শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১২

মায়েদের অভিনব প্রতিবাদ!

যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টলের পার্ক স্ট্রিট রেস্তোরাঁয় বসে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছিলেন মা কেলি শায়েচার। কিন্তু বাদ সাধলেন ওই রেস্তোরাঁর একজন পরিচারিকা। কেলিকে সাফ জানিয়ে দিলেন, এভাবে রেস্তোরাঁয় বসে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে না। শুধু তাই নয়, দুধের শিশুকে নিয়ে তিনি রেস্তোরাঁয় আবার আসতেও বারণ করলেন তিনি।
পরিবারবান্ধব শহর হিসেবে খ্যাত ব্রিস্টলে এমন ঘটনায় অবাক হয়ে যান কেলি (২৮)। তাঁর ভাষায়, ‘আমার সঙ্গে যখন এমন আচরণ করা হলো, আমি ভড়কে গিয়েছিলাম। এ আচরণে সত্যিই খুব কষ্ট পেয়েছি।’
তখন অবশ্য কোনো প্রতিবাদ করেননি কেলি। সন্তান নিয়ে সোজা বাড়ি চলে যান। পরে এই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা সামাজিক যোগযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকের মাধ্যমে অন্যদের জানান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান—দুই শতাধিক মা এক হয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। যেই ভাবা, সেই কাজ। সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েরা সন্তানদের নিয়ে একযোগে হাজির হন ওই রেস্তোরাঁয়। সবাই সেখানে বসে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে শুরু করেন।
মায়েদের এমন প্রতিবাদের বিষয়ে কেলি জানালেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সবাই সেখানে জড়ো হয়েছিলাম। আমরা কোনো বিক্ষোভ করিনি। এ ব্যাপারে পুলিশ ও জনগণ আমাদের সহযোগিতা করেছে।’
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেন কেলি। নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘মেয়েরা এখানে তাদের ইচ্ছেমতো পোশাক পড়ে ঘুরে বেড়ায়। তা নিয়ে তো কারো কোনো সমস্যা নেই। তবে আমি সন্তানকে দুধ খাওয়ালে কী সমস্যা?’
মায়েরা এভাবে প্রতিবাদ জানাতে গেলে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পারেন পার্ক স্ট্রিটের ওই রেস্তোরাঁর মালিক ও মহাব্যবস্থাপক ডেভিড পনটিনি (৩৫)। তিনি এটাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ উল্লেখ করে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। শুধু তাই নয়, রেস্তোরাঁয় টানিয়ে দেন, ‘এখানে শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা আছে।’ একই সঙ্গে সব মাকে মাগনা এক কাপ কফি ও একটি করে কেক দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
ডেভিড পনটিনি বলেন, ‘আমরা এখানে সব মাকে স্বাগত জানাই। এখানে শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা আছে।’ ডেইলি মেইল অনলাইন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন