বুধবার, ১৩ জুন, ২০১২

ওয়ানডেকে বিদায় বললেন পিটারসেন

এই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের অন্যতম প্রধান ভরসা হতে পারতেন কেভিন পিটারসেন। কিন্তু আজ আকস্মিকভাবেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন এই মারমুখী ইংলিশ ব্যাটসম্যান। এখন থেকে শুধু টেস্ট ক্রিকেটই খেলবেন তিনি। তাঁর এ সিদ্ধান্তে অবশ্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিউজ মরিস।
আজ এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে পিটারসেন বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সময়সূচি ও আমার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে সরে দাঁড়ানোটাই আমার কাছে সময়োচিত সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছে। ২০১৫ সালের পরবর্তী বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের তরুণ ক্রিকেটাররা অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবে—এমনটাই আশা করছি। আমি আমার ওয়ানডে ক্যারিয়ার নিয়ে খুবই গর্বিত আর এখনো আমি ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যেতে পারব বলে আশা রাখি।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা হয়তো এবারের বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলে যেতে পারতেন কেভিন পিটারসেন। কিন্তু ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তি অনুযায়ী কেউ যদি এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনি টি-টোয়েন্টির জন্যও বিবেচিত হবেন না। কারণ, দুটি ফরম্যাটই একে-অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত বলে মনে করে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড। নির্বাচন প্রক্রিয়ার এই বাধাটা না থাকলে এবারের বিশ্বকাপটা খেলতেন বলেই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পিটারসেন।
পিটারসেনের আকস্মিক এই বিদায়ের ঘোষণায় মর্মাহত হয়েছেন ইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিউজ মরিস। তিনি বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের শিরোপা ধরে রাখার লড়াই শুরু হওয়ার আর মাত্র চার মাস বাকি। এই সময়ে পিটারসেনের অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তে আমরা খুবই হতাশ হয়েছি। কেভিন একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড়। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে অসামান্য অবদান রাখার জন্য আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আর আশা করছি তিনি হয়তো ভবিষ্যতে টেস্ট ক্রিকেটে আরও অবদান রাখবেন।’
২০০৪ সালে অভিষেকের পর ৩১ বছর বয়সী পিটারসেন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছিলেন ১২৭টি ওয়ানডে ও ৩৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ওয়ানডেতে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে চার হাজার ১৮৪ রান। টি-টোয়েন্টিতে করেছিলেন এক হাজার ১৭৬ রান।Suvro

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন