From this blog you can find some information's that related to computer ,media,electronics,movies,songs,interesting news,worlds current facts,medical,sports news and so on.
বুধবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১২
সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১২
Windows 8 – কয়েকটি প্রধান সমস্যা ও সমাধান

আপনারা সবাই জানেন গত ২৬ অক্টোবর Microsoft আনুষ্ঠানিকভাবে Windows 8 বাজারে ছাড়ে। আমাদের দেশে ও চলে এসেছে এই নতুন অপারেটিং সিস্টেমটি। যারা আমার মত Pirated সিডি কিনে Windows 8 ইন্সটল দিয়েছেন বা দেবেন তারা কয়েকটি সমস্যায় পড়ছেন। আজ আমরা মূল কয়েকটি সমস্যার সমাধান দেখবো। এক্ষেত্রে একটু বলে নিই, Windows 8 মূলত Windows 7 এর একটি উন্নত ভার্সন। এই কারণে Installation System থেকে শুরু করে মোটামুটি সবকিছুই Windows 7 এর মত। কেবল মাত্র Theme এবং Using Protocol এ একটু পার্থক্য আছে। চলুন দেখে নেয়া যাক, যেসব সমস্যায় আমরা পড়িWindows 8 ইন্সটলের পর সেগুলোর সমাধান! 

১. Windows 8 অ্যাক্টিভ করুন :
Windows 8 ইন্সটল দেয়ার পর প্রথম যে সমস্যায় আমরা পড়ি সেটা হল Pirated Windows 8 টি কে Active বা Full Version করা। এই জন্য নিঃসন্দেহে একটি Windows Activation Loader প্রয়োজন হয়। ইন্টারনেটে অনেক Activator পাওয়া যায়, কিন্তু সেগুলো দিয়ে Windows 8 অ্যাক্টিভ করতে অনেক ঝামেলা! তাই আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি একটি অত্যন্ত সহজ Activator. যেটা শতভাগ কাজ করবে আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি। Windows 8 ইন্সটল দেয়ার পর সবকিছুর কাজ শেষ হলে Activator ওপেন করে ক্লিক করুন। আপনার পিসি একবার Restart হবে। তারপর আপনি Windows Active হওয়ারNotification পাবেন! কাজ শেষ! 

২. Windows 8 এ ঘড়ি ঠিক করুন :
Windows 8 এর আরেকটি সমস্যা যেটা দেখা যায় সেটা হল ঘড়ি 12ঘন্টার পরিবর্তে 24 ঘন্টা হিসেবে দেখায়। অর্থাৎ ১২টার পর ১টা না হয়ে ১৩টা, ১৪টা এভাবে দেখায়। এটাকে 12 ঘন্টার ঘড়িতে নিয়ে আসার জন্য আপনার পিসির টাস্কবারের ঘড়িতে ক্লিক করুন। তারপর Change Time and Date Settings এ ক্লিক করলে নতুন উইন্ডো ওপেন হবে। সেখান থেকে Change Date and Time > Change Calender Settings > Time কমান্ড অনুসরণ করুন। এবার সেখানে Short Time এর ঘরে “hh:mm tt” এবং Long Time এর ঘরে “hh:mm:ss tt” সিলেক্ট করুন। এরপর Apply দিয়ে OK করুন। নিচের ছবি দেখুন -

দেখবেন আপনার ঘড়ি ১২ ঘন্টা হয়ে গেছে।
৩. খুঁজে পান Control Panel সহ Windows 7 এর স্টার্ট মেনুর সকল অপশন :
Theme এবং Using Protocol এর কিছু পরিবর্তনের কারণে Windows 8 এ Windows 7 এর মত বাম পাশের কোণায় কোন Start Button নেই। এইজন্য প্রথম প্রথম স্টার্ট মেনুর জিনিসপত্র খুঁজে পেতে একটু বেগ পেতে হয়। এমনকি আগে যেখানে Power Button ছিল সেখানে এখন কিছুই নেই! তাহলে পিসিShut Down বা Restart করবেন কিভাবে?? 

Windows 8 এর স্টার্ট মেনুর সব কিছু পাওয়ার জন্য আপনার ডেস্কটপের ডানপাশে উপরে বা নিচের যে কোন কোণায় মাউস কার্সর নিয়ে যান দেখবেন একটি সাইডবার ওপেন হবে। সেখান থেকে Settings অপশনটিতে ক্লিক করুন। দেখবেন উপরের সারিতে Control Panel সহ আপনার Power Button, Internet Access, Volume, Brightness, Keyboard সহ সকল অপশন পেয়ে গেছেন।
আর স্টার্ট মেনুর সকল জিনিসপত্র খুঁজে পাওয়ার জন্য আগের মত সাইডবার আনুন। সেখান থেকে Search অপশন এ ক্লিক করুন। দেখবেন Search এর অপশন সহ স্টার্ট মেনুর সব কিছু পেয়ে গেছেন।
৪. কী বোর্ডের Lay Out ঠিক করুন :
Windows 8 ইন্সটল দেয়ার একটা আজব সমস্যা সবার হয়, বিশেষ করে ল্যাপটপে। সেটা হল Shift+2 চাপলে (@) আসার কথা তার জায়গায় ( ” ) আসে। আর ( ” ) এর বাটনে ক্লিক করলে (@) আসে। এই আজব সমস্যার কারনে টাইপ করতে সমস্যা হয়। এর সমাধানের জন্য আপনার পিসির কন্ট্রোল প্যানেলে যান। সেখান থেকে Clock, Language and Region > Change Input Methods > Options > Add an input method কমান্ড অনুসরণ করুন। অনেকগুলো কী বোর্ড Lay Out আসবে। সেখান থেকে United States International Qwerty Keyboard সিলেক্ট করুন, তারপর Save করুন। দেখবেন আগের সমস্যাটি ঠিক হয়ে গেছে।
সাধারণত এই ৪টি সমস্যা সবার হতে দেখা যায়। আর তেমন কোন বিশেষ সমস্যা নেই Windows 8 এ।
বাড়িয়ে নিন আপনার পেনড্রাইভ এর স্পিড ……এক নিমিষেই
পেনড্রাইভ এর স্পিড কম হলে কার ভাল লাগে বলুন ??
সবাই ই চাই বেশী স্পীড।
তাই আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম এমন একটি ছোট ট্রিক্স যা আপনার পেনড্রাইভ এর স্পীড বারাবে ১০০% গ্য্যারান্টি 

আসুন তাহলে শুরু করা যাক……
প্রথমে আপনার পেন ড্রাইভ টিকে usb দিয়ে পিসি এর সাথে কানেক্ট করুন ………
ফরম্যাট অপশণ এ যান
ফাইল সিসেট্ম থেকে FAT32 থেকে NTFS করুন……।।
এবার পেনড্রাইভ ফরম্যাট দিন……।।
ফরম্যাট দিতে একটু বেশী সময় লাগবে………।
ফরম্যাট হয়ে গেলে আপনার কাজ শেষ
এবার ২০০-২০০০mb এর যে কোন ফাইল সেন্ড করুন আপনার পেনড্রাইভ এ ।
আর দেখুন মজা…… 

নোটঃ শুধু মাত্র windows 7 এ কাজ করবে এই ট্রিক্স
অ্যাপলের আসল কারিগর – স্টিভ ওজনিয়্যাক এর জীবনী
অসাধারণ প্রতিভাধর কম্পিউটার বৈজ্ঞানিক স্টিভ ওজনিয়্যাকের জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ার সানজোসে শহরে। তার উদ্ভাবিত কম্পিউটার ‘‘অ্যাপল-১’’ সত্তর দশকে চরম জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ১৯৭৬ সালে স্টিভ জবস এই ওজনিয়্যাকের সাথেই জন্ম দেন অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানি। তাঁদের উদ্ভাবিত ‘‘অ্যাপল-২’’ ও সত্তর-আশির দশকে কম্পিউটারপ্রেমীদের মাতিয়ে রেখেছিল। ১৯৮৫ সালে ওজনিয়্যাক অ্যাপল ছেড়ে চলে যান এবং আর কখনও ফিরে আসেননি।
স্টিভ ওজনিয়্যাকের সাথে স্টিভ জবসের অনেক আগের একটি ছবিঃ

স্টিভ ওজনিয়্যাকের ডাকনাম ‘‘ওজ’’। ওজের জাদুকর গল্পে অনুকরণেই তার এই নামকরণ। তিনি আমেরিকার বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে (বার্কলে) পড়তে গেলেন ১৯৭৫ সালে। কিন্তু অল্প কিছু পড়েই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন এবং ছোটখাট ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি বানাতে শুরু করেন। অবশ্য তার অধিকাংশ আবিষ্কারের উদ্দেশ্যই ছিল সেই সময়ের পাউলো-আলতোর হোম-ব্রিউ কম্পিউটার ক্লাবের সদস্যদের একটুখানি মুগ্ধ করা। এই সব প্রজেক্টের তেমন কোন ভবিষ্যৎও ছিল না বলা চলে।
আমেরিকার বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে পড়তে গেলেন ১৯৭৫ সালে কিন্তু অল্প কিছু পড়েই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। পরে অবশ্য ১৯৮৬ সালে আবার এখানে ফিরে এসে ব্যাচেলর ডিগ্রী নেন। কিন্তু তাও নিজের নামে নয়- রকি ক্লার্ক ছদ্মনামে
আমেরিকার বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে পড়তে গেলেন ১৯৭৫ সালে কিন্তু অল্প কিছু পড়েই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। পরে অবশ্য ১৯৮৬ সালে আবার এখানে ফিরে এসে ব্যাচেলর ডিগ্রী নেন। কিন্তু তাও নিজের নামে নয়- রকি ক্লার্ক ছদ্মনামে
বন্ধু জবসের সাথে মিলে ওজ ঠিক করলেন তারা একটি কম্পিউটার তৈরী করবেন এবং বাজারে বিক্রিও করবেন। ব্যস যেমন ভাবা তেমনই কাজ। নিজের এইচপি সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ও স্টিভ জবসের ভক্সওয়াগনটি বিক্রি করে ১৩০০ ডলার পাওয়া গেল এবং সেই টাকায় তাঁরা দুজন রাত-দিন খাটাখাটি করে তৈরী করলেন কাঙ্খিত সেই কম্পিউটারের প্রটোটাইপ বা নমুনা। এটি তৈরী হলো জবসের বাসার গ্যারেজে। তাদের প্রথম এই কম্পিউটারটি ছিল সেই সময়ের হিসেবে অসাধারণ একটি যন্ত্র।তখন বাজারে সাধারণতঃ যে কম্পিউটার পাওয়া যেত তার নাম ছিল আল্টিয়ার-৮৮০০। কিন্তু এর ছিল না কোন ডিসপ্লে কিংবা সত্যিকারের স্টোরেজ ব্যবস্থা। এমনকি আউটপুটও আসতো লাইট ফ্লাশিং এর মাধ্যমে। এই ধরনের কম্পিউটার শখের ইলেকট্রনিক কাজের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে কিন্তু সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য অবশ্যই নয়।
অন্যদিকে ওজের কম্পিউটার ‘‘অ্যাপল-১’’ ছিল সবদিক থেকেই দারুন স্বয়ং সম্পূর্ণ। এতেছিল ২৫ ডলারের একটি মাইক্রোপ্রসেসর যার নাম মস ৬৫০২ এবং স্থায়ী মেমরী বা রম (ROM)।
অন্যদিকে ওজের কম্পিউটার ‘‘অ্যাপল-১’’ ছিল সবদিক থেকেই দারুন স্বয়ং সম্পূর্ণ। এতেছিল ২৫ ডলারের একটি মাইক্রোপ্রসেসর যার নাম মস ৬৫০২ এবং স্থায়ী মেমরী বা রম (ROM)।
১৯৭৬ সালের পহেলা এপ্রিলে ওজ তার বন্ধু জবসের সাথে গঠন করলেন অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানী। এর জন্য তিনি তার হিউলেট-প্যাকার্ডের চাকুরীও ছেড়ে দিলেন এবং অ্যাপলে যুক্ত হলেন গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার সহকারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে।
এবার তিনি তার পুরো সময় এবং মেধা ব্যয় করলেন ‘‘অ্যাপল-১’’ এর উন্নয়নে। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি উদ্ভাবন করলেন ‘‘অ্যাপল-২’’ যাতে ছিল উন্নত রেজুলেশনের ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা যেখানে অন্যান্য কম্পিউটার শুধুমাত্র লেখা প্রদর্শন করেই ক্ষান্ত ছিল। তিনি এতে একটি ফ্লপি ডিস্ক কন্ট্রোলার যুক্ত করলেন এবং সেই সাথে রাল্ডি উইগিংটনকে (ম্যাকরাইট সফটওয়্যারের জনক, অ্যাপল কোম্পানীর প্রথম কর্মী) নিয়ে লিখে ফেলেন একটি আদর্শ ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম। এভাবে হার্ডওয়্যার যন্ত্রাংশ ডিজাইনের পাশাপাশি ওজ নিজেই অ্যাপলেন বেশির ভাগ সফটওয়ারও লিখে ফেলতে লাগলেন। তৈরী করলেন ক্যালভিন নামের একটি উন্নত প্রোগ্রামিং ভাষার ইন্টাপ্রেটর, সুইট-১৬ নামের ১৬-বিট প্রসেসরের ইন্সট্রাকসন সেট, ব্রেকআইট নামের একটি কম্পিউটার গেম ইত্যাদি। এই গেমটি তৈরী করতে গিয়েই তিনি বুঝতে পারলেন এখন সময় এসেছে কম্পিউটারের সাথে স্পিকার যুক্ত করার, যাতে এটি শব্দও করতে পারে।
এবার তিনি তার পুরো সময় এবং মেধা ব্যয় করলেন ‘‘অ্যাপল-১’’ এর উন্নয়নে। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি উদ্ভাবন করলেন ‘‘অ্যাপল-২’’ যাতে ছিল উন্নত রেজুলেশনের ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা যেখানে অন্যান্য কম্পিউটার শুধুমাত্র লেখা প্রদর্শন করেই ক্ষান্ত ছিল। তিনি এতে একটি ফ্লপি ডিস্ক কন্ট্রোলার যুক্ত করলেন এবং সেই সাথে রাল্ডি উইগিংটনকে (ম্যাকরাইট সফটওয়্যারের জনক, অ্যাপল কোম্পানীর প্রথম কর্মী) নিয়ে লিখে ফেলেন একটি আদর্শ ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম। এভাবে হার্ডওয়্যার যন্ত্রাংশ ডিজাইনের পাশাপাশি ওজ নিজেই অ্যাপলেন বেশির ভাগ সফটওয়ারও লিখে ফেলতে লাগলেন। তৈরী করলেন ক্যালভিন নামের একটি উন্নত প্রোগ্রামিং ভাষার ইন্টাপ্রেটর, সুইট-১৬ নামের ১৬-বিট প্রসেসরের ইন্সট্রাকসন সেট, ব্রেকআইট নামের একটি কম্পিউটার গেম ইত্যাদি। এই গেমটি তৈরী করতে গিয়েই তিনি বুঝতে পারলেন এখন সময় এসেছে কম্পিউটারের সাথে স্পিকার যুক্ত করার, যাতে এটি শব্দও করতে পারে।
১৯৮০ সালে ওজ মিলিয়নিয়ার বনে গেলেন। তাঁকেই অ্যাপল কম্পিউটারের গডফাদার বলা হতো। কিন্তু এর পরই ঘটলো অঘটন। ‘‘অ্যাপল-২’’ এর পর ‘‘অ্যাপল-৩’’ তেমন বাজার ধরতে পারলো না এবং পাশাপাশি আরেক লিসা প্রকল্পেরও ধস নামালো। ১৯৮১ তে ওজ সামত্মাক্রুজ স্কাই পার্কে একটি বিমান দূর্ঘটনায় কিছুদিনের জন্য তাঁর স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। কিভাবে এই দূর্ঘটনাটি ঘটলো এবং কোথায় এইসব কোন তথ্যই তাঁর মনে রইলো না। তাঁর বান্ধবী সিন্ডি ক্লার্কের কাছে পর্যন্ত জানতে চাইলেন কি ঘটেছিল সেইদিন। যখন সিন্ডি আস্তে আস্তে সব খুলে বলল ওজের স্মৃতিশক্তি ফিরে আসতে লাগলো। যদিও ওজের কম্পিউটার গেমের আসক্তিও স্মৃতিশক্তি ফেরাতে সহায়তা করে অনেকটাই।
সেই প্লেন দূর্ঘটনায় ওজের এই দুরবস্থা হয়েছিল তার নাম ছিল ‘‘বীচ বোনানজা’’। সান্তাক্রজের স্কাইপার্ক থেকে উড়তে গিয়ে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু সুস্থ্য হওয়ার পর ওজনিয়্যাক আর অ্যাপলে ফিরে গেলেন না। বরং তিনি তাঁর বান্ধবী ক্লার্ককে বিয়ে করলেন। যাকে তিনি মজা করে ‘‘সুপার ওম্যান’’ বলে ডাকতেন। কারণ, সুপারওম্যানের হারানো স্মৃতিশক্তি (ক্রিপনোইটের আঘাতে) ফেরাতে সুপার ওম্যানের ভূমিকাই বেশি। যাইহোক, অ্যাপলে না গিয়ে তিনি বরং তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি বার্কলেতে ফিরে এলেন এবং ১৯৮৭ সালে তার স্নাতক পড়াশুনা শেষ করলেন। কিন্তু তাও নিজের নামে নয় রকি ক্লার্ক ছদ্মনামে। রকি ছিল তাঁর কুকুরের নাম আর ক্লার্ক হলো বউ এর শেষ নাম। এর মধ্যে যদিও তিনি একবার অ্যাপলে ফিরে এসেছিলেন কিন্তু সামান্য এক ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে বেশি বড় কোন পদ নিতে চাইলেন না। বরং সহকর্মীদের উৎসাহ দিতেই তার বেশি ভাল লাগতো।

স্টিভ ওজনিয়্যাক আমেরিকার বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে থেকে অবশেষে ডিগ্রী নিলেন তাঁর প্রিয় কুকুর রকির ছদ্মনামে
এবার তিনি আরেক নতুন কোম্পানী তৈরী করেন যার নাম ‘‘ক্লাউড-৯’’ এর কাজ ছিল ইউনিভার্সাল রিমোট কন্ট্রোল তৈরী করা। যা দিয়ে নানা রকম যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ১৯৮৭ তে এটি তৈরী হলো। এরপর তিনি প্রকৌশলী কাজকর্মও ছেড়ে দিলেন। সব বাদ দিয়ে তিনি স্কুলের ক্লাশ ফাইভের বাচ্চাদের পড়াতে শুরু করলেন। শুধু তাই নয়, নিজের সমস্ত অর্থই তিনি দান করে দিলেন স্থানীয় একটি স্কুলে (যেখানে তিনি ছোটবেলায় পড়েছিলেন) যার নাম ছিল বাটস গ্যাটোস ডিস্ট্রিক্ট স্কুল। এর পাশাপাশি তৈরী করলেন ইউনুসন (Unuson-Unite us In Song) নামের একটি দাতব্য সংস্থা যার মাধ্যমে আমেরিকার বড় বড় দুটি উৎসব আয়োজন করলেন।
সানজোসের বাচ্চাদের একটি জাদুঘরেও তিনি বহু অর্থ দান করলেন এবং এর উন্নয়নে কাজ করে সকলের মন জয় করে নিলেন, বিশেষ করে বাচ্চাদের। সেই জাদুঘরের সামনের রাস্তাটির নামকরণ করা হলো তাঁরই নামানুসারে ওজ ওয়ে (Woz Way), আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান তাকে প্রযুক্তিতে অবদান রাখার জন্য ন্যাশনাল মেডল অব টেকনোলজি প্রদান করলেন। ১৯৯৭ তে কম্পিউটার ইতিহাসের জাদুঘর তাঁকে ফেলো হিসেবে অন্তর্ভূক্ত নিল। ২০০০ সালে আমেরিকার জাতীয় উদ্ভাবকদের লিস্টিতে যুক্ত করা হলো।
২০০২ সালে তিনি আবার তথৎ প্রযুক্তির মাঝে ফিরে এলে এবং হুইলস অব জিউস বা সংক্ষেপে ওজ (Woz) প্রকল্পের শুরু করলেন তারবিহীন গ্লোবাল পজিসনিং সিস্টেমের উদ্ভাবন করা। একই বছর তিনি ডেনগার ইনকোর্পোরেটের বোর্ড অব ডিরেক্টরদের একজন হিসেবে যোগ দিলেন এবং টি-মোবাইলেন জন্য হিপটপ নামের একটি প্রযুক্তি তৈরী করতে লাগলেন।
২০০৪ সালে ড. টম মিলারের উদ্যোগে ওজকে নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করলো কম্পিউটার জগতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য। ২০০৫ সালে ওজ আরো দুটি ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন মিশিগান ও ফ্লোরিডার দুটি নামী বিশ্ববিদ্যালয় হতে। পাশাপাশি বাচ্চাদের স্কুলের জন্য ছোটখাট কাজে ব্যস্ত রইলেন।একই বছর তার হুইলস অব জিউস প্রকল্প বন্ধ করে দিয়ে নতুন এক প্রকল্পের শুরু করলেন যার নাম অ্যাকুইয়ার টেকনোলজি। এর কাজ ছিল বিভিন্ন প্রযুক্তির কোম্পানী হতে টেকনোলজি অধিগ্রহণ এবং সেই টেকনালজির উন্নয়ন সাধন করা।
ওজের আত্মজীবনী প্রকাশ করা হলো ২০০৬ সালে যার নাম ছিল ‘‘আইওজ: ফ্রম কম্পিউটার গিক টু কাল্ট আইকন-হাউ সাই ইনভেন্টেড পার্সনাল কম্পিউটার, কো-ফাউন্ডেড অ্যাপল এন্ড হ্যাড ফান ডুইং ইট (iWoz: From Computer Geek to Cult Icon: How I Invented the Personal Computer, Co-Founded Apple, and Had Fun Doing It.)’’
এখন ওজ ব্যস্ত আছেন পোলো খেলা নিয়ে। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া সমুদ্রতটের স্যাগওয়ে পোলো টীমের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তার দলে আছেন সিলিকন ভ্যালীর কম্পিউটার জগতের আরও অনেক ভগ্নহৃদয় প্রযুক্তিবিদ।
ব্যক্তিজীবনে ওজ একজন মজার মানুষ। সেই সময় তিনি তাঁর বাসা হতে ডায়াল-এ-জোক নামের মজার এক ফোন সার্ভিস চালু করেন। এই কাজ করতে গিয়েই তাঁর পরিচয় হয় একটি মেয়ের সাথে এবং পরবর্তীতে তাকেই তিনি বিয়ে করেন।
দুষ্ট কাজেও তিনি ছিলেন ওস্তাদ ব্যক্তি। ক্যাসিনোর ছেড়া স্লিপ সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে বই বানিয়ে আবার বই স্লিপ কেটে দর্শনার্থীর কাছে বিক্রি করা ছিল তাঁর প্রিয় কাজের মধ্যে একটি। এরকম করতে গিয়ে লাস ভেগাসের এক ক্যাসিনোতে একবার ধরাও পড়তে হয় তাঁকে। তিনি খুব ভাল গিটারও বাজাতে পারেন। তার প্রিয় একটি উক্তি হলো ‘‘এমন কম্পিউটারকে কখনও বিশ্বাস করো না, যা তুমি জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলতে পারো না।’’ তার এই বিখ্যাত উক্তি পরবর্তীতে ব্যবহৃত হয় সিভিলাইজেশন-৪ নামের একটি কম্পিউটার গেমে।
ওজকে নিয়েও বিভিন্ন সময়ে নির্মিত হয়েছে ডকুড্রামা ও কার্টুন চিত্র। এদের মধ্যে ‘‘ক্যাম্প নাওহয়্যার’’ চরিত্রে দেখা যায় ওজের নাম নিয়ে এক ব্যক্তি বাচ্চাদের ক্যাম্পে নিয়ে পালায়। ‘‘ইউরেকা-৭’’ কার্টুন চিত্রে দেখা যায় এক হ্যাকারের নাম ওজ। এমনকি লার্স নামের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীর গান ‘‘আহাব’’ এ ওজের কথা শুনতে পাওয়া যায়। এছাড়া ‘‘পাইরেটস অব সিলিকন ভ্যালী’’ ও ‘‘ট্রিয়াম্পফ অব নেরডস’’ ডকুড্রামাতেও ওজের ছদ্ম উপস্থিতি দেখা যায়।
‘‘এমন কম্পিউটারকে কখনও বিশ্বাস করো না, যা তুমি জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলতে পারো না।’’ তাঁর এই বিখ্যাত উক্তি পরবর্তীতে ব্যবহৃত হয় সিভিলাইজেশন-৪ নামের একটি কম্পিউটার গেমে। ওজনিয়্যাক এখন কম্পিউটারের চেয়ে ছোটখাট স্কুলের কাজ করতেই বেশি ভালবাসেন
প্রতিভাবান এই কম্পিউটার বৈজ্ঞানিক ওজ তাঁর প্রথম জীবনে পারসনাল কম্পিউটারের উন্নয়নের জন্য অবদান রাখেন কিন্তু পরবর্তীতে কম্পিউটারে কাছ থেকে সরে এসে নিয়োজিত হন সমাজ কল্যাণে এবং নির্লোভ এই ব্যক্তি এখন ছোট ছোট কাজের মাঝেই আনন্দ খুঁজে পান।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)