সোমবার, ২০ মে, ২০১৩

এবার জানুন ব্লুটুথ (Bluetooth) সর্ম্পকে কিছু তথ্য…

ব্লুটুথ হল ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতির মধ্যে সংযোগ সাধনের একটি আধুনিক পদ্ধতি।এটি তারহীন এবং স্বয়ংক্রিয়।৯০০ খ্রীস্টাব্দের পরবর্তী সময়ের ডেনমার্কের রাজা Harald Bluetooth-এর নামানুসারে এই প্রযুক্তির নামকরণ করা হয়েছে।
যখন একাধিক যন্ত্রাংশ-এর মধ্যে সংযোগ সাধনের প্রয়োজন হয় তখন উহাদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের পূর্বে বেশ কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত হতে হয়। প্রথম বিষয়টি হল বস্তুগত-যা নিশ্চিত করে যে যন্ত্রাংশ গুলো তার-এর মাধ্যমে নাকি বিনা তারে যোগাযোগ সাধন করবে।আবার তার ব্যবহৃত হলে কতগুলো প্রয়োজন তা-ও জানা প্রয়োজন। বস্তুগত ব্যাপারটি নিশ্চিত হবার পরে আরও বেশ কয়েকটি প্রশ্ন এসে হাজির হয়। সেগুলো হল-কতগুলো তথ্য একত্রে প্রেরিত হবে, অর্থাৎ ১বিট নাকি একাধিক বিট? আবার এটাও নিশ্চিত হতে হয় যে,ঠিক যেই তথ্য পাঠানো হয়েছে ঠিক সেই তথ্যই গৃহিত হল কিনা।অর্থাৎ সঠিক তথ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রয়োজন। ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে রেডিও ফ্রিকোয়ান্সির মাধ্যমে সংযোগ সাধন করা এবং সঠিক তথ্য প্রাপ্তী নিশ্চিত হয়।

ইনফ্রারেড-এর পরিবর্তে ব্লুটুথ কেন?

সংযোগ সাধনের জন্য ব্লুটুথ ছাড়াও তারবিহীন আরও প্রযুক্তি রয়েছে, যেমন-ইনফ্রারেড প্রযুক্তি।ইনফ্রারেড হল দৃশ্যমান আলোর চাইতে কম কম্পাঙ্কের আলোক যা মানুষ খালি চোখে দেখতে পায় না।বেশিরভাগ রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেমে এই আলো তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ব্যাবহৃত হয়।ইহার খরচ কম হলেও ইহার প্রধান ত্রুটি হলো যে এটা "line of sight" প্রযুক্তি।তার মানে হল যে, তথ্য আদান-প্রদানের জন্য যন্ত্রদ্বয়ের মুখোমুখি অবস্থান প্রয়োজন; এদের মাঝে কোন বাধা থাকলে তথ্য আদান-প্রদানেও বাধা পড়বে। ইনফ্রারেড-এর আরেকটি ত্রুটি হল যে এটা "one to one" প্রযুক্তি।তার মানে হল যে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে A যন্ত্রের সাথে B যন্ত্রের তথ্য আদান-প্রদান করার সময় একইসাথে C যন্ত্রের সাথে তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব নয়। কিন্তু ব্লুটুথ প্রযক্তিতে এই দুই ত্রুটির কোনটিই নেই।অর্থাৎ যন্ত্রগুলোর মধ্যে একই দিকমুখিতার প্রয়োজন হয় না এবং একই সময়ে বহু যন্ত্রের সাথে যোগাযোগ সাধন সম্ভব হয়।তাছাড়া ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে খুবই কম বিদ্যুৎ শক্তির ব্যয় হয়। আবার এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের গতিও অত্যাধিক। Bluetooth 1.0-এর তথ্য আদান-প্রদান-এর সর্বোচ্চ গতি ছিল সেকেন্ডে ১ মেগাবিট। Bluetooth 2.0-এর সর্বোচ্চ গতি হল সেকেন্ডে ৩ মেগাবিট।

ব্লুটুথ যেভাবে কাজ করে?

ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে কম ক্ষমতা বিশিষ্ট বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে তথ্য পাঠানো হয়। এই যোগাযোগ ব্যাবস্থায় ২.৪৫ গিগাহার্ট্Jজ (প্রকৃতপক্ষে ২.৪০২ থেকে ২.৪৮০ গিগাহার্ট্Jজ-এর মধ্যে )-এর কম্পাংক ব্যাবহৃত হয়। শিল্প, বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত যন্ত্রের জন্য উপরিউক্ত কম্পাংকের সীমাটি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।এখন প্রশ্ন হল যে ব্লুটুথ অন্যান্য তরঙ্গ নির্ভর যন্ত্রের কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করে কিনা?উত্তর হল "না"। কারণ ব্লুটুথ কর্তৃক প্রেরিত সিগন্যালের ক্ষমতা থাকে মাত্র ১ মিলিওয়াট, যেখানে সেল ফোন ৩ ওয়াট পর্যন্ত সিগন্যাল প্রেরণ করে।অর্থাৎ ব্লুটুথের নিম্ন ক্ষমতার সিগন্যাল উচ্চ ক্ষমতার সিগন্যালে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে না।
ব্লুটুথ একসাথে ৮টি যন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগ সাধন করতে পারে।তবে প্রত্যেকটি যন্ত্রকে ১০ মিটার ব্যাসার্ধের একই বৃত্তের মধ্যে অবস্থিত হতে হয়, কারণ ব্লুটুথ প্রযুক্তি চারিদিকে সর্বোচ্চ ১০ মিটার পর্যন্ত ক্রিয়াশীল থাকে।এখন প্রশ্ন যে, A যন্ত্রের সাথে B যন্ত্রের যোগাযোগের সময় কাছাকাছি অবস্থিত অপর দুটি যন্ত্র C ও D-এর মধ্যের ব্লুটুথ যোগাযোগ ব্যাবস্থা বাধাগ্রস্থ হয় কিনা?(কেননা দুই যন্ত্রযুগলই একই কম্পাঙ্কের ব্লুটুথ প্রযুক্তি ব্যাবহার করছে)উত্তর হল "না"। কারণ এই সমস্যা সমাধানের জন্য ব্লুটুথ একটি পদ্ধতি ব্যাবহার করে যা কিনা "spread-spectrum frequency hopping" নামে পরিচিত।এই পদ্ধতিতে একই সময়ে একাধিক যন্ত্রযুগল একই কম্পাঙ্ক ব্যাবহার করে না।ফলে একে অপরের যোগাযোগ ব্যাবস্থাতে বাধার সৃষ্টি করে না।এ পদ্ধতিতে কোন একটা যন্ত্র নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে অবস্থিত কম্পাঙ্ক হতে ৭৯ টি পৃথক পৃথক কম্পাঙ্ক randomly গ্রহণ করে ও একের পর এক পরিবর্তন করে। ব্লুটুথের ক্ষেত্রে, ট্রান্সমিটার প্রতি সেকেন্ডে ১৬০০ বার কম্পাঙ্ক পরিবর্তন করে।ফলে একাধিক ভিন্ন ভিন্ন যন্ত্রযুগলের মধ্যে একই সময়ে একই কম্পাঙ্ক-এর তথ্য প্রেরণ অসম্ভব বললেই চলে।

ব্লুটুথের নিরাপত্তা ব্যাবস্থাঃ

এই প্রযুক্তিতে তথ্য প্রেরণ করতে কোন অনুমতির প্রয়োজন হয় না। তাই যে কেউ তথ্য প্রেরণ করতে পারে।তবে আগত কোন তথ্য গ্রহণকারীর অনুমতি সাপেক্ষে গৃহীত হয়।ফলে গ্রহণকারীর সিদ্ধান্তের উপর নিরাপত্তা নির্ভর করে। তাই গ্রহণকারীকে সাবধান থাকতে হবে। কেননা আগত তথ্য কোন ভাইরাসও হতে পারে।এছাড়াও "Bluejacking", "Bluebugging" and "Car Whisperer" প্রভৃতি সমস্যাও ব্লুটুথের নিরাপত্তা ব্যাবস্থাকে অনিশ্চিত করে।এসব সমস্যা হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত ব্লুটুথ সম্বলিত যন্ত্রের ফার্মওয়্যার আপগ্রেড করা উচিত, কেননা ফার্মওয়্যার-এর নতুন নতুন সংস্করণ সদ্য আবিষ্কৃত নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির সমাধান দেয়।

পরীক্ষা করুন আপনার বর্তমান আপলোড/ডাউনলোড স্পীড কয়েক সেকেন্ডে

মাত্র কয়েক সেকেন্ডে দেখে নিন আপনার বর্তমান আপলোড/ডাউনলোড স্পীড কত
আপলোড স্পীড পরীক্ষা করতে চাইলে এই লিঙ্কে যান। এইরকম একটা পেজ আসবে।

তারপর SmarTest™ - Automatic লেখা লিঙ্কে ক্লিক করুন। কয়েক সেকেন্ডেই আপনার আপলোড স্পীড বের হয়ে আসবে।
ডাউনলোড স্পীড পরীক্ষা করতে চাইলে এই লিঙ্কে যান এবং একই পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
আমি বাংলালায়ন 512 kbps লাইন ব্যবহার করি। আমার বর্তমান ডাউনলোড স্পীড

এবং আপলোড স্পীড

অর্থাৎ আমার আপলোড স্পীড পাচ্ছি ১৭%। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে সরকার ঘোষণা দিলেও কোন কাজ হয়নি। যেই লাউ সেই কদু।

এবার জানুন ব্লুটুথ (Bluetooth) সর্ম্পকে কিছু তথ্য…

ব্লুটুথ হল ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতির মধ্যে সংযোগ সাধনের একটি আধুনিক পদ্ধতি।এটি তারহীন এবং স্বয়ংক্রিয়।৯০০ খ্রীস্টাব্দের পরবর্তী সময়ের ডেনমার্কের রাজা Harald Bluetooth-এর নামানুসারে এই প্রযুক্তির নামকরণ করা হয়েছে।
যখন একাধিক যন্ত্রাংশ-এর মধ্যে সংযোগ সাধনের প্রয়োজন হয় তখন উহাদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের পূর্বে বেশ কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত হতে হয়। প্রথম বিষয়টি হল বস্তুগত-যা নিশ্চিত করে যে যন্ত্রাংশ গুলো তার-এর মাধ্যমে নাকি বিনা তারে যোগাযোগ সাধন করবে।আবার তার ব্যবহৃত হলে কতগুলো প্রয়োজন তা-ও জানা প্রয়োজন। বস্তুগত ব্যাপারটি নিশ্চিত হবার পরে আরও বেশ কয়েকটি প্রশ্ন এসে হাজির হয়। সেগুলো হল-কতগুলো তথ্য একত্রে প্রেরিত হবে, অর্থাৎ ১বিট নাকি একাধিক বিট? আবার এটাও নিশ্চিত হতে হয় যে,ঠিক যেই তথ্য পাঠানো হয়েছে ঠিক সেই তথ্যই গৃহিত হল কিনা।অর্থাৎ সঠিক তথ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রয়োজন। ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে রেডিও ফ্রিকোয়ান্সির মাধ্যমে সংযোগ সাধন করা এবং সঠিক তথ্য প্রাপ্তী নিশ্চিত হয়।

ইনফ্রারেড-এর পরিবর্তে ব্লুটুথ কেন?

সংযোগ সাধনের জন্য ব্লুটুথ ছাড়াও তারবিহীন আরও প্রযুক্তি রয়েছে, যেমন-ইনফ্রারেড প্রযুক্তি।ইনফ্রারেড হল দৃশ্যমান আলোর চাইতে কম কম্পাঙ্কের আলোক যা মানুষ খালি চোখে দেখতে পায় না।বেশিরভাগ রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেমে এই আলো তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ব্যাবহৃত হয়।ইহার খরচ কম হলেও ইহার প্রধান ত্রুটি হলো যে এটা "line of sight" প্রযুক্তি।তার মানে হল যে, তথ্য আদান-প্রদানের জন্য যন্ত্রদ্বয়ের মুখোমুখি অবস্থান প্রয়োজন; এদের মাঝে কোন বাধা থাকলে তথ্য আদান-প্রদানেও বাধা পড়বে। ইনফ্রারেড-এর আরেকটি ত্রুটি হল যে এটা "one to one" প্রযুক্তি।তার মানে হল যে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে A যন্ত্রের সাথে B যন্ত্রের তথ্য আদান-প্রদান করার সময় একইসাথে C যন্ত্রের সাথে তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব নয়। কিন্তু ব্লুটুথ প্রযক্তিতে এই দুই ত্রুটির কোনটিই নেই।অর্থাৎ যন্ত্রগুলোর মধ্যে একই দিকমুখিতার প্রয়োজন হয় না এবং একই সময়ে বহু যন্ত্রের সাথে যোগাযোগ সাধন সম্ভব হয়।তাছাড়া ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে খুবই কম বিদ্যুৎ শক্তির ব্যয় হয়। আবার এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের গতিও অত্যাধিক। Bluetooth 1.0-এর তথ্য আদান-প্রদান-এর সর্বোচ্চ গতি ছিল সেকেন্ডে ১ মেগাবিট। Bluetooth 2.0-এর সর্বোচ্চ গতি হল সেকেন্ডে ৩ মেগাবিট।

ব্লুটুথ যেভাবে কাজ করে?

ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে কম ক্ষমতা বিশিষ্ট বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে তথ্য পাঠানো হয়। এই যোগাযোগ ব্যাবস্থায় ২.৪৫ গিগাহার্ট্Jজ (প্রকৃতপক্ষে ২.৪০২ থেকে ২.৪৮০ গিগাহার্ট্Jজ-এর মধ্যে )-এর কম্পাংক ব্যাবহৃত হয়। শিল্প, বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত যন্ত্রের জন্য উপরিউক্ত কম্পাংকের সীমাটি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।এখন প্রশ্ন হল যে ব্লুটুথ অন্যান্য তরঙ্গ নির্ভর যন্ত্রের কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করে কিনা?উত্তর হল "না"। কারণ ব্লুটুথ কর্তৃক প্রেরিত সিগন্যালের ক্ষমতা থাকে মাত্র ১ মিলিওয়াট, যেখানে সেল ফোন ৩ ওয়াট পর্যন্ত সিগন্যাল প্রেরণ করে।অর্থাৎ ব্লুটুথের নিম্ন ক্ষমতার সিগন্যাল উচ্চ ক্ষমতার সিগন্যালে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে না।
ব্লুটুথ একসাথে ৮টি যন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগ সাধন করতে পারে।তবে প্রত্যেকটি যন্ত্রকে ১০ মিটার ব্যাসার্ধের একই বৃত্তের মধ্যে অবস্থিত হতে হয়, কারণ ব্লুটুথ প্রযুক্তি চারিদিকে সর্বোচ্চ ১০ মিটার পর্যন্ত ক্রিয়াশীল থাকে।এখন প্রশ্ন যে, A যন্ত্রের সাথে B যন্ত্রের যোগাযোগের সময় কাছাকাছি অবস্থিত অপর দুটি যন্ত্র C ও D-এর মধ্যের ব্লুটুথ যোগাযোগ ব্যাবস্থা বাধাগ্রস্থ হয় কিনা?(কেননা দুই যন্ত্রযুগলই একই কম্পাঙ্কের ব্লুটুথ প্রযুক্তি ব্যাবহার করছে)উত্তর হল "না"। কারণ এই সমস্যা সমাধানের জন্য ব্লুটুথ একটি পদ্ধতি ব্যাবহার করে যা কিনা "spread-spectrum frequency hopping" নামে পরিচিত।এই পদ্ধতিতে একই সময়ে একাধিক যন্ত্রযুগল একই কম্পাঙ্ক ব্যাবহার করে না।ফলে একে অপরের যোগাযোগ ব্যাবস্থাতে বাধার সৃষ্টি করে না।এ পদ্ধতিতে কোন একটা যন্ত্র নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে অবস্থিত কম্পাঙ্ক হতে ৭৯ টি পৃথক পৃথক কম্পাঙ্ক randomly গ্রহণ করে ও একের পর এক পরিবর্তন করে। ব্লুটুথের ক্ষেত্রে, ট্রান্সমিটার প্রতি সেকেন্ডে ১৬০০ বার কম্পাঙ্ক পরিবর্তন করে।ফলে একাধিক ভিন্ন ভিন্ন যন্ত্রযুগলের মধ্যে একই সময়ে একই কম্পাঙ্ক-এর তথ্য প্রেরণ অসম্ভব বললেই চলে।

ব্লুটুথের নিরাপত্তা ব্যাবস্থাঃ

এই প্রযুক্তিতে তথ্য প্রেরণ করতে কোন অনুমতির প্রয়োজন হয় না। তাই যে কেউ তথ্য প্রেরণ করতে পারে।তবে আগত কোন তথ্য গ্রহণকারীর অনুমতি সাপেক্ষে গৃহীত হয়।ফলে গ্রহণকারীর সিদ্ধান্তের উপর নিরাপত্তা নির্ভর করে। তাই গ্রহণকারীকে সাবধান থাকতে হবে। কেননা আগত তথ্য কোন ভাইরাসও হতে পারে।এছাড়াও "Bluejacking", "Bluebugging" and "Car Whisperer" প্রভৃতি সমস্যাও ব্লুটুথের নিরাপত্তা ব্যাবস্থাকে অনিশ্চিত করে।এসব সমস্যা হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত ব্লুটুথ সম্বলিত যন্ত্রের ফার্মওয়্যার আপগ্রেড করা উচিত, কেননা ফার্মওয়্যার-এর নতুন নতুন সংস্করণ সদ্য আবিষ্কৃত নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির সমাধান দেয়।

যে কোন ফাইল লক করুন, সফটওয়ার ছাড়া

প্রথমে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করুন, নিউ থেকে একটি কমপ্রেসিভ জিভ ফোল্ডার তৈরি করুন। এবার আপনি যে ফাইল গুলো লক করবেন সেগুলো কাট অথবা কপি করে জিভ ফোল্ডারে পেস্ট করুন। জিভ ফোল্ডারটি ওপেন করুন, মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে এড পাসওয়ার্ড-এ ক্লিক করুন। তারপর আপনার পাসওয়ার্ড দিয়ে ওক করুন। ব্যাস আপনার কাজ হয়ে গেছে। এখন ঐ জিভ ফোল্ডারে রাখা ফাইল গুলো খুলতে গেলেই পাসওয়ার্ড লাগবে।
একজনের নাকি আমার টিউনে কমেন্ট করতে ভয় লাগে, আমি বলিছ কোনো ভয় নেই। আমি কোনো মাইন করব না। কেমন লাগল কমেন্ট করে জানাবেন।

lockdir.exe এর পাসওয়ার্ড না জেনেই এর ভিতরের ফাইল গুলো ওপেন করুন খুব সহজেই।

আমরা প্রায় অনেকেই lockdir.exe সফটওয়্যার টা দ্বারা আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ন ফাইল লক করে রাখি। কারন এটার মাধ্যমে যে কোন ফাইল লক করা খুবই সহজ। কিন্তু অনেক সময় তার পাসওয়ারর্ড টি হয়তোবা মনে নাও থাকতে পারে। আজ আমি যে পদ্ধতিটি দেখাবো তার মাধ্যমে আপনার লক করা ফাইলগুলো খুলতে পারবেন পাসওয়ার্ড না জেনেই। নিম্নে তার পদ্ধতিটি বিস্তারিত বর্ননা করা হলো:-
**প্রথমে আপনি যে ফোল্ডারটি লক করেছেন তাতে যান। সেখানে দেখবেন যে শুধুমাত্র lockdir.exe ফাইলটিই আছে। যার মাধ্যমে আপনি লক খুলতে পারতেন।
**পরবর্তীতে আপনি Open file and folder options এ গিয়ে view tab এ যেতে হবে, এখানে যেয়ে hide protected operating system files(recommended) টি আনচেক করতে হবে ও Show hidden files. Folders, and drives টি চেক করে Ok ক্লিক করে আসতে হবে।
** এরপর দেখবেন যে ফোল্ডারটিতে আপনি ছিলেন সেখানে thumbs.ms নামে একটি ফাইলটি দেখাচ্ছে। (বি: দ্র: এখানে thumbs.ms ফাইলটি অবশ্যই প্রিন্টার এর আইকন থাকবে)।
**এবার thumbs.ms ফাইলটিকে রাইট বাটন ক্লিক করে Winrar এর মাধ্যমে "add to thumbs.rar" তে ক্লিক করে Rarফাইলে তৈরী করুন।
** এখন আপনি thumbs.rar ফাইলটিতে ডাবল ক্লিক করে প্রবেশ করে একের পর এক ফোল্ডার ওপেন করতে থাকবেন কিছুক্ষন পার আপনার লক করা ফাইল গুলো দেখতে পারবেন এখন আপনি এখানে থেকে যে কোন ফাইল ওপেন করতে পারবেন।

এই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি lockdir.exe দ্বারা পাসওয়ার্ড প্রটেক্টেট ফাইল ওপেন করতে পারবেন।

ডকুমেন্ট ফাইল ওপেন হচ্ছেনা, চেষ্টা করে দেখুন ওপেন করা যায় কিনা !!!

প্রায় সময় একটি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আর সেটি হচ্ছে ডকুমেন্ট ফাইল ওপেন করা নিয়ে । আমরা অনেক সময় এমন সমস্যার মুখোমুখি হই ।  এ ধরনের সমস্যার ধরন কয়েক রকম হতে পারে । এই যেমন ধরুন আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার কারণে কোন ডকুমেন্ট ফাইল ওপেন হচ্ছে না । কিংবা কোন ফাইল ওপেন হচ্ছে আবার কোন ফাইল ওপেন হচ্ছে না । এক্ষেত্রে আপনি যেটা করবেন তা হচ্ছে আপনার কম্পিউটারের সিস্টেম রেস্টোর দিয়ে চেষ্টা করা ।  যদি সেটা করতে পারেন তবে আপনার ফাইল অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাবার সম্ভাবনা আছে । অনেক ক্ষেত্রে ফাইল এর ফরম্যাট নষ্ট হয়ে যায় । যে কারণে বারবার ওপেন করলেই অযাচিত মেসেজ আসে। কিন্তু  সংশ্লিষ্ট ফাইলে আর ঢুকা যায় না ।
এতো গেলো একরকম ধরন । আরেকরকম হতে পারে, ধরুন আপনি একটি এসাইনমেন্ট তৈরী করলেন এবং আপনার কম্পিউটারে অফিস ২০০৭ এর মাধ্যমেই ফাইলটি তৈরী করা। কিন্তু আপনি যদি ফাইলটি অফিস ৯৭-২০০৩ ফরম্যাটে সেভ না করেন তবে ফাইলটি এডিট করার প্রয়োজন হলে অন্য কোন কম্পিউটারে নিয়ে আপনাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে । কারণ, যে কম্পিউটারে কাজ করবেন সেটিতে অফিস ২০০৭ ইন্সটল নাও থাকতে পারে, হতে পারে সেটি অফিস ২০০৩ কিংবা অফিস এক্সপি ।  সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এমন ফরম্যাটে ফাইলগুলো সেভ করা উচিত যেন অন্য কম্পিউটারে নিয়েও সেটি ওপেন করা যায়, এডিট করা বা পড়া যায় ।  একইভাবে  ই-মেইল কেউ আপনাকে কোন ডকুমেন্ট পাঠালো সেটি যদি অফিস ২০০৭-এ করা হয় ডক্স ফরম্যাটে তবে সেটি আপনি অপেন করতে পারবেননা, যদি না আপনার কম্পিউটারে অফিস ২০০৭ ইন্সটল করা থাকে ।  অথবা পাঠানো ফাইলটি ডক্স (.docx) না হয়ে ডক (.doc) এক্সটেনশন-এ করা থাকে ।
এক্ষেত্রে আপনি নিচের সফটওয়ারটি ইনস্টল করুন । 
আপনার কম্পিউটার কিংবা আপনার বন্ধুর কম্পিউটার, যেই কম্পিউটারে যেই অফিস এর ভার্সন-ই ইন্সটল করা থাকুক না কেন, আপনার ডকুমেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনভার্ট হয়ে অপেন হয়ে যাবে । এভাবে আপনি ওয়ার্ড, এক্সেল, এক্সেস এবং পাওয়ার পয়েন্ট এর সকল ডকুমেন্ট ফাইল খুব সহজেই খুলতে পারবেন।  ডকুমেন্ট পড়ার জন্য অফিস এর পূর্বের ভার্সন রিমুভ করে অফিস ২০০৭ ইন্সটল করার ঝামেলা আপনাকে আর করতে হবে না ।
এবার আরেকরকম ধরন এর কথা বলি, আপনার কম্পিউটারে ওয়ার্ড, এক্সেল, এক্সেস, পাওয়া পয়েন্ট ছাড়াও নিশ্চয়ই পিডিএফ এবং ইমেজ ফরম্যাটের অনেক ফাইল আছে । অনেক সময় পিডিএফ এর কিছু কিছু ফাইল অপেন করতে বিভিন্ন এরর মেসেজ আসে । আপনি এডোবি এক্রোবেট রীডার এর আপগ্রেড ভার্সন ব্যবহার করলে আর এমন সমস্যায় পড়তে হবে না ।
অনেকের পিডিএফ ফাইলকে ওয়ার্ড আকারে করার প্রয়োজন হয় এডিট করার জন্য ।  বাংলার ক্ষেত্রে বিষয়টি কঠিন, তবে একেবারে স্বচ্ছ বাংলা পিডিএফ ফাইল যদি হয় তাতে আপনি কপি করে কিছু টেক্স নিতে পারবেন ।   এছাড়া সম্ভব নয় ।  আর ইংরেজী যদি হয় তবে উক্ত পিডিএফ ফাইলটিকে আপনি সেভ এস টেক্সট আকারে সেভ করলেই আপনি পরবর্তীতে ফাইলটি এডিট করতে পারবেন । সেক্ষেত্রে ফাইলটি নোটপ্যাডে আকারে সেভ করে পরে টেক্সটগুলোকে ওয়ার্ড এর ফাইলে নিয়ে এডিট করতে পারেন। এছাড়াও অনলাইনে কনভার্টার পাওয়া যায় । সেগুলোও ট্রাই করে দেখতে পারেন ।

প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে গান করবে আপনার কম্পিউটার

প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকে আপনার কম্পিউটার যদি গান শোনায় তাহলে কেমন হয় একটু ভাবুন তো! হ্যাঁ প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে গান শোনাতে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হল, টাস্ক সিডিউলারে গান যুক্ত করে দিতে হবে। প্রথমে Start Menu -> All Programs -> Accessories -> System Tools -> Scheduled Task চালু করুন। Scheduled Task চালু হবার পর Add Scheduled task আইকনে ডাবল ক্লিক করুন। এবার Next -> Browse বাটনে ক্লিক করে আপনার পছন্দের একটা অডিও গান(mp3, wma ইত্যাদি) নির্বাচন করুন। একটা নাম দিন(যেকোন নাম)। Daily সিলেক্ট করে Next ক্লিক করুন।
প্রতিদিন কোন সময়ে গানটি শুনতে চান তা Start time: এ ঠিক করে দিন। Next ক্লিক করুন। আপনার লগিন পাসওয়ার্ড লিখে Next ক্লিক করুন। সর্বশেষে Finish বাটনে ক্লিক করুন। এখন থেকে আপনার কম্পিউটার আপনাকে আপনার পছন্দের গানটি শোনাবে প্রতিদিন।