বুধবার, ১৩ জুন, ২০১২

চালু হলো আইপিভি ৬

ইন্টারনেটে নতুন পরিচয় হিসেবে ৬ জুন চালু হলো ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন ৬ (আইপিভি ৬)। ইন্টারনেট সোসাইটির বরাতে এক খবরে বিবিসি জানিয়েছে, ট্রিলিয়নেরও অধিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর নিজস্ব আইপি ঠিকানা হিসেবে পরিচিতি দিতেই আইপিভি ৬ চালু হয়েছে।
৬ জুন বুধবার ইন্টারনেট পরিচালকেরা আইপিভি ৬ চালু করে বিদায় জানাল ইন্টারনেটে ঠিকানা লেখার পদ্ধতি আইপিভি ৪-কে।
এত দিন ওয়েব অ্যাড্রেস বা ইন্টারনেটে কোনো ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখতে আইপিভি ৪ সংস্করণটি ব্যবহার করা হতো। যা ৮ বিটে ৩২টি ডিজিট দিয়ে লেখা হয়। এদিকে, আইপিভি ৬ হচ্ছে ১২৮ বিটের, যা মূলত হেক্সাডেসিমেল ফরম্যাটে লেখা হয়। বর্তমানে কোটি কোটি ওয়েবসাইট তৈরি হওয়ার ফলে পুরোনো ৮ বিটের আইপি দিয়ে বেশিদিন আর সাইটগুলোর নিবন্ধন করা সম্ভব ছিল না। অর্থাত্, দ্রুত শেষ হয়ে আসছিল আইপিভির আইপি ঠিকানা। নতুন নতুন পণ্য ও ওয়েবসাইটের জন্য ঠিকানা সংকট থেকে মুক্তির পথ হিসেবে আইপিভি ৬ নিয়ে কাজ করছিল ইন্টারনেট সোসাইটি। ইন্টারনেট সোসাইটির সদস্য হিসেবে আইপিভি ৬ সংস্করণে যেতে কাজ করছিল গুগল, ইয়াহু, মাইক্রোসফট বিং এবং ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৮ জুন আইপিভি ৬ দিবস পালন করেছিল ইন্টারনেটে দুনিয়ার বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্ব আইপিভি ৬ দিবস পালন উপলক্ষে এ দিনে একত্রে তাদের ওয়েবসাইটগুলো আইপিভি ৬ প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসে।
ইন্টারনেট সোসাইটি জানিয়েছে, ৬ জুন ইন্টারনেটের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। কারণ, আইপিভি ৬ চালু হওয়ায় আইপি স্বল্পতা পূরণ হয়ে ইন্টারনেট দুনিয়ায় নতুন পথ উন্মোচিত হলো।
আইপি নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান আইসিএএনএন জানিয়েছে, ইন্টারনেটযুক্ত বিভিন্ন পণ্যের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নতুন সংস্করণের ইন্টারনেট চালু জরুরি হয়ে পড়েছে। আইপিভি ৬ স্ট্যান্ডার্ডে ৩৪০ ট্রিলিয়নের বেশি আইপি ঠিকানা রয়েছে। তাই ইন্টারনেট ঠিকানা স্বল্পতার আশঙ্কা দূর হলো।Suvro

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন