মোবাইল ফোনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ কী? নিশ্চয় কথা বলার যন্ত্র হিসেবে কথা
বলাটাই মূল কাজ হওয়া উচিত। কিছুদিন আগে পর্যন্ত এটাই মুঠোফোনের মূল কাজ
ছিল। তবে এখন আর কেবল কথা বলার চৌহদ্দিতেই মোবাইল ফোন সীমাবদ্ধ নেই।
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, যত ধরনের কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহূত হয়, ‘কথা
বলার যন্ত্র’ হিসেবে মোবাইল ফোনের ব্যবহার তার মধ্যে পঞ্চম। এক খবরে ডেইলি
মেইল এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘ওটু’ প্রায় দুই হাজার
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে জরিপ চালিয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, মোবাইল ফোন
এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয় ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে। এরপর ফেসবুক, গেম ও
গান শোনার জন্য। এই চারটির পরের অবস্থানে রয়েছে কথা বলার বিষয়টি।
যুক্তরাজ্যে চালানো এ জরিপে দেখা গেছে, ব্যবহারকারীরা দিনের মধ্যে গড়ে ১২
মিনিট মোবাইল ফোনে কথা কথা বলেন । তুলনামূলকভাবে গড়ে দুই ঘণ্টা ব্যয় করেন
অন্যান্য কাজে।
মোবাইল ফোন ব্যবহার করে মেসেজ বা বার্তা পাঠানোর বিষয়টি একসময় জনপ্রিয় ছিল।
কিন্তু বার্তা পাঠানোর মাত্রা এখন অনেক কমেছে। খুদে বার্তায় এখন দিনের
মধ্যে সময়ের হিসাবে মাত্র ১০ মিনিট ব্যয় করেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা।
দিনের সবচেয়ে বেশি সময়, ২৫ মিনিট ব্যয়িত হয় ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে আর ১৭
মিনিট ব্যয় করা হয় ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের
পেছনে।
জরিপের ফল জানাচ্ছে, স্মার্টফোনের ব্যবহার অ্যালার্ম ঘড়ি, হাতঘড়ি,
ক্যামেরা, ডায়েরি, টেলিভিশন ও ল্যাপটপের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে। ৫৪ শতাংশ
অ্যালার্ম ঘড়ির ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে মোবাইল ফোন। ৪৬ শতাংশ হাতঘড়ি ও ৩৯
শতাংশ ক্যামেরার ব্যবহার কমিয়েছে স্মার্টফোন।
ওটুর সাধারণ ব্যবস্থাপক ডেভিড জনসন এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বর্তমানে
স্মার্টফোন হচ্ছে ‘সুইস নাইফ’-এর মতো, যার বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। মোবাইল
ফোনের ব্যবহার এখন আর কেবল কথা বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। মানুষ এখন
বিভিন্ন বস্তুর বিকল্প হিসেবে স্মার্টফোন ব্যবহার করছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন