Qaher F-313 ইসলামিক
রিপাবলিক ইরান নির্মিত একটি অত্যাধুনিক স্টিলথ যুদ্ধবিমান।রাডারের চোখকে
ফাকি দিয়ে অত্যন্ত নিচু দিয়ে উড়ে যেতে সক্ষম এই বিমানটিতে সর্বাধুনিক
প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ডঃ মাহমুদ
আহমাদিনেজাদ Qaher F-313 বিমান নির্মাণ সম্পর্কে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন
"এই বিমানের নির্মাণ ইরানের বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রাকে শীর্ষচূড়ায় নিয়ে
গেছে।" এফ-৩১৩ বিমানটি ২০০৭ সালে ডিজাইন করা অনেকগুলো অত্যাধুনিক ডিজাইনের
একটি যা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
আহমেদ ভাহিদি বলেছেন " কাহের এফ-৩১৩ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত
বিমান যা ইরানের শ্রেষ্ঠ বিমান প্রযুক্তিবিদদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং
নিরলস পরিশ্রমের ফল। রাডারকে ফাকি দিতে সক্ষম এই বিমানটি অত্যন্ত নিচু
দিয়ে উড়ে যেতে সক্ষম। এটি বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধাস্ত্র ও বোমা বহন এবং
শত্রু বিমানের সাথে আকাশ যুদ্ধে সমান পারদর্শী। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত রানওয়ে
থেকে এটি উড়তে পারে।
ইরানের
ইংরেজি ভাষার চ্যানেল প্রেস টিভির বরাত দিয়ে জানা যায় এটি যুক্তরাষ্ট্র
নির্মিত এফ-১৮ হরনেট বিমানের সমকক্ষ যা আকাশযুদ্ধে শত্রু বিমানকে পরাজিত
করা এবং শত্রু দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ধ্বংসে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে
পারে।
আশির দশকের পর থেকে ইরানের উপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপিয়ে দেয়া
অর্থনৈতিক এবং সামরিক নিষেধাজ্ঞার কারনে ইরান সামরিক প্রযুক্তি আমদানি
করতে পারত না। এরপর ইরান নিজস্ব সামরিক শিল্প গড়ে তোলে। সাম্প্রতিক সময়ে
ইরান নিজস্ব প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক, যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন,
ক্ষেপণাস্ত্র, টর্পেডো, রাইফেল, পাইলট বিহীন বিমান এবং অন্যান্য যুদ্ধ
সরঞ্জাম নির্মাণ করছে। এর ফলে দেশটি সামরিক ক্ষেত্রে প্রায় সয়ংসম্পূর্ণ
হয়ে উঠেছে।
২রা ফেব্রুয়ারী ২০১৩ তারিখে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ
সংস্থা ইরনা (IRNA) এবং ইংরেজি টিভি চ্যানেল প্রেসটিভিতে এফ-৩১৩ যুদ্ধবিমান
নির্মাণের সংবাদ প্রচার করা হয়। প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ বলেন, " উন্নতি
নির্ভর করে আমাদের ইচ্ছার উপর, যদি আমাদের সেই ইচ্ছা না থাকত তবে কেউ
আমাদের এখানে পৌঁছে দিতনা। একসময় আমরা গাড়ি আমদানি করে আমাদের দেশে
সংযোজন করতাম। আর এখন আমরা সম্পূর্ণ নিজেদের তৈরি বিমান আকাশে ওড়াই।"
ভাই নিজে কোনও কিছু লিখতে পারেন না তাহলে ব্লগিং করতে আসছেন কেন...?
উত্তরমুছুনএই রকম কপি পেস্ট করে লেখা দিয়ে মনে রাখবেন আর যাই হোক ব্লগার হওয়া যায় না। চোর হওয়া যায়। আপনার মত চুরি করে লেখা দেয়ার অভ্যাস থাকলে আমি ২ দিনেই আমার ব্লগ ভরে ফেলতে পারতাম। একটা ভাল লেখা লিখতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আমি খুব বেশিদিন হয়না ব্লগিং করি। তবুও আমার লেখা কেউ চুরি করার মানে হল নিশ্চয়ই আমার লেখা ভাল হয়েছে :D। তাই আপনি চুরি করেছেন। ভাই এইসব বাদ দিয়ে নিজে চেষ্টা করেন। ইনশাআল্লাহ আপনি নিজেও পারবেন।