ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত বিষয় প্রকাশে আগ্রহের কমতি নেই অনেকেরই। তরুণ
ব্যবহারকারীদের আগ্রহটা যেন একটু বেশিই। তবে এ অতি উত্সাহে ঝুঁকিও থাকে
যথেষ্ট। ব্যক্তিগত এমন অনেক বিষয়ই রয়েছে, যেগুলো প্রকাশে কারও ব্যক্তিত্বের
দুর্বলতাই ফুটে ওঠে। তাই ইন্টারনেটে পাঁচটি বিষয় প্রকাশে মানা করেছেন
বিশেষজ্ঞরা।
ইন্টারনেটে যে বিষয়টি প্রকাশে অনেকেই আপত্তি করেন, তার অন্যতম অন্তরঙ্গ ছবি
বা ভিডিও। এ ধরনের ছবি বা ভিডিও প্রকাশ বিপজ্জনক। কারণ ওই ব্যক্তির কোনো
বিষয় প্রকাশের বহু বছর পরও তাঁর বন্ধু বা পরিচিত মহলে এটা নিয়ে আলোচনা হতে
পারে, যা প্রকাশকারীর জন্য বিব্রতকর।
ইদানিং অনেকেই তাঁদের ফোন নম্বর ও ব্যক্তিগত ঠিকানা তাঁদের বিভিন্ন সামাজিক
যোগাযোগের ওয়েবসাইটের পৃষ্ঠায় দিয়ে থাকেন। এতে তাঁর সঙ্গে বিভিন্নজনের
সম্পর্ক বাড়ে। তবে বিপরীতে সমস্যা হলো, শত্রুরা ঠিকানা পেয়ে সেটির
অপব্যবহার করতে পারে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ব্যক্তিগত জীবন।
কথায় আছে ‘ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়’। এ বাস্তবতা ইন্টারনেটের জগতেও।
আপনি যদি কারও নামে অভিযোগ করে কিছু প্রকাশ করেন, সেও আপনার নামে বিপরীত
কিছু প্রকাশ করতে পারে। এ রকম কিছু আপনার জন্য সম্মানহানিকর।
অনলাইনের মাধ্যমে বিল পরিশোধ এখন আর নতুন বিষয় নয়। তবে নির্ধারিত
ওয়েবসাইটের নিজের অ্যাকাউন্ট নম্বর কিংবা সেটির পিন কোড প্রকাশ করা অতিশয়
বোকামি। এতে যে কেউ এর অপব্যবহার করতে পারেন।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটে অনেকেই তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি কয়েক
মিনিট পর পর হালনাগাদ করেন। এতে তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ হয়, তবে বিপদ থাকে
যথেষ্ট। কারণ কেউ যদি আবেগাপ্লুত হয়ে বলে ফেলেন, ‘আমি এখন পানশালায়
যাচ্ছি’, তাহলে সেটি হতে পারে তার জন্য অপমানজনক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন