রবিবার, ১ জুলাই, ২০১২

মোবাইল ফোন শুধু ‘কথা’র নয় কাজেরও!

মোবাইল ফোনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ কী? নিশ্চয় কথা বলার যন্ত্র হিসেবে কথা বলাটাই মূল কাজ হওয়া উচিত। কিছুদিন আগে পর্যন্ত এটাই মুঠোফোনের মূল কাজ ছিল। তবে এখন আর কেবল কথা বলার চৌহদ্দিতেই মোবাইল ফোন সীমাবদ্ধ নেই। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, যত ধরনের কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহূত হয়, ‘কথা বলার যন্ত্র’ হিসেবে মোবাইল ফোনের ব্যবহার তার মধ্যে পঞ্চম। এক খবরে ডেইলি মেইল এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘ওটু’ প্রায় দুই হাজার স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে জরিপ চালিয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, মোবাইল ফোন এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয় ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে। এরপর ফেসবুক, গেম ও গান শোনার জন্য। এই চারটির পরের অবস্থানে রয়েছে কথা বলার বিষয়টি।
যুক্তরাজ্যে চালানো এ জরিপে দেখা গেছে, ব্যবহারকারীরা দিনের মধ্যে গড়ে ১২ মিনিট মোবাইল ফোনে কথা কথা বলেন । তুলনামূলকভাবে গড়ে দুই ঘণ্টা ব্যয় করেন অন্যান্য কাজে।
মোবাইল ফোন ব্যবহার করে মেসেজ বা বার্তা পাঠানোর বিষয়টি একসময় জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু বার্তা পাঠানোর মাত্রা এখন অনেক কমেছে। খুদে বার্তায় এখন দিনের মধ্যে সময়ের হিসাবে মাত্র ১০ মিনিট ব্যয় করেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা। দিনের সবচেয়ে বেশি সময়, ২৫ মিনিট ব্যয়িত হয় ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে আর ১৭ মিনিট ব্যয় করা হয় ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের পেছনে।
জরিপের ফল জানাচ্ছে, স্মার্টফোনের ব্যবহার অ্যালার্ম ঘড়ি, হাতঘড়ি, ক্যামেরা, ডায়েরি, টেলিভিশন ও ল্যাপটপের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে। ৫৪ শতাংশ অ্যালার্ম ঘড়ির ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে মোবাইল ফোন। ৪৬ শতাংশ হাতঘড়ি ও ৩৯ শতাংশ ক্যামেরার ব্যবহার কমিয়েছে স্মার্টফোন।
ওটুর সাধারণ ব্যবস্থাপক ডেভিড জনসন এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বর্তমানে স্মার্টফোন হচ্ছে ‘সুইস নাইফ’-এর মতো, যার বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। মোবাইল ফোনের ব্যবহার এখন আর কেবল কথা বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। মানুষ এখন বিভিন্ন বস্তুর বিকল্প হিসেবে স্মার্টফোন ব্যবহার করছে।

শর্মিলার বিয়ের পোশাকেই কনে সাজবেন কারিনা!

কারিনা কাপুর-সাইফ আলী খানের বহুল আলোচিত বিয়ের দিনক্ষণ থেকে অনুষ্ঠানের যাবতীয় বিষয়-আশয় নিয়ে সব জল্পনা-কল্পনার শেষ হতে চলেছে। এর আগে বিয়ের দিনক্ষণ জানা গেলেও বিয়ের পোশাকটি কী হবে, কোন ডিজাইনারই বা তা বানাচ্ছেন-এসব নিয়ে বিভিন্ন গল্প ডানা মেলছিল। অবশেষে জানা গেছে, শর্মিলা ঠাকুরের বিয়ের পোশাকেই বউ সাজবেন কারিনা কাপুর।
বলিউডপাড়ায় বছরের সবচেয়ে আলোচিত বিয়ের আসর বসতে যাচ্ছে ১৬ অক্টোবর। এদিন গাঁটছড়া- বাঁধবেন বহুল আলোচিত তারকাজুটি সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর। বিয়ের প্রস্তুতি, বর-কনের পোশাকের বর্ণনাসহ তঁাদের বিয়ের খঁুটিনাটি জানার জন্য সবার ব্যাপক আগ্রহ আর সেই আগ্রহের রসদ জোগাতে সদা তত্পর মিডিয়াপাড়া।
পঁাচ বছর আগে সাইফের সঙ্গে প্রেম করা শুরু করেছিলেন কারিনা। এ সময়ে বেশ কয়েকবারই তঁাদের বিয়ের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। অবশেষে সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে বিয়ে করতে যাচ্ছেন তঁারা। এখন বিয়ের বাজার নিয়ে লন্ডনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিনা।
সবাই ধরে নিয়েছিলেন, পছন্দের ডিজাইনার মণীষ মালহোত্রার নকশা করা পোশাকে বিয়ের আসরে দেখা যাবে কারিনাকে। কিন্তু সবার ধারণা ভুল প্রমাণ করে শর্মিলা ঠাকুরের বিয়ের পোশাক `সারারা' পরার সিদ্ধান্ত` নিয়েছেন বলিউডের কাপুর খানদানের কনিষ্ঠ এ সদস্য।
৪৩ বছর আগে এই `সারারা' পরেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। পুরোনো এই পোশাকে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে এতে কিছুটা পরিবর্তন আনবেন শর্মিলার পছন্দের ডিজাইনার ঋতু কুমার।

শ্বাস ছাড়া বাঁচা !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া ছাড়াই রোগীকে বাঁচিয়ে রাখার নতুন এক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। নতুন এ পদ্ধতিতে রোগীকে অক্সিজেন মাস্কের পরিবর্তে সরাসরি তার রক্তে অক্সিজেন ইনজেকশন দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেনের স্বাভাবিক প্রবাহ চালু রেখে হূিপণ্ড ও মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে আক্রান্ত সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিত্সা সম্ভব। এক খবরে হাফিংটন পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন চিলড্রেন হাসপাতালের চিকিত্সকেরা ছোট আকারের এই অক্সিজেন ইনজেকশন তৈরি করেছেন। গবেষকেদের দাবি, এ ইনজেকশনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরাসরি রক্তে মিশে যায়। ফলে রোগী শ্বাস নিতে না পারলেও তার রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ চলতে থাকে। রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি থাকলেও এ ইনজেকশন দেওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
সায়েন্স ট্রান্সসেশনাল মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে গবেষক জন খেয়ার জানিয়েছেন, এই ইনজেকশনটি এরই মধ্যে প্রাণীদেহে প্রয়োগ করে সফল হয়েছেন তাঁরা। ১৫ মিনিট পর্যন্ত শ্বাস নিতে না পারলেও প্রাণীরা এই ইনজেকশনের সাহায্যে বেঁচে ছিল।
গবেষকেরা আরও জানিয়েছেন, ১৯৯০ সালের দিকে রক্তে সরাসরি অক্সিজেন দেওয়ার এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে রক্তে গ্যাসের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে এই পদ্ধতি বাতিল করা হয়। তবে বর্তমানে গবেষকদের দাবি, আগের সমস্যা কাটিয়ে এই ইনজেকশন এখন মানুষের জীবন বাঁচাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

শোকার্ত রানি ভিক্টোরিয়ার পোশাক বিক্রি

স্বামী প্রিন্স আলবার্টের মৃত্যুর পর শোকাহত রানি ভিক্টোরিয়ার পরিহিত কালো রঙের একটি পোশাক নিলামে বিক্রি হয়েছে। গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের একজন সংগ্রাহকের কাছে ছয় হাজার পাউন্ডেরও বেশি দামে এটি বিক্রি হয়। বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিলামকারী প্রতিষ্ঠান হ্যানসন্স যুক্তরাজ্যের ডার্বিশায়ারে গতকাল রানি ভিক্টোরিয়ার ওই পোশাকটি নিলামে তোলে। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭০-এর দশকে নিলামের জন্য পোশাকটি কিনেছিল।
হ্যানসন্সের ব্যবস্থাপক চার্লস হ্যানসন্স জানান, রানি ভিক্টোরিয়ার এ পোশাকটি ১৮৮০ সালেরও আগের। কালো রঙের ওই স্কার্টটির কোমর ৪৩ ইঞ্চি। সিল্কের দুটি ঢিলেঢালা আস্তর ও একটি সেমিজের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এর ভেতরের অংশ।
চার্লস হ্যানসন্স আরও বলেন, এটা সত্যিই খুব দুর্লভ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাজকীয় এই পোশাকটি পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, প্রিন্স আলবার্ট ১৮৬১ সালে টাইফয়েডে মারা যান। এর পর ৩০ বছরের বেশি সময় স্বামীর বিরহে শোকার্ত সময় কাটিয়েছেন রানি ভিক্টোরিয়া।