তখন সবে ভোরের আলো ফুটেছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার কাছে সুটিয়া
গ্রামের নারীরা অন্যদিনে এ সময় ব্যস্ত হয়ে পড়েন ঘরের কাজকর্মে। কিন্তু
গতকাল শুক্রবার কেউ ঘরে ছিলেন না। সুটিয়ার শত শত নারী সেদিন রাস্তায়। পুলিশ
ফাঁড়ির বাইরে, ভেতরে। কারও হাতে ঝাড়ু, কারও হাতে মোটা বাঁশের লাঠি। মুখে
ঘৃণা আর বিদ্বেষ। নারীরা লন্ডভন্ড করে দিয়েছে সুটিয়ার পুলিশ ফাঁড়ি। পুলিশ
ফাঁড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করেছেন সবকিছু। এরপর নেমেছেন রাস্তায়। ভোর পাঁচটা থেকে
টানা ১০ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন গোবর ডাঙা-বেরিগোপালপুর সড়ক।
হতভম্ব পুলিশ ও প্রশাসন কিছুই করতে পারেনি। বিক্ষোভ ও অবরোধ থেকে সরাতে পারেনি নারীদের।
নারীদের এই অবরোধ নিজের জন্য নয়। প্রিয় মাস্টারমশাই বরুণ বিশ্বাসের জন্য। যিনি তাঁদের বাঁচিয়েছিলেন জঘন্য এক জীবন থেকে। অন্ধকার থেকে আলোয় এনেছিলেন যিনি।
টাইম নিউজ নেটওয়ার্কে প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের সুটিয়া গ্রামটি মাত্র কয়েক বছর আগেও সুটিয়া নামে পরিচিত ছিল না। ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল ছিল সুটিয়ার জন্য ভয়ংকর এক সময়। এটি তখন পরিচিত ছিল ‘ধর্ষণের গ্রাম’ হিসেবে। গণধর্ষণ ছিল এই গ্রামের প্রতিদিনের ঘটনা। সুটিয়াতে এমন একটি দিন যায়নি যেদিন কোনো নারীকে ধর্ষিত হতে হয়নি। মায়ের সামনে সন্তানকে, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে, সন্তানের সামনে মাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কোনো নারী প্রতিবাদ করলে গণধর্ষক চক্র হয়ে উঠত আরও ভয়ংকর। জোর করে বাড়িতে ঢুকে সেই নারীর পরিবারের সবাইকে ধর্ষণ করত তারা। সবাই সবকিছু জানত। সবকিছু জানত পুলিশও। কিন্তু কেউ কিছু করত না। সবকিছু জেনে না জানার, দেখে না দেখার ভান করে চলত সবাই। এর মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন একজন। স্কুলশিক্ষক বরুণ বিশ্বাস। ২৬ বছর বয়সের এই স্কুলশিক্ষকই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রথম আওয়াজ তোলেন। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন বরুণ। একসময় গণধর্ষক চক্র পিছু হটতে বাধ্য হয়। বেঁচে যান সুটিয়ার নারীরা।
তবে বরুণকে প্রাণ হারাতে হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় গোধরা স্টেশন থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে তিন মোটরসাইকেল আরোহী বরুণকে গুলি করে হত্যা করে। জনসম্মুখে বরুণের বুকে গুলি চালায় তারা। এর আগেও একাধিকবার বরুণের ওপর হামলা হয়েছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নেওয়ায় যেসব গ্যাংস্টারকে কারাগারে যেতে হয়েছে বা লুকাতে হয়েছে তারাই খুন করেছে মাস্টারমশাই বরুণকে। এমনটাই মনে করে সুটিয়ার নারীরা। আর তাই মাস্টারমশাইয়ের খুনিদের বিচারের দাবিতেই রাস্তায় নেমেছেন সুটিয়ার নারীরা। ব্যর্থ পুলিশের ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
হতভম্ব পুলিশ ও প্রশাসন কিছুই করতে পারেনি। বিক্ষোভ ও অবরোধ থেকে সরাতে পারেনি নারীদের।
নারীদের এই অবরোধ নিজের জন্য নয়। প্রিয় মাস্টারমশাই বরুণ বিশ্বাসের জন্য। যিনি তাঁদের বাঁচিয়েছিলেন জঘন্য এক জীবন থেকে। অন্ধকার থেকে আলোয় এনেছিলেন যিনি।
টাইম নিউজ নেটওয়ার্কে প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের সুটিয়া গ্রামটি মাত্র কয়েক বছর আগেও সুটিয়া নামে পরিচিত ছিল না। ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল ছিল সুটিয়ার জন্য ভয়ংকর এক সময়। এটি তখন পরিচিত ছিল ‘ধর্ষণের গ্রাম’ হিসেবে। গণধর্ষণ ছিল এই গ্রামের প্রতিদিনের ঘটনা। সুটিয়াতে এমন একটি দিন যায়নি যেদিন কোনো নারীকে ধর্ষিত হতে হয়নি। মায়ের সামনে সন্তানকে, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে, সন্তানের সামনে মাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কোনো নারী প্রতিবাদ করলে গণধর্ষক চক্র হয়ে উঠত আরও ভয়ংকর। জোর করে বাড়িতে ঢুকে সেই নারীর পরিবারের সবাইকে ধর্ষণ করত তারা। সবাই সবকিছু জানত। সবকিছু জানত পুলিশও। কিন্তু কেউ কিছু করত না। সবকিছু জেনে না জানার, দেখে না দেখার ভান করে চলত সবাই। এর মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন একজন। স্কুলশিক্ষক বরুণ বিশ্বাস। ২৬ বছর বয়সের এই স্কুলশিক্ষকই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রথম আওয়াজ তোলেন। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন বরুণ। একসময় গণধর্ষক চক্র পিছু হটতে বাধ্য হয়। বেঁচে যান সুটিয়ার নারীরা।
তবে বরুণকে প্রাণ হারাতে হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় গোধরা স্টেশন থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে তিন মোটরসাইকেল আরোহী বরুণকে গুলি করে হত্যা করে। জনসম্মুখে বরুণের বুকে গুলি চালায় তারা। এর আগেও একাধিকবার বরুণের ওপর হামলা হয়েছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নেওয়ায় যেসব গ্যাংস্টারকে কারাগারে যেতে হয়েছে বা লুকাতে হয়েছে তারাই খুন করেছে মাস্টারমশাই বরুণকে। এমনটাই মনে করে সুটিয়ার নারীরা। আর তাই মাস্টারমশাইয়ের খুনিদের বিচারের দাবিতেই রাস্তায় নেমেছেন সুটিয়ার নারীরা। ব্যর্থ পুলিশের ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন