শনিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৩

তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে ডিএনএতে!

তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে ডিএনএতে!



প্রাণীর বংশগতির তথ্য ধারক ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিয়িক অ্যাসিড বা ডিএনএতেই সংরক্ষণ করা যাবে ডিজিটাল ডেটা। বার্তাসংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি ডিএনএতে শেক্সপিয়ারের সনেট, একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিবেদন এবং মার্টিন লুথার কিংয়ের ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’ ভাষণের অংশবিশেষ সংরক্ষণ করে দেখিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী। ডিএনএতে সংরক্ষিত ওই ডেটাগুলোর ১০০ ভাগই পরে পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা মার্টিন লুথার কিংয়ের কিংবদন্তীসম ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’ ভাষণের ২৬ সেকেন্ড, জেপিজি ফাইল ফরম্যাটের একটি ছবি, ক্রিক এবং ওয়াটসনের ১৯৫৩ সালের ডিএনএর ওপর গবেষণাপত্র এবং শেক্সপিয়ারের একটি সনেট ডিএনএতে এনকোড করতে সমর্থ হন। কম্পিউটার ড্রাইভের হিসেবে যা মোট ৭৬০ কিলোবাইট। আর এই ৭৬০ কিলোবাইট তথ্যবাহী ডিএনএটি আকারে একটি ধূলিকণার সমান।
গবেষকদলের দলের সদস্য নিক গোল্ডম্যান জানিয়েছেন, ডিজিটাল ডেটা সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে ডিএনএ এতোই ঘন যে এক গ্রাম ডিএনএতে দুই পেটাবাইট ডেটা সংরক্ষণ করা সম্ভব, যা প্রায় ৩০ লাখ সিডির সমান।
আর ডিএনএতে ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, ডিএনএটি সংরক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়োজন পড়বে না, প্রয়োজন নেই নিয়মিত দেখাশোনারও। অন্ধকার, শুষ্ক ও শীতল পরিবেশে দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে ডিএনএ। এমন পরিবেশে থাকার কারণেই হাজার বছর পরেও অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায় ম্যামথের ডিএনএ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও ঐতিহাসিক তথ্য উপাত্ত দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব। তবে খরচ অনেক বেশি হওয়ায় এখনই বড় পরিসরে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হচ্ছে না। তবে নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে এর খরচ কমে আসবে এবং স্বল্প খরচে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন