বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১২

ইতালি আসতে চান? তাহলে অবশ্যই পড়ুন!!!


ইতালি কিভাবে আসা যায় এ নিয়ে অনেকের মনেই রয়েছে নানা রকমের কৌতূহল , আর এই তথ্য জানার জন্য অনেকেই আমাদের কাছে মেইল,কমেন্ট করে নানা রকম প্রশ্ন করে জানতে চাচ্ছে কিভাবে কি করা যায়। আর তাই আপনাদের কথা চিন্তা করেই আমাদের আজকের এই পোস্ট। এখানে আমরা ইতালীতে আসার জন্য যত রকম পদ্ধতি রয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত বোঝানোর চেষ্টা করবো যাতে করে আপনারা যারা ইতালি আসতে ইচ্ছুক তাদের সকল কৌতূহল দূর হয়ে যায়।
ইতালীর বর্তমান সমস্যা গুলোঃ
সবার আগেই একটা কথা না বললেই নয়, যে ইতালি এখন আর আগের মতো নেই। বিশ্ব মন্দার প্রভাব ইতালীতেও দেখা যাচ্ছে। তাই ইতালি আসতে পারলেই যে আপনি অনেক কিছু করে ফেলবেন সেই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ইতালীর বর্তমান অবস্তা এতই খারাপ যে যারা অনেক দিন ধরে ইটালি রয়েছে তারাই খুব কষ্টে জীবন যাপন করছে, আর নতুন যারা তাদের কথা না হয় বাদি দিলাম। বর্তমানে ইতালীতে যে যে সমস্যা গুলো বেশী দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে প্রধান ১ম টি হোল এখানে এখন কাজের খুব অভাব… অনেকেই গত ২ বছর ধরে মনপ্রাণ চেষ্টা করেও কোন প্রকার কাজ যোগাড় করতে পারছে না। ২য় টি হোল ইতালিতে একসময় কাজ পাওয়া যেত কিন্তু কাজের লোক পাওয়া যেতোনা  তাই ইতালীয়ানরা যে কোন লোক পেলেই কাজে নিয়ে নিত… কিন্তু বর্তমানে কাজের লোক অনেক বেড়ে যাওয়ায় তারা এখন বাছাই করে লোক নিয়ে থাকে যেমনঃ আপনি কি ইতালীয়ান ভাষা পাড়েন? বা আপনার কি পূর্বে কাজের অভিজ্ঞতা আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো থাকার পর জানতে চাইবে আপনার ডকুমেন্ট ঠিক আছে তো? আপনি কত দিন ধরে ইতালি থাকেন। এরকম আরো অনেক সমস্যা রয়েছে। তাই আপনি এসবকিছু জানার পর আদৌও ইতালি আসবেন…… না আসবেন না  সেটা ভালো করে চিন্তা করে দেখুন।

ইতালীতে লিগেল ভাবে আসার যে যে পদ্ধতি গুল রয়েছেঃ
একসময় ইতালি আসা অনেকের কাছে স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নেয়ার মতো ছিল। লাখ লাখ টাকা খরচ করে নানান দেশের বর্ডার পাড়ি দিয়ে জীবনের রিক্স নিয়ে আসতে হোত ইতালীতে। অনেকের ইতালি আসতে গিয়ে নিজের প্রাণ পর্যন্ত বিসর্জন দিতে হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ইতালীর সরকার লিগেল ভাবে ইতালীতে প্রবেশ করার আইন পাস করার পর এটি খুব সহজ হয়ে গিয়েছে।
ইতালীর আইন অনুযায়ী ইতালীতে আসার পদ্ধতি দুইটি,
১- নরমাল কাজের স্পন্সরের  মাধ্যমে
২- মৌসুমি কাজ বা কৃষি কাজের স্পন্সর্ ।
নরমাল কাজের স্পন্সর্ঃ
নরমাল কাজের স্পন্সর্ বলতে আপনি ইতালি এসে যে কোন কাজ করতে পারবেন যেমনঃ বাসাবাড়ি, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, কলকারখানা ইত্যাদি ইত্যাদি। এবং আপনাকে ২ বছরের একটি ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে যা প্রতি ২ বছর অন্তঃর অন্তঃর নবায়ন করাতে হবে। এটি করার নিয়মঃ ইতালীর সরকার থেকে নরমাল কাজের স্পন্সরের ঘোষণা দেওয়ায় পরেই এর জন্য অ্যাপ্লাই করা যায়। আর এটি হতে পারে প্রতিবছর  অথবা প্রতি ২-৩ বছর পর পর। ঘোষণা হওয়ার পর কি ভাবে এবং কারা পারবে এর জন্য অ্যাপ্লাই করতে?
নরমাল কাজের স্পন্সর্ ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে সরকারী ভাবে এর নিয়ম কানন সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রতি ঘোষণায় তারা কিছু নিয়ম পরিবর্তন করে থাকে, তবে তেমন বড় কোন পরিবর্তন করে না ।
এটি ঘোষণা হলে যে কোন ইতালীয়ান মালিক অথবা প্রবাসীরা এর জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারবে। তবে প্রবাসীদের জন্য তাদের নিজের অবশ্যই দীর্ঘ মেয়াদী ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হবে। অ্যাপ্লাই করার জন্য মালিক বা প্রবাসীদের  বাৎসরিক আয় স্পন্সরের শর্ত সাপেক্ষে থাকতে হবে। যেমনঃ স্পন্সরের শর্তে রয়েছে জমা দিতে হলে তার বাৎসরিক আয় ২০ হাজার ইউরো হতে হবে, তো এখানে যদি কারো বাৎসরিক আয় ২০ হাজার ইউরোর নিচে হয় তাহলে সে আবেদন করতে পারবেনা। আবেদন করার জন্য মালিকের ডকুমেন্ট ও যার জন্য আবেদন করবে তার পাসপোর্ট এর বিস্তারিত লাগবে( শুধু পাসপোর্ট এর ফটোকপি )। উক্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার পর অনলাইনে এর জন্য ফর্ম পাওয়া যায় সেখানে ফর্ম পূরণ করে রাখতে হবে। উল্লেক্ষঃ স্পন্সর্ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে সরকারী সাইট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চালু রাখা হয় যাতে করে জমাদানকারী তাদের ফর্ম পূরণ করে রাখতে পারে। ফর্ম পুরনের ব্যাপারটা আপনাদের আরো ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি যেমনঃ স্পন্সর্ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে সরকারী একটি অনলাইন সাইট রয়েছে, সেই সাইট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খুলিয়া দেওয়া হয় যেমনঃ ১লা জানুয়ারী থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, কাজেই ১লা জানুয়ারি থেকে সাইটে নিবন্ধন ও ফর্ম পূরণ করা যাবে এবং ফেব্রুয়ারী মাসের ১ তারিখে সকাল ৮ তার মধ্যে পূরণ করা ফর্ম জমা দেওয়া যাবে (এখানে যেনে রাখা ভালো যে, আপনি ১লা জানুয়ারী  থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত ফর্ম পূরণ করতে পারবেন কিন্তু জমা দিতে পারবেন না।) জমা দিতে হবে ১লা ফেব্রুয়ারী ঠিক সকাল ৮ ঘটিকায়। তাই ১লা ফেব্রুয়ারীর দিন ইতালীর সবগুলো ইন্টারনেট ক্যাফে থেকে শুরু করে সবাই যার যার কম্পিউটার নিয়ে ৮ টা বাজার আগে থেকে আপেক্ষা করতে থাকে কখন ৮ টা বাজবে আর সবাই ক্লিক করে পাঠিয়ে দিবে তাদের আবেদন ।কেননা যার আবেদন আগে জমা পড়বে তার ডাক সবার আগে আসবে এবং যার আবেদন দেরিতে পোঁছাবে তার আবেদন বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে। তবে আপনি চাইলে এই ফর্ম পূরণ ও আবেদন ৩১শে মার্চ পর্যন্ত করতে পারবেন কিন্তু তা করে কোন লাভ হবে না । কেননা কে কে পাবে তা ১লা ফেব্রুয়ারীতেই নির্ধারণ হয়ে যায়। আবেদন পাঠানোর পর আপনি যদি ভাগ্যবান্ হন তাহলে আপনার বাসায় একটি চিঠি দিয়ে জানানো হবে, উক্ত চিঠিতে জানিয়ে দেওয়া হবে কবে এবং কখন আপনাকে আপনার জমা দেওয়া স্পন্সরের কাগজ বুঝিয়ে দেয়া হবে। স্পন্সার জমা দেওয়া থেকে হাতে পাওয়া পর্যন্ত টোটাল খরচ ১৫ ইউরো  যা বাংলাদেশী টাকায় ১,৫০০ একহাজার পাঁচশত টাকা মাত্র। কিন্তু অনেককেই দেখা যায় এই জমা দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার আবার কেউ কেউ লাখ খানিক টাকাও নিয়ে থাকে যারা ইটালি আসবে তাদের কাছ  থেকে। কাজেই এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নাই। এই হোল নরমাল কাজের স্পন্সর্ এর রহস্য।

মৌসুমি কাজ বা কৃষি কাজের স্পন্সর্ঃ
মৌসুমি কাজ বা কৃষি কাজের স্পন্সর্ এর জমা দেওয়ার কার্যক্রম পদ্ধতি সম্পূর্ণ  নরমাল কাজের স্পন্সরের মতো সব কিছুই এক। খালি এদের মধ্যে পার্থক্য হলে এই যে , আপনি মৌসুমি কাজের ভিসায় ইতালি আসলে আপনাকে ৬ মাসের একটি ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে এবং এটি নবায়ন করা যাবে না ও শর্ত সাপেক্ষে আপনাকে উক্ত ৬ মাস পর আপনার দেশে ফিরে যেতে হবে। অবশ্য আপনি না যেতে চাইলে আপনাকে জোড় করে পাঠানো হবে না! তবে আপনাকে অবৈধ ভাবে থাকতে হবে। আর এই স্পন্সরে এসে আপনি কৃষি কাজ সহ আবাসিক হোটেলে কাজ করতে পারবেন, এই দুটি কাজ ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করতে পারবেন না। কাজেই এখনো কি করবেন খুব ভালো ভালে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিবেন।
নরমাল স্পন্সরে আসলে  আপনি কাজ পান বা নাই পান কিন্তু আপনি এখানে এসে কম করে হলেও ১-২ বছরের ওয়ার্ক পারমিট পাবেন  এবং সেটি দিয়ে আপনি চাইলে ইউরোপের অন্যান্য যে কোন দেশ ভ্রমন করতে পাড়বেন সাথে বাংলাদেশেও ঘুরে আসতে পাড়বেন।এবং আপনি এখানের স্কুলে ভর্তি হয়ে ইতালীয়ান ভাষা শিখে কাজ খুঁজার জন্য চেষ্টা করতে পাড়বেন  (যদিও বর্তমানে  নরমাল স্পন্সরে ইতালি আসাটাও মহামারী কিছু না।) তার মধ্যে যদি কেঊ  কৃষি কাজের স্পন্সরে আসে তাহলে তো তার কান্না আর আফসোস ছাড়া কিছুই করার থাকবে না . উনি এখানে এসে কোন কাজ পাবে না এবং তার কোন লিগেল ডকুমেন্ট থাকবেনা … সে চাইলেও দেশে যেতে পারবেনা… যদি যেতে চায় তাহলে একবারের জন্য চলে যেতে হবে। এবং আরো অনেক সমস্যায় পড়বে।
এগ্রিকালচার সিজনাল বা কৃষি ভিসা দালালরা দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে ক্রয় করে এবং তা পাচঁ, ছয়, সাত ও আট ,দশ লক্ষে বিক্রি করে। ইতালীতে আসার আগে দালাল রা বলে মাসে বাংলার এক লক্ষ টাকা রোজগার আছে কিন্তু এখানে সবই ভুয়া, প্রধান সমস্যা এখানে বর্তমানে দুই তিন বৎসর ধরে কোন ধরনের কাজ ই পাওয়া যায়না তাই ইতালীতে এসে নিজের মুল্যবান জীবন ও সময় নষ্ট করবেন না, তার সাথে বলতে চাই এই সব দালাল রা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু ,মানুষের শত্রু । বরং সাবধান হয়ে নিজে বাচুঁন ও আপনার বন্দুদেরকে ও বাচাঁন।
আসলে খুব খারাপ লাগে যখন এখানকার নিরুপায় ভাইদের সাথে কথা বলি। তারা অনেক স্বপ্ন নিয়ে এখানে আসে, আসারপর বুঝতে পারে যে জীবনের সবচাইতে বড় ভুল করে ফেলেছে যার থেকে পিছে ফিরে যাওয়ার কোন পথ খুঁজে পায়না। অনেকের কাছে শুনা যায় যে ইতালীতে আসার জন্য তাদের একমাত্র মাথা গুজার শেষ সম্বল ভিটে-বাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করে এসেছে এই ইতালিতে … আর এখানে এসে হয়ে যাচ্ছে সম্পূর্ণ নিঃস্ব । না পারছে দেশে ফিরতে না পারছে এখানে কিছু করতে? কি যে এক ভয়াবহ অবস্তায় আছে তা একমাত্র তাদের সাথে কথা বোলেই বুঝা যায়। এতে কিছু সংখ্যক দালাল হয়ে যাচ্ছে লাখপতি আর অসহায়রা হারাচ্ছে সব। কাজেই আমরা একটু সচেতন হলেই পারি এই চক্রের হাত থেকে দেশ কে রক্ষা করতে। আর এটি আমাদের সবার দায়িত্ব।
এখানে আর একটি কথা না বললেই নই যে শুধু দালাল দের দোষ দিলে ভুল হবে কেননা এই স্পন্সরের মাধ্যমে ইতালির সরকার আমাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি ইউরো যা আমরা নরমাল জনগন বুজতে পারি না। যেমন ইতালিতে আগে মানুষ বাই পথে বর্ডার পারি দিয়ে জীবনের রিক্স নিয়ে আসতো , সরকার নানা ভাবে চেষ্টা করেও এটি বন্ধ করতে পারেনি। তাই তারা চুক্তি করে এই লিগেল ভাবে ইতালিতে জনগন আনার বেবস্তা করে ।এতে লুকায়িত আছে তাদের পরিকল্পিত চিন্তা যা নরমাল জনগন বুঝতে পারে না।
এতে ওদের যা যা লাভ হয়।
১- যখন কেউ লিগেল ভাবে ইতালিতে আসতে পারবে তখন কেও আর বর্ডার পারি দিয়ে আসবে না এতে করে তাদের আর এই ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করতে হবে না বর্ডারে আর্মিরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবে।
- ইতালিতে ইতালিয়ানরা কর্মী দের দিয়ে কাজ করিয়ে নেয় ঠিকি কিন্তু সরকারকে পরিপূর্ণ ট্যাক্স দিতো না , আর তাই তারা এই লিগেল ভাবে লোক আনার কথা চিন্তা করে এবং তারা সর্ত দিয়ে দেয় যে বাংলাদেশ থেকে কাওকে আনতে হলে সম্পূর্ণ ট্যাক্স জমা দিতে হবে অন্যথায় আনতে পারবে না , কাজেই ইতালিয়ান মালিক দের দালাল সহ সবাই টাকার লোভ দিয়ে বলে তুমি আমার লোক এনে দাও যত ট্যাক্স হয় তা আমি দিব , এতে করে সরকার আমাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা যা আমরা বুঝেও বুঝতে পারছি না।
- ইতালিতে একসময় বাংলাদেশীদের আলাদা মূল্যায়ন ছিল কেননা লোক সংখ্যা কম তাই যথাযথ মুল্লে কাজ করে পারিশ্রমিক পাওয়া যেত, কিন্তু তারা চিন্তা করে দেখল যদি লিগেল ভাবে আরো  বিদেশী আনা যায় তাহলে আমাদের দেশের ইতালিয়ান মালিকরা তাদের ইচ্ছা মতো কম পরিশ্রমে লোক কাজে লাগাতে পারবে এতে লাভবান হচ্ছে তাদের দেশের ইতালিয়ান মালিক পক্ষ আর সমস্যায় পরছে অসহায় বাংলাদেশী নাগরিক।
- এই স্পন্সর্ জমা দেওয়া নিয়েও তারা করে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ ইউরোর ধান্দা যেমনঃ ওরা প্রতি স্পন্সর্ ঘোষণা দেওয়ার সময় কোঠা উল্লেখ করে দেয় যে বাংলাদেশ থেকে ২০০০ হাজার লোক কে তারা কাগজ দিবে, কিন্তু এখানে আবেদন জমা পরছে ৫ লাখের ও বেশী। উল্লেক্ষঃ এই আবেদন জমা দিতে ১,৫০০ টাকা দিয়ে জমা দিতে হয় এবং এটি ফেরত যোগ্য নয় কাজেই যারা জমা দেই তারা চিন্তা করে যাক আমার না হয় ১৫০০ টাকায় যাবে, পেলে পাবো না পেলে নাই, কিন্তু আমরা এটা চিন্তা করি না যে এই ১৫০০ টাকা ৫ লক্ষ দিয়ে গুন করলে কত হয়।
- তারা খুব ভালো করে চিন্তা করেই এই কাজ গুলো করছে যেমন তারা মজা পেয়ে গেছে আর তাই তারা এখন প্রতি বছর এই স্পন্সর্ ও ইতালিতে থাকা অবৈধ লোকদের বৈধ করার জন্য আইন পাস করে যাচ্ছে কেননা ওরা জানে এতে করে এক সময় প্রচুর বিদেশী এসে জমা হবে এবং যখন তারা কাজ পাবেনা , খেতে পারবেনা এবং নানান সমস্যায় ভুগে নিজে থেকেই হয় তাদের দেশে ফিরে যাবে বা ইটালি ত্যাগ করবে আর এর জন্য তারা তাদের পুলিস প্রশাসনকে তৎপর করে দিয়েছে যাতে কেউ চাইলেও কোন অন্যায় কাজ করতে না পারে। এক কথায় ওরা খ্রিস্টানরা খুব সন্দন ভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে এই কাজ গুলো করে যাচ্ছে কেননা এক সময় তারা জাতিসঙ্ঘের কাছেও ভালো থাকছে এ বলে যে দেখো আমরা কত মহৎ হৃদয়ের যে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় একমাত্র আমরাই বিদেশীদের নিয়ে ভাবছি …… ও এখানে আর একটা কথা তো বলতে ভুলেই গিয়েছি … এই যে প্রতি বছর স্পন্সর্ ও লিগেল করার নাম নিয়ে ওরা যে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তা কোথা থেকে আসছে … এই টাকা আমাদের সম্পদ যা আমাদের প্রবাসী ভায়েরা নানন দেশ থেকে নিজের পায়ের ঘাম মাথায় ফেলে অর্জন করছে যা আমাদের দেশে ইন করার কথা কিন্তু দুঃখের বিষয় এই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওরা। কেননা যখনি কোন স্পন্সর্ বা লিগেল করার কোথা শুনা যায় তখনি আমরা আমাদের ভাই-বোন দের কাছে আপদার করে বসি ভাই যে ভাবেই হোক আমাকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে না হলে আমি কাজগ পাবনা … আর আমাদের ভাই- বোনেরাও তাদের ভাইয়ের কথা ফেলতে না পেরে তারা ইংল্যান্ড,আমেরিকা সহ বিশ্বে যে  যেখানে আছে সে খান থেকে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছে… তাহলে কি দাঁড়ালো এভাবে ইতালীতে পুরো বিশ্ব থেকে টাকা তাদের ফান্ডে জমা হচ্ছে। তারা আরো অনেক ভাবে অত্যাচার করছে প্রবাসীদের প্রতি তাই আমার একটাই কথা জেগে উঠো বাংলাদেশ। নিজের বুদ্ধি কাজে লাগাও আর সবাই কে জানিয়ে দাউ আমিওপারি।এক কথায় জেগে উঠো বাংলাদেশ

১০টি বিপজ্জনক কাজ ও ক্ষতিকারক কাজ থেকে বিরত থাকুন


বতর্মানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব লণীয়। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রায়ই নিজের অজান্তে বিভিন্ন বিপজ্জনক কাজ করে থাকেন। আর যার ফলাফল ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার এটাক, স্প্যাম, প্রাইডেসি নষ্টসহ বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হওয়া। যা ভয়ঙ্কর সব পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। এসব কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত যে কারও। 
এমনই কয়েকটি বিপজ্জনক কাজের উলেখ করা হল:
১। অপরিচিত মেইলের সঙ্গে আসা লিঙ্ক সাইটে প্রবেশ করা।
২। বিভিন্ন সাইট থেকে আনভেরিফাইড বা আন অথরাইজড সফটওয়্যার ইন্সটল করা।
৩। মেইলে লটারির মাধ্যমে বিশাল অঙ্কের টাকা বিজয়ের কথা বলে সেই টাকা হস্তান্তরের জন্য খরচের টাকা পাঠানো বা কোন ফরম পূরণ করা।
৪। বিভিন্ন পর্ন বা ইলিগ্যাল সাইটে বারবার প্রবেশ করা।
৫। অযাচিত বিভিন্ন সাইটে লোভনীয় সব অফারে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করা।
৬। ব্রাউজার, ম্যাসেঞ্জার কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে পাসওয়ার্ড, ব্যক্তিগত তথ্য ইত্যাদি প্রদান করা।
৭। বিভিন্ন হ্যাকিং সাইট, জুয়ার সাইটে চ্যাট করার ফাইল শেয়ার করা।
৮। না বুঝে এইচটিএমএল, পিএইচপি, জাভা বা অন্য কোন প্রোগ্রামিং ফাইল ওপেন করা।
৯। অনিরাপদ ওয়্যারলেস সংযোগের মাধ্যমে অনলাইনে যুক্ত হওয়া।
১০। অপিরিচিত মেইলের এটাচড ফাইল ওপেন করা। সেটা ইমেজ, ওয়ার্ড, মিউজিক বা পেইন টেক্সট ফাইলও হতে পারে। সিকিউরিটি টুলস বা ফায়ার ওয়্যাল ডিজেবল 

System Speed Booster 2.9.7.8! একদম নতুন ভার্সন (পিসি কে করুন একদম ঝামেলা মুক্ত নতুনের মত!)


System Speed Booster এই সফটওয়্যার টি আসলে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত ! আমার মনেহয় এই সফটওয়্যার সম্পর্কে তেমন কিছু আপনাদের বলতে হবে না :)
যারা বুঝতে পারছেন বাকি প্যচাল না দেখে ডাইরেক্ট নিচে যাইয়া ডাউনলোড লিংক থেকে ডাউনলোড করে ব্যাবহার স্টার্ট করে দিন! ;) আর পিসি কে করুন একদম ঝামেলা মুক্ত নতুনের মত !
এই সফটওয়্যার টির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫০$ US ডলার !!
কিন্তু এখানে  আপনারা পাচ্ছেন একদন ফ্রী তে ! :P
——————————————————————————————————————–
যাদের System Speed Booster সম্পর্কে ধারণা নাই এক ঝলকে দেখে নিন System Speed Booster এর কাজ কাম↓↓

Highlights of System Speed Booster

  • Streamline Registry
    By scanning and removing all the obsolete registry entries, System Speed Booster will make your Windows registry compact and clean to speed up the running of your PC.
  • Optimize System
    Problems will be found in your system, with the help of System Speed Booster you can fix all the errors for an optimization of system.
  • Faster Work Efficiency
    From installing to running the app, the processes are smooth and fast. Just a few minutes, you will enjoy the best PC experience ever.
  • Free & Safe
    There is no doubt about it. The award-winning software is 100% free and no adware, no spyware, no virus at all.
  • Multi-functional
    Besides the Registry Fix functions, other built-in tools include Privacy Sweep, Junk Files Removal, System Optimization, etc. All these tasks can be settled in one go.
সহজ বাংলায় যদি বলি তাহলে সমস্যা আপনার পিসির কিন্তু সমাধান এর দায়িত্ব দিয়ে দিন  System Speed Booster উপর !
——————————————————————————————————————–
এখন আসুন ইন্সটল এর নিয়ম টা বলে দেই
প্রথমে সফটওয়্যার টি নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করে রার ফাইল টা ওপেন করুন ।রার ফাইল ওপেন করার পর দেখবেন (SystemSpeedBooster-2.9.7.8.Setup) এই সেটআপ ফাইল টা
নরমাল নিয়মে ইন্সটল করুন ।
ইন্সটল দেয়ার পর ২ নং ফাইল (Crack (BiM) ফাইল টা ওপেন করে Crack টা কপি করে C:\Program Files\SystemSpeedBooster এ পেস্ট করে দিন (replace) দেখাবে চিন্তার কোন কারন নাই বের হয়ে চলে আসুন।
এখন  ডেস্কটপ এ System Speed Booster এর আইকন এ ক্লিক করেন দেখবেন System Speed Booster ফুল ভার্সন হয়ে কাজ স্টার্ট করে দিছে ! এখন আরাম করে ব্যবহার করুন যতদিন ইচ্ছা তত দিন  Serial Key, Keygen, ঝামেলা ছাড়া ! :P
►এর পরেও যদি কারো বুঝতে কোন প্রবলেম হয় তাহলে নিচের কমেন্ট বক্স আপনার জন্য উন্মুক্ত ◄
►নিচে ২ টা ডাউনলোড লিংক দিলাম যেটা থেকে আপনার মন চায় ডাউনলোড করে নিন◄
সফটওয়্যার টি মাত্র (4.77 MB)
►ডাউনলোড করুন   এখান থেকে ◄