে তাঁর এ প্রকল্পটিকে নিয়ে সম্প্রতি ক্যাম্পাসে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীতে রুয়েটের উপাচার্য সিরাজুল করিম চৌধুরীসহ পুরোকৌশল বিভাগের শিক্ষকেরা উপস্থিত থেকে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক ইকবাল মতিন এ যন্ত্র সম্পর্কে বলেন, ‘এটি আসলেই একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সরকারি-বেসরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ যন্ত্র দেশের বাইরেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে—যা দেশের জরিপের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।Suvro

টমেটোর সুঘ্রাণ ও সুস্বাদ আরও বাড়বে!

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই টমেটো স্বাদ ও গন্ধ আরও উন্নত হবে। এক খবরে বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা টমেটোর জিন গবেষণার মাধ্যমে আরও স্বাদু ও মিষ্টিপ্রজাতির টমেটো উত্পাদনে সফল হওয়ার দাবি করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, ১৪টি দেশের ৩০০ জনেরও বেশি গবেষক টমেটোর জেনোম সিকোয়েন্স প্রকল্পে কাজ করেছেন। গবেষকেদের দাবি, বাড়িতে চাষ করা টমেটোর সুঘ্রাণও তৈরি হবে। গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার’ সাময়িকীতে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, টমেটোর জিনের তথ্য বিশ্লেষণ করার এ সাফল্য টমেটোর জন্য কীটনাশকের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেবে। জিনগত বিশ্লেষণ করে নতুন প্রজাতির টমেটো উত্পাদনের পথও খুলে যাবে।
নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক গ্রাহাম সিমুর এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে প্রতিবছর টমেটোর বাজার দাঁড়ায় ৩০ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারে। টমেটোর জিন সিকোয়েন্সের এ সফলতা টমেটোর বাজারকে আরও বাড়াতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি এর ফলে টমেটো অনেক দিন সংরক্ষণ করা যাবে ও রং হবে আরও লাল, ঘ্রাণযুক্ত ও মিষ্টি।Suvro

ধূমপান ছাড়ার ৫ ‘অ্যাপ’!

৩১ মে অ্যান্টি টোব্যাকো ডে বা বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন) এক জরিপ অনুসারে, সারা বিশ্বে প্রতি মিনিটে এক কোটি সিগারেট বিক্রি হয়। অনেকেই ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়ার পর সহজে তা আর ছাড়তে পারেন না। তবে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ধূমপান আসক্তি থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এ ধরনের কিছু অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে লাইভস্ট্রং, মাই লাস্ট সিগারেট, কুইট স্মোকিং, কুইট নাউ ও কিক স্মোকিং। এগুলো ধূমপান থেকে বিরত রাখতে কাজে লাগতে পারে।
‘লিভস্ট্রং’ অ্যাপ্লিকেশনটি আইওএস ডিভাইসের বিনামূল্যের একটি অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপ। এই অ্যাপ্লিকেশনটির সাহায্যে সিগারেট ছাড়ার পরিকল্পনা ঠিক করে নেওয়া যায় ও এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন উপদেশ ও উন্নতির তালিকা দেখা যায়। উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট ব্যাজও দেখায় অ্যাপ্লিকেশনটি।
‘মাই লাস্ট সিগারেট’ অ্যাপ্লিকেশনটিও আইওএসচালিত পণ্যের জন্য। এই অ্যাপটির জন্য ১ দশমিক ৯৯ ডলার খরচ করতে হবে। অ্যাপ্লিকেশনটি ধূমপানের বিভিন্ন কুফল বিষয়ে নির্দেশনা দেয় ও ধূমপান ছাড়ার প্রক্রিয়াটির তথ্য সংরক্ষণ করে।
কুইট স্মোকিং আর কুইট নাউ দুটি বিনামূল্যের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন। ধূমপানের ইতিহাস আগে ভাগে এই অ্যাপ্লিকেশনে দিয়ে রাখতে হয়। এরপর ধূমপানের ইচ্ছা জাগলেই অ্যাপ্লিকেশনের লাল বাটনে চাপ দিয়ে পুরো বিষয়টির তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায় এবং উন্নতির বিষয়টিও লক্ষ করা যায়। কিক স্মোকিং হচ্ছে বিনামূল্যের উইন্ডোজ ফোন অ্যাপ্লিকেশন। আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ্লিকেশনের মতো উইন্ডোজের এই অ্যাপ্লিকেশনটিও ধূমপান ছাড়ার পর উন্নতির বিষয়টির তথ্য দেখায়।Suvro

‘ড্রাকুলা’ বাতি!

পরিবেশ ধ্বংস আর জ্বালানির অপব্যবহার রোধে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের এক নকশাবিদ অদ্ভুত ধরনের একটি বাতি তৈরি করছেন। এ বাতি জ্বালাতে বিদ্যুতের কোনো প্রয়োজন পড়ে না। কেবল মানুষের রক্তের সংস্পর্শে এলেই তা একধরনের উজ্জ্বল নীল আলো ছড়ায়। এক খবরে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, রক্তচালিত এ রাসায়নিক বাতিটির উদ্ভাবক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক নকশাবিদ, মাইক থম্পসন।
এ বাতির উদ্ভাবক থম্পসনের দাবি, রক্তচোষা ড্রাকুলার মতো এই বাতিটির মধ্যে রক্ত সঞ্চারিত করা হলে উজ্জ্বল নীল দীপ্তি ছড়াতে থাকে। বাতিটির মধ্যে থাকে একধরনের রাসায়নিক পদার্থ। রক্তের সংস্পর্শে এসে তা বিক্রিয়া করে আলোর উত্স হিসেবে কাজ করে। তিনি তাই এই বাতির নাম রেখেছেন ‘ড্রাকুলা’।
থম্পসন জানিয়েছেন, যদি জীবনের বিনিময়ে মানুষকে শক্তি উত্পাদন করতে হতো, তাহলে মানুষ আর শক্তির অপচয় করত না এবং পরিবেশকেও ঝুঁকির মুখে ফেলতো না। মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে নিয়ে ড্রাকুলা বাতি তৈরি করেছেন তিনি।Suvro

বিয়ের পর কৃপণ সেজেছেন জাকারবার্গ!

বিয়ের আগে এ বদনাম না থাকলেও বিবাহিত জাকারবার্গ নাকি কৃপণতা শুরু করেছেন! এক খবরে যুক্তরাজ্যের টেলিগ্রাফ পত্রিকাটি জানিয়েছে, বিয়ের পর নাকি রীতিমতো কৃপণ হয়ে উঠেছেন মার্ক জাকারবার্গ!
পকেট থেকে নাকি একেবারেই টাকা-পয়সা বের করতে চাইছেন না! নিন্দুকেরা বলাবলি করছেন, বিয়ের আগে জাকারবার্গ যে পরিমাণ খরচ করতেন, বিয়ের পর থেকে তিনি নাকি একেবারে হাত গুটিয়ে নিয়েছেন।
১৮ মে বিশ্বের শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জাকারবার্গ বিয়ে করেছেন তাঁর দীর্ঘদিনের বান্ধবী চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক প্রিসিলা চ্যানকে। বিয়ের পর এই জুটি এখন মধুচন্দ্রিমায় ব্যস্ত আর কপৃণতার এই খবর রটেছে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার পর থেকেই। রোমে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েই নাকি কৃপণতা দেখাতে শুরু করেছেন জাকারবার্গ। তবে কি বিয়ের পর হাতে টান পড়েছে ২০ বিলিয়ন ডলারের মালিকের?
টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, রোমে হানিমুনে গিয়ে সস্ত্রীক একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলেন জাকারবার্গ। সেখানে তাঁরা মাত্র ৩২ ইউরো খরচ করে দুপুরের খাবার খেয়েছেন। খাবারের পর সামান্যতম বকশিশটুকুও দেননি এই ২০ বিলিয়নের তিনি!Suvro

ওয়ানডেকে বিদায় বললেন পিটারসেন

এই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের অন্যতম প্রধান ভরসা হতে পারতেন কেভিন পিটারসেন। কিন্তু আজ আকস্মিকভাবেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন এই মারমুখী ইংলিশ ব্যাটসম্যান। এখন থেকে শুধু টেস্ট ক্রিকেটই খেলবেন তিনি। তাঁর এ সিদ্ধান্তে অবশ্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিউজ মরিস।
আজ এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে পিটারসেন বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সময়সূচি ও আমার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে সরে দাঁড়ানোটাই আমার কাছে সময়োচিত সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছে। ২০১৫ সালের পরবর্তী বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের তরুণ ক্রিকেটাররা অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবে—এমনটাই আশা করছি। আমি আমার ওয়ানডে ক্যারিয়ার নিয়ে খুবই গর্বিত আর এখনো আমি ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যেতে পারব বলে আশা রাখি।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা হয়তো এবারের বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলে যেতে পারতেন কেভিন পিটারসেন। কিন্তু ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তি অনুযায়ী কেউ যদি এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনি টি-টোয়েন্টির জন্যও বিবেচিত হবেন না। কারণ, দুটি ফরম্যাটই একে-অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত বলে মনে করে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড। নির্বাচন প্রক্রিয়ার এই বাধাটা না থাকলে এবারের বিশ্বকাপটা খেলতেন বলেই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পিটারসেন।
পিটারসেনের আকস্মিক এই বিদায়ের ঘোষণায় মর্মাহত হয়েছেন ইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিউজ মরিস। তিনি বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের শিরোপা ধরে রাখার লড়াই শুরু হওয়ার আর মাত্র চার মাস বাকি। এই সময়ে পিটারসেনের অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তে আমরা খুবই হতাশ হয়েছি। কেভিন একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড়। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে অসামান্য অবদান রাখার জন্য আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আর আশা করছি তিনি হয়তো ভবিষ্যতে টেস্ট ক্রিকেটে আরও অবদান রাখবেন।’
২০০৪ সালে অভিষেকের পর ৩১ বছর বয়সী পিটারসেন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছিলেন ১২৭টি ওয়ানডে ও ৩৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ওয়ানডেতে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে চার হাজার ১৮৪ রান। টি-টোয়েন্টিতে করেছিলেন এক হাজার ১৭৬ রান।Suvro

সৌদি হাসপাতালে জিনের উপদ্রব!

সৌদি আরবে দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত একটি পুরোনো হাসপাতালে নাকি জিনের আছর পড়েছে। এ নিয়ে রাজধানী রিয়াদে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। জিনের খোঁজে ওই হাসপাতালে হানা দিয়েছে শত শত তরুণ। গতকাল বুধবার রয়টার্সের এক খবরে এ কথা জানানো হয়।
রিয়াদে অবস্থিত কথিত ভূতুড়ে হাসপাতালটির নাম ইরকা হসপিটাল। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধে হতাহত সেনাদের নিয়ে আসা হতো ওই হাসপাতালে। সেখানে জিনের উপদ্রব আছে—এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর শত শত তরুণ হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
গত সপ্তাহে স্থানীয় ‘ওকাজ’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ‘হাসপাতালে জিন রয়েছে উল্লেখ করে ওই জিনের ওপর হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়ে তরুণেরা পরস্পরকে খুদে বার্তা পাঠায়। এরপর তারা ওই হাসপাতালে গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানকার দরজা-জানালা ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে তরুণেরা। আগুন ধরিয়ে মালামালের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়িয়ে ফেলে।’
ক্ষুব্ধ তরুণদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের মেরামতের অভাবে এমন বেহাল দশা হয়েছে হাসপাতালটির। এদিকে হাসপাতালের পরিত্যক্ত কক্ষগুলোতে অশরীরী কিছুর অস্তিত্ব প্রমাণে অনুসন্ধানরত তরুণদের ধারণ করা কয়েকটি ভিডিওচিত্র ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে। যেখানে তরুণদের দাঁত বের করে হাসতে দেখা যায়। এ রকম এক ভিডিওচিত্রে একটি গাছে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। জিন শিকারিরাই গাছটিতে আগুন লাগিয়েছে।
এই জিন-জ্বর এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও গত সোমবার দ্রুত এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রকাশ করে। যেখানে তারা জীর্ণ হাসপাতালটির দায়দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাসপাতালটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। এটি এত জরাজীর্ণ যে পুনরায় চালু করা কঠিন।
ইংরেজি দৈনিক ‘সৌদি গেজেট’-এর একজন কলাম লেখক গত মঙ্গলবার জিনদের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে হাসপাতাল ভবনটির মালিকদের সহযোগিতা চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। এতে বলা হয়, ‘এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে জিন-বিষয়ক এই কাণ্ড-কারখানায় আমরা হাঁপিয়ে উঠেছি।’Suvro