১৯৯৩ সালের পর এএমডি এর নাম হয়তো ইন্টেল এর মত তেমন একটা শোনা যায়নি।
কিন্তু এই কোম্পানিটি ঠিক ই এগিয়ে গেছে যা তাদেরকে পরিনত করেছে বিশ্বের
২য় বৃহত্তম মাইক্রোপ্রসেসর নির্মাতা হিসেবে। পারফমেন্স আর সাশ্রয়ী দামের
জন্য বাংলাদেশেও এই এএমডি প্রসেসসর ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই বছরে
বাংলাদেশে এএমডি এর শেয়ার ১৫% থেকে ২৫% এ উন্নীত হয়েছে। মাত্র ২ বছরের
মাথায় এটা মোটামুটি ভাল একটা সাফল্য। তবে এরা কখনো বাজার ধরার চিন্তা
করেনি, করলে আর আগেই করতে পারতো। এএমডি এর লক্ষ্য হচ্ছে কমদামে ভালমানের
প্রসেসসর দেওয়া। আর এই কারনেই বাজেট সাশ্রয়ী পিসির জন্য এএমডি আজকে
অপ্রতিরোধ্য।

অনেকে হয়তো এএমডি এর বাজেট সাশ্রয়ী নিয়ে ভাবেন না। তাদের ভাবনা পারফমেন্স নিয়ে। তাদের জন্য বলছি যে বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন ও অধিক কোর সম্পন্ন প্রসেসসর হচ্ছে এএমডি বুলডজার
এটি ইন্টেল কোর আই ৭ এক্সট্রিম থেকে ৬৫% অধিক গতিসম্পন্ন।
এইবার কাজের কথায় আসি। অনেকেই হয়তো জানেন না যে প্রজুক্তির বাজারে এই কোম্পানিটির আরেকটি বাজেট সাশ্রয়ী পারফমেন্স প্রসেসসর এসে গেছে এবং তা খুব নিঃশব্দেই। AMD APU (Accelerated Processing Units) নামে একে ডাকা হচ্ছে। এর A4, A6, A8, A10 নামে চারটি সিরিজ ও এদের ব্ল্যাক এডিশন ও বাজারে এসে পড়েছে যা ইতিমধ্যে ২, ৩, ও ৪ কোরে পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের দেশে AMD A8-3870K Quadcore, AMD A6-3670K Quadcore, AMD A6 X3 3500 APU এই তিনটি মডেল পাওয়া যাচ্ছে এবং প্রথম ২টি মডেলের ব্ল্যাক এডিশন ও পাওয়া যাচ্ছে।


অনেকেও মনেই প্রশ্ন ইতিমধ্যে খোঁচা মারছে যে এর বিশেষত্ব কি? শুধুই বাজেট সাশ্রয়ী না আরও কিছ।
এই APU প্রসেসরগুলো শক্তিশালী GPU (Graphics Processing Unit) নিয়ে এসেছে। তারমানে একি সাথে CPU এবং GPU। কিন্তু এখানে আরেকটি প্রশ্ন আসে যে ইন্টেল সান্ডি ব্রিজ ও তো এই CPU/GPU নিয়ে বাজারে আছে। তাহলে এখানে নতুন কি?
এখানে নতুনত্ব হচ্ছে এটি ৩য় জেনারেশন, এবং এই প্রসেসসর এর দাম ৬০০০-১৪০০০ টাকা এর মাঝেই যেখানে ৪ কোরের ইন্টেল আই ৫ এর দাম ১৩৫০০ টাকা। আর ইন্টেল সেকেন্ড জেনারেশন এ Z68 চিপসেট ব্যাবহার করে মাত্র ৫০% এর কিছু বেশি পরিমান বিল্ট ইন গ্রাফিক্স বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। যদি এত দামি প্রসেসসর ব্যাবহার করেও তার ভিতরকার উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গ্রাফিক্স ব্যাবহার করতে না পারি, তাহলে টাকটা কি সঠিক ব্যাবহারে আসলো ? আর এএমডি এর APU তে বিল্ট ইন গ্রাফিক্স এর সম্পূর্ণটাই ব্যাবহার করা যাচ্ছে এবং সবগুলো কোর আনলক করা আছে। তাছাড়া ব্ল্যাক এডিশনে ওভারক্লক আর ফিউশন প্রজুক্তি তো আছেই।

আমাদের দেশে অনেক গেমার/গ্রাফিক্স ডিজাইনার আছে যাদের ইচ্ছা আছে কিন্তু সেই পরিমান ক্ষমতা নেই যে ইন্টেল এর স্যান্ডি ব্রিজ সিরিজের প্রসেসসর কিনবে। তাছাড়া অনেক পুরনো পিসিওালারা আপগ্রেড এর ভাবনা করছেন কিন্তু পছন্দের সাথে বাজেট মিলছে না। তাদের কথা মাথায় রেখেই মিড লেভেলের গেমার/গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর জন্য এএমডি এর নতুন এই APU প্রসেসর। আসুন আমাদের দেশে বর্তমানে যেই মডেল গুলো পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিস্তারিত দেখে আসি।


এই প্রসেসরগুলোর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে,
বিশেষ আর্কিটেকচারে তৈরি।
বিল্ট ইন গ্রফিক্স প্রসেসসর এবং মেমরি।
এল ২ ক্যাশ মেমরি।
খুবই কম বিদ্যুৎ খরচ করে।
৩২ ন্যানোমিটার টেকনোলোজি।
আধুনিক কুলিং সিস্টেম।
দামে সাশ্রয়ী।

এখানে প্রথম ২টি মডেল ব্ল্যাক এডিশন এবং ৫ স্টার রেটিং প্রাপ্ত। আর ৩য় টি ৪.৫ স্টার। এর ক্লক স্পিড কিছুটা কম। কিন্তু প্রসেসসরগুলোর সবচেয়ে বড় সুবিধা যে গ্রাফিক্স প্রসেসসর থাকার পর ও এটি মাত্র ৬৫ ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যাবহার করে যেখানে কোর আই ৩ ১২৫ ওয়াট। চলুন একটা হিসেব দেখে আসি এর বাজেট সাশ্রয়ী নমুনার।
Intel core i3 sandy bridge+AMD Radeon 6550 DDR3 Graphics Card+400W power supply | 8200+5800+3500Tk | = 17500Tk.
এখানে আই ৩ মাত্র ২ কোরের এবং সর্বমোট পাওয়ার সাপ্লাই লাগবে কমপক্ষে ৪০০ ওয়াট। সেখানে আপনি সর্বশেষ মডেলটিতে ৭৮০০ টাকাতে সব পাবেন । তবে এই মডেলের সমস্যা একটাই যে এর ক্লক স্পিড তুলনামুলক কম।

বাজেট ভাবুক গেমারদের কাছে ইতিমধ্যে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর ব্যাবহারকারিরা ইতিমধ্যে একে ৪.৫ স্টার রেটিং দিয়েছেন। তাহলে আর দেরি কেন ? গেমাররা বসে আছেন কেন ? গ্রাফিক্স রিকয়ারমেন্ট নিয়ে চিন্তা কিসের ? ঝাপিয়ে পরুন যুদ্ধে এএমডির সাথে।


অনেকে হয়তো এএমডি এর বাজেট সাশ্রয়ী নিয়ে ভাবেন না। তাদের ভাবনা পারফমেন্স নিয়ে। তাদের জন্য বলছি যে বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন ও অধিক কোর সম্পন্ন প্রসেসসর হচ্ছে এএমডি বুলডজার
এটি ইন্টেল কোর আই ৭ এক্সট্রিম থেকে ৬৫% অধিক গতিসম্পন্ন।
এইবার কাজের কথায় আসি। অনেকেই হয়তো জানেন না যে প্রজুক্তির বাজারে এই কোম্পানিটির আরেকটি বাজেট সাশ্রয়ী পারফমেন্স প্রসেসসর এসে গেছে এবং তা খুব নিঃশব্দেই। AMD APU (Accelerated Processing Units) নামে একে ডাকা হচ্ছে। এর A4, A6, A8, A10 নামে চারটি সিরিজ ও এদের ব্ল্যাক এডিশন ও বাজারে এসে পড়েছে যা ইতিমধ্যে ২, ৩, ও ৪ কোরে পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের দেশে AMD A8-3870K Quadcore, AMD A6-3670K Quadcore, AMD A6 X3 3500 APU এই তিনটি মডেল পাওয়া যাচ্ছে এবং প্রথম ২টি মডেলের ব্ল্যাক এডিশন ও পাওয়া যাচ্ছে।


অনেকেও মনেই প্রশ্ন ইতিমধ্যে খোঁচা মারছে যে এর বিশেষত্ব কি? শুধুই বাজেট সাশ্রয়ী না আরও কিছ।
এই APU প্রসেসরগুলো শক্তিশালী GPU (Graphics Processing Unit) নিয়ে এসেছে। তারমানে একি সাথে CPU এবং GPU। কিন্তু এখানে আরেকটি প্রশ্ন আসে যে ইন্টেল সান্ডি ব্রিজ ও তো এই CPU/GPU নিয়ে বাজারে আছে। তাহলে এখানে নতুন কি?
এখানে নতুনত্ব হচ্ছে এটি ৩য় জেনারেশন, এবং এই প্রসেসসর এর দাম ৬০০০-১৪০০০ টাকা এর মাঝেই যেখানে ৪ কোরের ইন্টেল আই ৫ এর দাম ১৩৫০০ টাকা। আর ইন্টেল সেকেন্ড জেনারেশন এ Z68 চিপসেট ব্যাবহার করে মাত্র ৫০% এর কিছু বেশি পরিমান বিল্ট ইন গ্রাফিক্স বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। যদি এত দামি প্রসেসসর ব্যাবহার করেও তার ভিতরকার উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গ্রাফিক্স ব্যাবহার করতে না পারি, তাহলে টাকটা কি সঠিক ব্যাবহারে আসলো ? আর এএমডি এর APU তে বিল্ট ইন গ্রাফিক্স এর সম্পূর্ণটাই ব্যাবহার করা যাচ্ছে এবং সবগুলো কোর আনলক করা আছে। তাছাড়া ব্ল্যাক এডিশনে ওভারক্লক আর ফিউশন প্রজুক্তি তো আছেই।

আমাদের দেশে অনেক গেমার/গ্রাফিক্স ডিজাইনার আছে যাদের ইচ্ছা আছে কিন্তু সেই পরিমান ক্ষমতা নেই যে ইন্টেল এর স্যান্ডি ব্রিজ সিরিজের প্রসেসসর কিনবে। তাছাড়া অনেক পুরনো পিসিওালারা আপগ্রেড এর ভাবনা করছেন কিন্তু পছন্দের সাথে বাজেট মিলছে না। তাদের কথা মাথায় রেখেই মিড লেভেলের গেমার/গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর জন্য এএমডি এর নতুন এই APU প্রসেসর। আসুন আমাদের দেশে বর্তমানে যেই মডেল গুলো পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিস্তারিত দেখে আসি।
AMD A8-3870K | 14400Tk
Feature | Details |
Brand | AMD |
PROCESSOR | AMD Quad-Core Black Edition A8-Series APU for Desktop |
Model | A8-3870K |
Number of core | 4 |
GPU | 832MHz |
Frequency | 3.0GHz |
Architecture | 32nm |
Wattage | 100 W |
L2 Cache | 4MB |
DirectX Version | 11 |
Warranty | 3 Year |
AMD A6-3670K | 12300Tk
Feature
|
Details
|
Brand
|
AMD
|
PROCESSOR
|
AMD Quad-Core Black Edition A6-Series APU for Desktop
|
Model
|
AMD A6-3670K APU with Radeon HD 6530D
|
Number of core
|
4
|
GPU
|
600MHz
|
Frequency
|
2.7GHz
|
Architecture
|
32nm SOI
|
Wattage
|
100 W
|
L2 Cache
|
4MB
|
DirectX Version
|
11
|
Warranty
|
3 Year
|
AMD A6 X3 3500 APU, HD6530D | 7800Tk
Feature
|
Details
|
Brand
|
AMD
|
PROCESSOR
|
AMD Triple-Core A6-Series APU for Desktops
|
Model
|
AMD A6-3500 APU with Radeon™ HD 6530D
|
Number of core
|
3
|
Wattage
|
65 W
|
Speed
|
2.1GHz
|
AMD Virtualization Technology
|
Yes
|
GPU
|
432MHz
|
Architecture
|
32nm
|
DirectX Version
|
11
|
Desktop Fusion Controller Hub
|
D2/D3 FCH
|
L2 Cache
|
3MB
|
Warranty
|
3 Year
|


এই প্রসেসরগুলোর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে,
বিশেষ আর্কিটেকচারে তৈরি।
বিল্ট ইন গ্রফিক্স প্রসেসসর এবং মেমরি।
এল ২ ক্যাশ মেমরি।
খুবই কম বিদ্যুৎ খরচ করে।
৩২ ন্যানোমিটার টেকনোলোজি।
আধুনিক কুলিং সিস্টেম।
দামে সাশ্রয়ী।

এখানে প্রথম ২টি মডেল ব্ল্যাক এডিশন এবং ৫ স্টার রেটিং প্রাপ্ত। আর ৩য় টি ৪.৫ স্টার। এর ক্লক স্পিড কিছুটা কম। কিন্তু প্রসেসসরগুলোর সবচেয়ে বড় সুবিধা যে গ্রাফিক্স প্রসেসসর থাকার পর ও এটি মাত্র ৬৫ ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যাবহার করে যেখানে কোর আই ৩ ১২৫ ওয়াট। চলুন একটা হিসেব দেখে আসি এর বাজেট সাশ্রয়ী নমুনার।
Intel core i3 sandy bridge+AMD Radeon 6550 DDR3 Graphics Card+400W power supply | 8200+5800+3500Tk | = 17500Tk.
এখানে আই ৩ মাত্র ২ কোরের এবং সর্বমোট পাওয়ার সাপ্লাই লাগবে কমপক্ষে ৪০০ ওয়াট। সেখানে আপনি সর্বশেষ মডেলটিতে ৭৮০০ টাকাতে সব পাবেন । তবে এই মডেলের সমস্যা একটাই যে এর ক্লক স্পিড তুলনামুলক কম।

বাজেট ভাবুক গেমারদের কাছে ইতিমধ্যে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর ব্যাবহারকারিরা ইতিমধ্যে একে ৪.৫ স্টার রেটিং দিয়েছেন। তাহলে আর দেরি কেন ? গেমাররা বসে আছেন কেন ? গ্রাফিক্স রিকয়ারমেন্ট নিয়ে চিন্তা কিসের ? ঝাপিয়ে পরুন যুদ্ধে এএমডির সাথে।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন