রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১২

বৃষ্টির ফোঁটার আঘাতে মশা মরে না কেন?

একফোঁটা বৃষ্টি মশার গায়ে পড়লে সেটা তার ওজনের ৫০ গুণ বেশি জোরে চাপ দেয়। এর ফলে মশা মরে চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ওরা দিব্যি বৃষ্টির মধ্যে উড়ে বেড়ায়। এটা সম্ভব হয় মূলত দুটি কারণে। প্রথমত, মশা খুবই হালকা; দ্বিতীয়ত, মশার বাইরের গায়ের শক্ত কাঠামো। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, মশা বৃষ্টির ফোঁটার সঙ্গে গা এলিয়ে দিয়ে নিচে পড়তে থাকে, কোনো বাধা দেয় না। একটা হালকা বেলুনকে ঘুষি মারলে বেলুন যেমন ফাটে না, বরং উড়ে যায়, মশার বেলায়ও সে রকমই হয়। ওরা বৃষ্টির ফোঁটার সঙ্গে নিচে পড়তে থাকে, কিন্তু মাটিতে পড়ার আগমুহূর্তে নিজেকে সরিয়ে নেয়। মশার লম্বা পা ও পাখা তাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করে। তা ছাড়া ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে বৃষ্টির ফোঁটা মশার পাখার ফাঁক গলে পড়ে যায়। বৃষ্টিতে মশার আচরণ পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ভিডিওচিত্র গ্রহণ করে পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য জানা গেছে।

আপনার ই-মেইলের পাসওয়ার্ড কেউ জানে? ইয়াহুর ক্ষেত্রে

ইয়াহুর ক্ষেত্রে: প্রথমে ইয়াহু মেইলে লগইন করে আপনার নামের ওপর ক্লিক করে Account Information নির্বাচন করুন। পাসওয়ার্ড দিতে বললে পুনরায় পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। এখন নতুন পেইজ এলে বাঁ পাশ থেকে Sign-In and Security এর সবার নিচের View your recent login activity-তে ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে দেখতে পাবেন আপনার কম্পিউটারের বর্তমান আইপি ঠিকানা এবং গত ১০ বার কোন দেশ থেকে, কত তারিখ, কতটার সময়, ব্রাউজার না ইয়াহু মেসেঞ্জার দিয়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছে এবং তখন কী কী কাজ করা হয়েছে। ডান পাশে Location থেকে IP Address নির্বাচন করে দিলে দেখতে পাবেন কোন কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা হয়েছে। এবং নিচে View More-এ ক্লিক করলে গত ২০ বার কোন কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা হয়েছে, তা-ও দেখতে পাবেন। আপনি যদি সব সময় একই কম্পিউটার থেকে লগইন করে থাকেন এবং একই কোম্পানির ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আইপি ঠিকানার চারটি অংশের মধ্যে প্রথম দুটি অংশের ঠিকানা একই থাকবে। তখন যদি দেখেন ভিন্ন কোনো আইপি থেকে বা ভিন্ন কোনো সময়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছিল এবং ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সটবক্সে পেস্ট করে IP Whois বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে জানতে পারবেন ওই আইপি ঠিকানাটি কোন সার্ভিস প্রোভাইডারের, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি। এমনকি একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। ইয়াহু মেইলের বিভিন্ন ভার্সন আছে যেমন ক্ল্যাসিক, বিটা ইত্যাদি। তাই বিভিন্ন ভার্সনে এই অপশনগুলো বিভিন্ন জায়গায় থাকতে পারে।

শত্রু থেকে বন্ধু হলো ফেসবুক ও ইয়াহু!

পেটেন্ট নিয়ে মামলার ঝামেলা মিটিয়ে ইয়াহু ও ফেসবুক বন্ধু হলো। ইন্টারনেটভিত্তিক এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। পাশাপাশি দুই পক্ষ পরস্পরের পেটেন্ট ব্যবহারে সম্মত হয়েছে। এক খবরে বিবিসি জানিয়েছে, ইয়াহুর অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রস লেভিনসন উদ্যোগী হয়ে ফেসবুকের সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তি করেছেন।
চলতি বছরের মার্চ মাসে ১০টি পেটেন্ট ভঙ্গের অভিযোগ তুলে ফেসবুকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা করেছিল ইয়াহু। মামলার পরপরই মাইক্রোসফট ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনসের (আইবিএম) কাছ থেকে বেশ কিছু পেটেন্ট কিনেছিল ফেসবুক। ইয়াহুর বিরুদ্ধে ফেসবুকও পাল্টা মামলা করেছিল। দুই ইন্টারনেটভিত্তি প্রতিষ্ঠানের এই মামলা প্রযুক্তিবিশ্বে বেশ আলোচিত হয়েছিল।
ফেসবুক ও ইয়াহু নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করায় এবং পরস্পরের পেটেন্ট ব্যবহার করতে সম্মত হওয়ায় দুই পক্ষই সুবিধা ভোগ করবে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।
ফেসবুকের সঙ্গে মামলা মেটানোসহ পারস্পরিক প্রযুক্তি ব্যবহারের যে সমঝোতা হয়েছে তাতে রস লেভিনসন ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্থায়ী পদটির জন্য শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন। উল্লেখ্য, ইয়াহু পরিচালনা পর্ষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে শিগগিরই। জীবনবৃত্তান্তে ভুল তথ্যের অভিযোগে ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী পদ থেকে স্কট থম্পসন সরে দাঁড়ানোর পর অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করছেন রস লেভিনসন।

মাস্টারমশাইয়ের জন্য...

তখন সবে ভোরের আলো ফুটেছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার কাছে সুটিয়া গ্রামের নারীরা অন্যদিনে এ সময় ব্যস্ত হয়ে পড়েন ঘরের কাজকর্মে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার কেউ ঘরে ছিলেন না। সুটিয়ার শত শত নারী সেদিন রাস্তায়। পুলিশ ফাঁড়ির বাইরে, ভেতরে। কারও হাতে ঝাড়ু, কারও হাতে মোটা বাঁশের লাঠি। মুখে ঘৃণা আর বিদ্বেষ। নারীরা লন্ডভন্ড করে দিয়েছে সুটিয়ার পুলিশ ফাঁড়ি। পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করেছেন সবকিছু। এরপর নেমেছেন রাস্তায়। ভোর পাঁচটা থেকে টানা ১০ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন গোবর ডাঙা-বেরিগোপালপুর সড়ক।
হতভম্ব পুলিশ ও প্রশাসন কিছুই করতে পারেনি। বিক্ষোভ ও অবরোধ থেকে সরাতে পারেনি নারীদের।
নারীদের এই অবরোধ নিজের জন্য নয়। প্রিয় মাস্টারমশাই বরুণ বিশ্বাসের জন্য। যিনি তাঁদের বাঁচিয়েছিলেন জঘন্য এক জীবন থেকে। অন্ধকার থেকে আলোয় এনেছিলেন যিনি।
টাইম নিউজ নেটওয়ার্কে প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের সুটিয়া গ্রামটি মাত্র কয়েক বছর আগেও সুটিয়া নামে পরিচিত ছিল না। ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল ছিল সুটিয়ার জন্য ভয়ংকর এক সময়। এটি তখন পরিচিত ছিল ‘ধর্ষণের গ্রাম’ হিসেবে। গণধর্ষণ ছিল এই গ্রামের প্রতিদিনের ঘটনা। সুটিয়াতে এমন একটি দিন যায়নি যেদিন কোনো নারীকে ধর্ষিত হতে হয়নি। মায়ের সামনে সন্তানকে, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে, সন্তানের সামনে মাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কোনো নারী প্রতিবাদ করলে গণধর্ষক চক্র হয়ে উঠত আরও ভয়ংকর। জোর করে বাড়িতে ঢুকে সেই নারীর পরিবারের সবাইকে ধর্ষণ করত তারা। সবাই সবকিছু জানত। সবকিছু জানত পুলিশও। কিন্তু কেউ কিছু করত না। সবকিছু জেনে না জানার, দেখে না দেখার ভান করে চলত সবাই। এর মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন একজন। স্কুলশিক্ষক বরুণ বিশ্বাস। ২৬ বছর বয়সের এই স্কুলশিক্ষকই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রথম আওয়াজ তোলেন। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন বরুণ। একসময় গণধর্ষক চক্র পিছু হটতে বাধ্য হয়। বেঁচে যান সুটিয়ার নারীরা।
তবে বরুণকে প্রাণ হারাতে হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় গোধরা স্টেশন থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে তিন মোটরসাইকেল আরোহী বরুণকে গুলি করে হত্যা করে। জনসম্মুখে বরুণের বুকে গুলি চালায় তারা। এর আগেও একাধিকবার বরুণের ওপর হামলা হয়েছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নেওয়ায় যেসব গ্যাংস্টারকে কারাগারে যেতে হয়েছে বা লুকাতে হয়েছে তারাই খুন করেছে মাস্টারমশাই বরুণকে। এমনটাই মনে করে সুটিয়ার নারীরা। আর তাই মাস্টারমশাইয়ের খুনিদের বিচারের দাবিতেই রাস্তায় নেমেছেন সুটিয়ার নারীরা। ব্যর্থ পুলিশের ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আপনার ই-মেইলের পাসওয়ার্ড কেউ জানে? জিমেইলের ক্ষেত্রে

আপনার মেইলের পাসওয়ার্ড কেউ হয়তো জেনে গেছে এবং সে মাঝেমধ্যে আপনার মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করে। অথবা আপনার মেইল ঠিকানাটি হ্যাকিং হয়ে গিয়েছিল, কোনোভাবে হয়তো পুনরায় উদ্ধার করতে পেরেছেন। এখন কীভাবে জানবেন কে আপনার মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করেছিল অর্থাৎ কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার মেইল ঠিকানায় প্রবেশ করা হয়েছিল?
জিমেইলের ক্ষেত্রে: প্রথমে জিমেইল ঠিকানায় লগইন করে সবার নিচে Last account activity এর ডান পাশে Details-এ ক্লিক করুন। নতুন একটি পেইজ আসবে।
সেখানে আপনার কম্পিউটারের বর্তমান আইপি ঠিকানা এবং গত ১০ বার কখন, কত তারিখ, কোন আইপি ঠিকানা (দেশের নামসহ) থেকে আপনার জিমেইলে প্রবেশ করা হয়েছে, সবগুলোর তালিকা আসবে। আপনি যদি সব সময় একই কম্পিউটার থেকে লগইন করে থাকেন এবং একই কোম্পানির ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আইপি ঠিকানার চারটি অংশের মধ্যে প্রথম দুটি অংশের ঠিকানা একই থাকবে। তখন যদি দেখেন ভিন্ন কোনো আইপি থেকে বা ভিন্ন কোনো সময়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছিল এবং ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সটবক্সে পেস্ট করে IP Whois বাটনে ক্লিক করুন।
তাহলে জানতে পারবেন ওই আইপি ঠিকানাটি কোন সার্ভিস প্রোভাইডারের, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি। এমনকি একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।

ঈশ্বর কণার পরে ‘ডার্ক ম্যাটারের’ খোঁজ

চার দশকেরও বেশি অপেক্ষার পর দেখা মিলেছে গড পার্টিকেল বা ঈশ্বর কণার। এর পর গবেষকেরা কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন?
সুইজারল্যান্ডের ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চের (সার্ন) গবেষকেরা ৪ জুলাই জেনেভায় ঈশ্বর কণা বা হিগস বোসন কণার অনুরূপ একটি কণা আবিষ্কারের ঘোষণা দেওয়ার পর লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার নামের যন্ত্রে নতুন এক গবেষণা শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন।
ঈশ্বর কণার গবেষণায় ক্ষান্ত দিয়ে এবার তাঁরা ছুটবেন আরও একটি রহস্যময় বিষয়ের সমাধান খুঁজতে। তাঁর খুঁজবেন ‘ডার্ক ম্যাটার’ ও ডার্ক এনার্জির কারণ ও স্বরূপ, যা এই মহাবিশ্ব-রহস্যের জট খুলতে সাহায্য করবে তাদের। এক খবরে টেলিগ্রাফ এ তথ্য জানিয়েছে।
পদার্থবিজ্ঞানীদের ধারণা, ‘এই মহাবিশ্বকে একত্রে ধরে রেখেছে একটি শক্তি আর এই বিষয়টিই হতে পারে সেই ডার্ক ম্যাটার। সব খানেই আমাদের ঘিরে রেখেছে ডার্ক ম্যাটার অথচ আমরা ডার্ক ম্যাটারের কোনো অস্তিত্ব টের পাই না। এর কারণ ডার্ক ম্যাটার থেকে কোনো আলোর বিচ্ছুরণ, প্রতিফলন বা আলো তৈরি হয় না। এই ডার্ক ম্যাটার পুরো বিশ্বের ৮৪ শতাংশ দখল করে রেখেছে।’
গবেষকেরা আশা করছেন, লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার ব্যবহার করেই তাঁরা ডার্ক ম্যাটার তৈরি করতে সক্ষম হবেন। অবশ্য এ জন্য তাঁদের ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী কণার বিম বা রশ্মি ব্যবহার করে পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটাতে হবে। সার্ন কর্তৃপক্ষ তাঁদের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ হিগস বোসন কণা নিয়ে আরও গবেষণা চলবে। এরপর মেরামত ও আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করতে এলএইচসি দেড় বছরেরও বেশি সময় বন্ধ রাখা হবে। তাঁরা আশা করছেন, ২০২০ সাল নাগাদ এলএইচসিকে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় করে ‘সুপার এলএইচসি’তে রূপ দেওয়া হবে, যা দুর্লভ কণার সন্ধান দিতে সক্ষম হবে।

হকিংয়ের মস্তিষ্কতরঙ্গ বাক্যে পরিণত করার কাজ শুরু

বিখ্যাত পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের মস্তিষ্কতরঙ্গের গতিবিধির বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানী ফিলিপ লো। তিনি মনে করেন, হকিংয়ের মস্তিষ্কতরঙ্গ শব্দতরঙ্গে পরিণত করা গেলে তাঁর যোগাযোগ-সামর্থ্য রক্ষা করা যাবে।
স্নায়ুতন্ত্রের জটিল রোগে আক্রান্ত হকিং বর্তমানে মুখের মাংসপেশির নড়াচড়া যান্ত্রিক উপায়ে রূপান্তরের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকেন। বিকল্প উপায় হিসেবে তিনি মস্তিষ্কের বার্তা লিখে প্রকাশ করতে পারবেন বলে ফিলিপ লো আশাবাদী। তিনি বলেন, নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন হলে হকিংয়ের যোগাযোগপ্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।
বিশ্বখ্যাত প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেল ওই বিকল্প পদ্ধতি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। হকিংয়ের মোটর নিউরন রোগ ধরা পড়ে ১৯৬৩ সালে। তিনি গত শতকের আশির দশকে একটি আঙুল ব্যবহার করে কম্পিউটারের সাহায্যে বাক্য লিখতে সক্ষম ছিলেন। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হয় এবং তিনি যোগাযোগের জন্য ভিন্ন উপায় ব্যবহার শুরু করেন। এ পদ্ধতিতে তাঁর ডান গালের মাংসপেশি চশমায় সংযুক্ত ইনফ্রারেড সেন্সর ব্যবহূত হয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাহায্যে যোগাযোগের সামর্থ্য হকিং সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। মস্তিষ্ক স্ক্যান করার জন্য তিনি ২০১১ সালে ফিলিপ লোকে অনুমতি দেন। একজন মুখপাত্র বলেন, অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাঁর সহায়তায় নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারসংক্রান্ত গবেষণার ব্যাপারে হকিং সব সময় আগ্রহী। বিবিসি।