বুধবার, ৪ জুলাই, ২০১২

তুলার টি-শার্টে মোবাইল ফোন চার্জ!

স্মার্টফোনের চার্জ ফুরিয়ে গেলে অদূর ভবিষ্যতে পরিধেয় টি-শার্টটির সঙ্গে কেবল চার্জার জুড়ে দিলেই চলবে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা টি-শার্টের সুতায় বিদ্যুত্শক্তি সংরক্ষণ করে রাখার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। এ ধরনের পোশাক তৈরির ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী।
এক খবরে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে, ভবিষ্যতে পরিধেয় পোশাক ব্যবহার করে মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি চার্জ করা যাবে। সাউথ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন প্রকৌশলী তুলার তৈরি টি-শার্টে ‘সুপার ক্যাপাসিটর’ বা বৈদ্যুতিক শক্তি সংরক্ষণ করার পদ্ধতি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
২৬ জুন সংখ্যার অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস সাময়িকীতে এ গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। গবেষক জিয়াওডং লি এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘আমরা প্রতিদিনই বিভিন্ন তন্তু বা সূতার তৈরি পোশাক পরি। একদিন তুলার তৈরি টি-শার্টে আরও নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হবে।’
গবেষক লি তুলার তৈরি একটি টি-শার্ট পরীক্ষাগারে নিয়ে আসেন। এর পর তা তরল রাসায়নিকে ডুবান। টি-শার্টটি রোদে শুকানোর পর সেটি ওভেনে গরম করতে দেন। তিনি দেখেন, টি-শার্টটি যথেষ্ট নমনীয় রয়েছে। লি লক্ষ করেন, তুলার তন্তুগুলো সক্রিয় কার্বনে রূপ নিয়েছে, যা ক্যাপাসিটরের মতো বৈদ্যুতিক শক্তি ধরে রাখতে পারে। আর এই পদ্ধতিটি বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মূলনীতি হিসেবে ব্যবহূত হয়। টি-শার্টকে আরও বৈদ্যুতিক শক্তি ধরে রাখার আধার হিসেবে তৈরি করতে তিনি টি-শার্টের তন্তুর সঙ্গে এক ন্যানোমিটার বা মানুষের চুলের এক হাজার ভাগের এক ভাগ পুরুত্বের ম্যাংগানিজ অক্সাইডের স্তর যুক্ত করেন। যা শতকরা ৯৫ শতাংশ বৈদ্যুতিক শক্তি সংরক্ষণ করে রাখতে সক্ষম।
গবেষক জিয়াওডং লির দাবি, ‘এই পদ্ধতিতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না, তাই এটি পরিবেশবান্ধব। এ ধরনের তন্তুতে তৈরি পোশাক ব্যবহার করে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রে চার্জ করা সম্ভব হবে।’

‘হিগস-বোসন’ কী?

পদার্থবিজ্ঞানী পিটার হিগস ও সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নামে নামকরণ করা হিগস বোসন কণাটি এখনো অনাবিষ্কৃত। হিগস ১৯৬৪ সালে শক্তি হিসেবে এমন একটি কণার ধারণা দেন, যা বস্তুর ভর সৃষ্টি করে। এর ফলে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি সম্ভব হয়। এ কণাটিই ‘ঈশ্বর কণা’ নামে পরিচিতি পায়।
অতিপারমাণবিক কণা হিগস বোসনের অস্তিত্ব প্রমাণ এখন সময়ের ব্যাপার। কয়েক দশকের সতর্ক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এমন দাবিই করছে একদল পদার্থবিজ্ঞানী। এই ‘ঈশ্বর কণার’ অস্তিত্ব জানা গেলে স্থান, কাল ও বস্তু সম্পর্কে মিলবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বলে মনে করেন পদার্থবিদেরা। গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে হিগস-বোসন কণার সহজ ব্যাখ্যা দিয়েছেন ‘ম্যাসিভ: দ্য হান্ট ফর দ্য গড পার্টিকেল’ বইয়ের লেখক ইয়ান স্যাম্পল।