প্রতিনিয়ত দুঃখ-অনুতাপে জীবন জর্জরিত। জীবনের সব প্রয়োজনই ফুরিয়ে যেতে চায়
একসময়। তবে এত কিছুর মধ্যেও টিকে থাকে আশা। আর এ আশাই বাঁচিয়ে রাখে
মানুষকে। দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃত এমন বাক্যগুলোর সপক্ষে এবার যুক্তি দিয়েছেন
বিজ্ঞানীরাও। বিজ্ঞানীদের এ গবেষণাটি এইজিং সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকদের মতে, এত দিন বিভিন্ন জিনকে দায়ী করা হতো মানুষের দীর্ঘায়ুর কারণ হিসেবে। তা ছাড়া এইচডিএল (ভালো) নামে উন্নত মানের একটি কোলেস্টরলের কারণে দীর্ঘায়ু হয় বলে মনে করা হতো। তবে এখন এ ধারণা পাল্টেছে। শতবর্ষী ব্যক্তিদের ওপর গবেষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েশিভা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলবার্ট আইনস্টাইন কলেজ অব মেডিসিন এবং ফেরকাউফ গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব সাইকোলজির একদল গবেষক এ ধারণা পাল্টে দিয়েছেন।
আইনস্টাইন দীর্ঘায়ু জিন নামে একটি প্রকল্পে গবেষকেরা ৯৫-এর বেশি বয়সী ৫০০ পূর্ব ইউরোপীয় (এশকেনাজি) ইহুদি ও তাদের ৭০০ সন্তান-সন্ততির ওপর গবেষণা করেন। সমজাতীয় জিনের জন্যই এশকেনাজি গোত্রের জনগোষ্ঠীদের বাছাই করা হয়। ওই ব্যক্তিদের জিনগত আচরণ যাচাই করতে একপি নামে একটি স্কেল ব্যবহার করা হয়। এতে দেখা যায়, জিনগত বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি ব্যক্তি তার আশাবাদী স্বভাবের কারণেও দীর্ঘায়ু হন।
এ প্রসঙ্গে গবেষক দলের একজন, আইনস্টাইনস ইনস্টিটিউট অব এইজিং রিসার্চ ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির বারজিলাই বলেন, গড়পড়তায় ৯৭.৬ বছর বয়সী ২৪৩ জনের (যাঁদের ৭৫ ভাগই নারী) জিনগত আচরণ যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ‘তাঁদের নিয়ে গবেষণার সময় আমি ভেবেছিলাম গড়পড়তা এবং ব্যতিক্রমী হওয়ায় ওই ব্যক্তিরা দীর্ঘায়ু পান। তবে পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বাছাই করা ২৪৩ জনের সবারই জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। এঁদের বেশির ভাগই ছিলেন আশাবাদী, আয়েশি ও খোলামেলা স্বভাবের। তা ছাড়া সবাই-ই হাস্যরসকে জীবনের পাথেয় বানিয়েছিলেন এবং বিভিন্নজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। উপরন্তু ওই লোকগুলোর কেউই বাতিকগ্রস্ত ছিলেন না এবং তুলনামূলকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি ন্যায়পরায়ণ ছিলেন।’
বারজিলাই আরও বলেন, সাধারণত ৭০ থেকে ১০০ বছর বয়সে মানুষের ব্যক্তিত্ব পরিবর্তন হয়। তবে আমরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত নই, বাছাইকৃত শতবর্ষীরা তাঁদের পুরো জীবনে কেমন ব্যক্তিত্বের ছিলেন। তার পরও আমাদের গবেষণায় এটাই প্রমাণিত হয় পুরো জীবনে বাছাই করা ব্যক্তিরা স্বতন্ত্র আচরণ করেছেন বলেই বেশি দিন বেঁচেছেন।Suvro
গবেষকদের মতে, এত দিন বিভিন্ন জিনকে দায়ী করা হতো মানুষের দীর্ঘায়ুর কারণ হিসেবে। তা ছাড়া এইচডিএল (ভালো) নামে উন্নত মানের একটি কোলেস্টরলের কারণে দীর্ঘায়ু হয় বলে মনে করা হতো। তবে এখন এ ধারণা পাল্টেছে। শতবর্ষী ব্যক্তিদের ওপর গবেষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েশিভা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলবার্ট আইনস্টাইন কলেজ অব মেডিসিন এবং ফেরকাউফ গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব সাইকোলজির একদল গবেষক এ ধারণা পাল্টে দিয়েছেন।
আইনস্টাইন দীর্ঘায়ু জিন নামে একটি প্রকল্পে গবেষকেরা ৯৫-এর বেশি বয়সী ৫০০ পূর্ব ইউরোপীয় (এশকেনাজি) ইহুদি ও তাদের ৭০০ সন্তান-সন্ততির ওপর গবেষণা করেন। সমজাতীয় জিনের জন্যই এশকেনাজি গোত্রের জনগোষ্ঠীদের বাছাই করা হয়। ওই ব্যক্তিদের জিনগত আচরণ যাচাই করতে একপি নামে একটি স্কেল ব্যবহার করা হয়। এতে দেখা যায়, জিনগত বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি ব্যক্তি তার আশাবাদী স্বভাবের কারণেও দীর্ঘায়ু হন।
এ প্রসঙ্গে গবেষক দলের একজন, আইনস্টাইনস ইনস্টিটিউট অব এইজিং রিসার্চ ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির বারজিলাই বলেন, গড়পড়তায় ৯৭.৬ বছর বয়সী ২৪৩ জনের (যাঁদের ৭৫ ভাগই নারী) জিনগত আচরণ যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ‘তাঁদের নিয়ে গবেষণার সময় আমি ভেবেছিলাম গড়পড়তা এবং ব্যতিক্রমী হওয়ায় ওই ব্যক্তিরা দীর্ঘায়ু পান। তবে পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বাছাই করা ২৪৩ জনের সবারই জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। এঁদের বেশির ভাগই ছিলেন আশাবাদী, আয়েশি ও খোলামেলা স্বভাবের। তা ছাড়া সবাই-ই হাস্যরসকে জীবনের পাথেয় বানিয়েছিলেন এবং বিভিন্নজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। উপরন্তু ওই লোকগুলোর কেউই বাতিকগ্রস্ত ছিলেন না এবং তুলনামূলকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি ন্যায়পরায়ণ ছিলেন।’
বারজিলাই আরও বলেন, সাধারণত ৭০ থেকে ১০০ বছর বয়সে মানুষের ব্যক্তিত্ব পরিবর্তন হয়। তবে আমরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত নই, বাছাইকৃত শতবর্ষীরা তাঁদের পুরো জীবনে কেমন ব্যক্তিত্বের ছিলেন। তার পরও আমাদের গবেষণায় এটাই প্রমাণিত হয় পুরো জীবনে বাছাই করা ব্যক্তিরা স্বতন্ত্র আচরণ করেছেন বলেই বেশি দিন বেঁচেছেন।Suvro
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন