ইন্টারনেট এ বিভিন্ন সাইট থেকে তথ্য চুরির ঘটনা আমরা অনেক শুনেছি,
কিন্তু মস্তিস্ক থেকে তথ্য চুরির ঘটনা বিশ্বে এবারই প্রথম। সার্ভার
এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সাইট এর কন্টেন্ট, বেঙ্ক এর গোপন তথ্য, পিন নাম্বার,
একাউন্ট আইডি ইত্যাদি সুরক্ষিত রাখার জন্য নিরাপত্তা জাল তৈরির কমতি
থাকেনা কোনোক্ষেত্রেই । তবুও হেকিং এর ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছেই । তথ্য
সুরক্ষিত রাখার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বেবস্থা জোরদার করার পরও যদি তথ্য
চুরি হয়, তবে বিষয়টি অবাক হবার মতই । কিন্তু না, অবিশ্বাস্য মনে হলে
বিষয়টি সত্যি । এখন মানব মস্তিষ্কও হ্যাক করা সম্ভব ! শুধু তাই নয়, যে
কোনো ব্যক্তির ব্রেইন হ্যাক করে তার ব্যক্তিগত গোপন সব তথ্য চুরি করা
সম্ভব । মানুষের মস্তিষ্ক হ্যাক করে গোপন তথ্য চুরি করা যে সম্ভব,
সম্প্রতি তার প্রমাণ দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড এবং ইউনিভার্সিটি অফ
ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানী ও গবেষকরা । আর এ কাজে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা
ব্যবহার করেছেন স্বল্পমূল্যের ইমোটিভ ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস বা ইমোটিভ
বিসিআই।
বিজ্ঞানীদের গবেষণায় সহযোগিতা করেন একাধিক স্বেচ্ছাসেবক এবং ওই
স্বেচ্ছাসেবকদের কয়েকজনকে ইমোটিভ বিসিআই হেডসেট পরিয়ে কম্পিউটারের সামনে
বসিয়ে দেন বিজ্ঞানীরা। এরপর মস্তিষ্কের পি৩০০ সিগন্যাল অনুসরণ করে সংগ্রহ
করেন স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত গোপন সকল তথ্য ।
ইমোটিভ বিসিআই ব্যবহার করে স্বেচ্ছাসেবকদের মস্তিষ্ক থেকে সংগ্রহ করা
ডেটা থেকে খুব সহজেই তাদের ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং কার্ড পিন নম্বর
খুঁজে বের করে ফেলেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা।
বিজ্ঞানী ও গবেষকরা আশংকা করছেন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগামীতে
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর হ্যাকিং চালাতে পারে নানা অশুভ শক্তি ।
সর্বোচ্চ প্রযুক্তির মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে তথ্য চুরির এ অসাধারণ কাজটি
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা এবং নজিরবিহীন মাইলফলক ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন