শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৩

বের করুন কোন ইমেল এড্রেসের পিছনের ব্যাক্তিকে

বের করেন কোন ইমেল এড্রেসের পিছনের লোক কে!
যারা ইমেলে নিয়মিত হুমকি টুমকি পান তাদের কাজে লাগবে।

১। প্রথমে সোজা হিশাব ইমেল এড্রেস কপি করে সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে খোঁজ দ্য সার্চ চালান।
২। ফেসবুকে সার্চ দিন।
৩।ফেসবুকে প্রোফাইল পেলে প্রোফাইল পিকচার ডাউনলোড করে গুগল ইমেজ সার্চ দিন।

৪। ইমেলের হেডার খুলে(জিমেলে রিপ্লাইয়ের পাশে শো অরিজিনাল, ইয়াহু তে ভিউ ফুল হেডার, আর আউটলোকে ভিউ মেসেজ সার্চ) Received: from খোঁজে(Cltr+F) বের করুন। এর পাশে পাবেন সেন্ডারের আইপি এড্রেস। এখন আইপি আড্রেস দিয়ে (http://www.yougetsignal.com/tools/visual-tracert/) লোকেশন খোঁজ করুন।

৫। ইমেল এড্রেসের ইউজার নেম(xample@এক্স এক্স.কম হলে xample টা ইউজার নেম) দিয়ে এখানে(http://knowem.com/) খোঁজ করুন।
৬। সবশেষে সোজা ইমেল এড্রেস দিয়ে এখানে(https://pipl.com/) এবং এখানে(http://www.spokeo.com/email-search) খোঁজ চালান।
এবং পেয়ে যান কে ইমেলের পিছে এবং কই থিকা হুমকি দিচ্ছে। আরো অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য পেয়ে যেতে পারেন।

জেনে নিন সূর্যের রহস্য

সূর্য ছায়াপথ নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থিত একটি তারা। সূর্য ও তার মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্রে আবদ্ধ গ্রহ ও গ্রহাণুদের নিয়ে গঠিত সৌরজগত, যার তৃতীয় গ্রহ পৃথিবীতে আমরা মানুষরা ও অন্যান্য জীবজন্তুরা বাস করি।
সূর্য নিজে ধীরে ধীরে ছায়াপথের কেন্দ্রে চারিদিকে প্রদক্ষিণ করে। আবার সূর্যকে কেন্দ্র করে সৌরজগতের সকল গ্রহ এবং অন্যান্য বস্তু তথা গ্রহাণু, উল্কাণু, ধূমকেতু বা ধূলিকণা সদা সূর্যের চারিদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান। সৌরজগতের শতকরা ৯৯ ভাগ ভরই সূর্য ধারণ করে। পৃথিবীর জীবমণ্ডলে সূর্যের আলোর শক্তি আহরণ করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া চলে যা পৃথিবীর প্রাণশীল সকল বস্তুর জন্য শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। পৃথিবীর আবহাওয়া এবং জলবায়ু সূর্য দ্বারা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হয়।

আয়তন

তেরো লক্ষ পৃথিবীকে একসঙ্গে যোগ করলে তা আকারে সূর্যের সমান হবে। সংখ্যায় তা ১.৪১×১০২৭ মি³।

সূর্যের ব্যাস

৮ লক্ষ ৬৬ হাজার চারশত মাইল। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ৯ কোটি ৩০ লক্ষ মাইল।

সূর্যের ভর

৬ এর পরে ২৮ টি শূন্য বসালে যত হয়, সূর্যের ভর তত মণ। অর্থাৎ ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৯৪৬ টি পৃথিবীর ভরের সমান।

সূর্যের রশ্মি

সাদা (খালি চোখে)  অথচ সাদা রং -এর মধ্যে লুকানো রয়েছে সাতটি রং। এগুলো হলো বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল। রঙধনুতে এই সাতটি রং পাশাপাশি দেখা যায় প্রিজম -এর মধ্য দিয়ে পরিচালনা করলে। এই সাতটি ছাড়াও আলোতে মেশানো রয়েছে নানা রঙের অদৃশ্য আলোক রশ্মি, যার অস্তিত্ব বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পাওয়া যায়।
sunlayers.gif

সূর্যের উত্তাপ

সূর্য হচ্ছে একটি জলন্ত গ্যাসের কুণ্ড, যার বাইরের উত্তাপ হলো ৬ হাজার সেন্টিগ্রেড আর ভিতরের উত্তাপ হবে প্রায় ৩ থেকে ৬ কোটি সেন্টিগ্রেড। প্রতি সেকেন্ডে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ মণ গ্যাস পোড়ালে এই উত্তাপ পাওয়া সম্ভব

আলোক মণ্ডলীয় গঠন (ভর অনুসারে)

হাইড্রোজেন৭৩.৪৬ %
হিলিয়াম২৪.৮৫ %
অক্সিজেন০.৭৭ %
কার্বন০.২৯%
লোহা০.১৬ %
নিয়ন০.১২ %
নাইট্রোজেন০.০৯ %
সিলিকন০.০৭ %
ম্যাগনেসিয়াম০.০৫ %
সালফার০.০২
সূর্য একটি তৃতীয় প্রজন্মের তারা, কাছাকাছি কোন একটি অতি নব তারা থেকে উদ্ভূত অভিঘাত তরঙ্গ এর উৎপত্তিতে একটি চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছিল। পুরো সৌর জগতে স্বর্ণ বা ইউরেনিয়ামের মত ভারী মৌলসমূহের প্রাচুর্য লক্ষ্য করে চালিকাশক্তি হিসেবে এই ঘটনাটি প্রস্তাব করা হয়েছে। খুব সম্ভবত একটি অতি নব তারার বিবর্তনের সময় ক্রিয়াশীল endergonic কেন্দ্রীক বিক্রিয়া অথবা দ্বিতীয় প্রজন্মের একটি বৃহৎ তারার অভ্যন্তরে নিউট্রন শোষণের ফলে উদ্ভূত ট্রান্সম্যুটেশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে এই মৌলসমূহ সৃষ্টি হয়েছে।

পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ: এক ভয়ংকর সত্য

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিল পুরো বিশ্ববাসী যার নাম ছিল পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ। এ মহৎ কার্যটি সাধন করেছিল আমেরিকা তাদের পারমাণবিক শক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে এবং পরীক্ষাস্থলটি ছিল জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি নামক দুটি শহরে। ঘটনাটি ঘটেছিল 1945 এর 6ই আগষ্ট।
টানা ছয় মাস জাপানের অন্যান্য 67টি শহরে বোমা বিস্ফোরণের পর পারমাণবিক বোমা"লিটল বয়"তার আশ্রয় খুজে পায় নিজেকে প্রমাণ করার জন্য। সময়টি ছিল সোমবার 6ই আগষ্ট,1945। এ ঘটনার ঠিক 3 দিন পর আরো একটি পারমাণবিক বোমা"ফ্যাট ম্যান"আছড়ে পড়ে নাগাসাকিতে। এ দুটি দিনই আমরা আমাদের মানবিকতার সবচেয়ে বড় উদাহরণটি বিশ্ববাসীর নিকট জানিয়ে দেই।
এ বোমা বিস্ফোরণে কত লোক মারা গিয়েছিল? সংখ্যাটি জানা খুব আশ্চর্যজনক হবে।হিরোসিমাতে মারা গিয়েছিল 1,40,000 জন এবং নাগাসাকিতে 80,000 জন। তবে মানুষগুলো মারা যাওয়ার আগে বিশ্ববাসীর বিবেক মারা গিয়েছিল যার কোন সংখ্যা জানাতে পারলামনা বলে দুঃখিত।
nagasaki-2.jpg
পরবর্তিতে মৃত মানুষের সংখ্যা আরো বেড়ে গিয়েছিল পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট ক্ষতিকারক রেডিয়েশন এবং ইনজুরির কারণে যার সংখ্যা মনে রাখার প্রয়োজন মনে করেনি ইতিহাস। দুঃখের কথা হচ্ছে এ বিস্ফোরণে নিহত মানুষগুলোর বেশিরভাগই ছিল সাধারণ মানুষ।হায়রে মানবিকতা। এ বিস্ফোরণের ছয় দিন পর 15ই আগষ্ট
জাপান আত্নসমর্পণ করে নেয়।
এবার জানা যাক কি ছিল সেই বোমাটিতে। পুরো প্রজেক্ট টির নাম ছিল ম্যানহ্যাটেন প্রজেক্ট। এবং এ মহান আবিস্কারটি পরিচালিত হচ্ছিল যার দ্বারা তিনি হলেন আমেরিকান পদার্থবিদ j.robert oppenheimer.পারমাণবিক বোমা"লিটল বয়" তৈরী হয়েছিল ইউরেনিয়াম-235 এর আইসোটোপ দিয়ে এবং "ফ্যাটম্যান" তৈরী হয়েছিল প্লুটোনিয়াম-239 দিয়ে।
এ বোমা বিস্ফোরণ কিন্তু নিছক হঠাৎ করে করা হয়নি। অনেক পরিকল্পনা এক্ষেত্রে ছিল। হিরোশিমা এবং নাগাসাকি এ দুটি শহরকেই তারা বেছে নিয়েছিল কারণ এর চারপাশ ছিল পাহাড় ঘেরা এবং এর পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছিল একটি নদী। তারা ভেবেছিল এ পাহাড়গুলো তাদের জন্য focusing effect হিসেবে কাজ করবে এবং ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিবে।মানব চিন্তাবিদদের এমন সূ্ক্ষ পরিকল্পনাকে সাধুবাদ না জানিয়ে পারলাম না।
এবার জানা যাক সেই সময়কার কথা। 6ই আগষ্ট,1945। পারমাণবিক বোমা বহনকারী বীরবেশে এগিয়ে আসছে হিরোশিমার দিকে। যুদ্ধবিমানটির পরিচালনায় ছিলেন ক্যাপ্টেন William persons and his assistant Morris jeppson.এ দুজন ছিলেন ইতিহাসের সেই ঘটনার সাক্ষী যা এ পৃথিবীকে তারা উপহার দিতে যাচ্ছিলেন। হিরোশিমা সময় সকাল 8টা 15 মিনিটে ইতিহাসের সূচনা ঘটে। এ বোমাটির ওজন ছিল 60 কেজি,এটি সময় নেয় 57 সেকেন্ড তার নিজস্ব গন্তব্যে পৌছাতে এবং অতিক্রম করে 600 মিটার দূরত্ব। এ বিস্ফোরণটে ছিল 13 কিলোটন tnt এর সমান এবং সে সময় তাপমাএা হয়েছিল 3900 degree celcious.এ বিস্ফোরণের পর 1 মাইল ব্যাসার্ধের এলাকা জুড়ে ধ্বংসলীলা শুরু হয় এবং হিরোশিমার প্রায় 90 ভাগ বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। ঠিক এক ঘন্টা আগে জাপানের রাডারে ধরা পড়েছিল দুটি যুদ্ধবিমান জাপানের দক্ষিণ দিক দিয়ে প্রবেশ করছে।তারা রাডারে যে বিমানগুলো দেখেছিল তা ছিল ছোট এবং সংখ্যায় 3টি। এ কারনে তারা বিষয়টিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়নি যা ছিল সবচেয়ে বড় ভুল।
nagasaki-3.jpg
এদিকে টোকিওতে জাপান সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ জানতে পারে হিরোশিমা থেকে সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।কিছুক্ষণ পর তারা জানতে পারে উওর হিরোশিমার প্রধান যোগাযোগ কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে আছে। তারা সাথেসাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে হিরোশিমার হেড কোয়ার্টারে। কিন্তু সেখানকার অসীম নিস্তব্ধতা তাদেরকে হতবাক করে দেয়। তৎক্ষণাৎ একজন যুবক অফিসার হিরোশিমার উদ্দেশ্যে তাদের বিমান বাহিনী রওনা হতে বলেন এবং যথাসমম্ভব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নিতে বলেন। তাদের উডডয়নের তিন ঘন্টা পর তারা পৌছে হিরোশিমা থেকে 100 মাইল দূরবর্তী এলাকায় এবং এত দূর থেকে তারা দেখতে পায় সাদা ধোয়ার এক বিশাল কুন্ডলী। তারা হিরোশিমা পৌছানোর পর হতবাক হয়ে যায় সেখানকার পরিস্থিতি দেখে। রৌদ্রজ্জল হিরোশিমার নিস্তব্ধ মানুষগুলোর দেহাবশেষ নিয়ে ফাকা হিরোশিমা জ্বলছে আর চিৎকার করে কাদছে।
nagasaki-1.jpg
এবার জানা যাক ধ্বংসলীলা সম্পর্কে। এ বিস্ফোরণে সাথেসাথে মারা যায় 70,000 মানুষ। 1945 সালের শেষ দিকে এ সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় 1,40,000 জন এ। 1950 সাল নাগাদ এ সংখ্যা আরো বেড়ে দাড়ায় 2,00,000 জন এ যাদের মাঝে ছিল ক্যানসার ও দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণে।
বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বিশাল ছিল যে বিস্ফোণ সংঘটনের প্রায় 10 মাইল দূরের মানুষদেরও শরীরের চামড়া খসে পড়ছিল। এ থেকে ধরে নেওয়া যায় বিস্ফোরণস্থলের মানুষ গুলোর কথা। তার কিছুদিন পরই নাগাসাকি এলাকার মানুষগুলোর ভাগ্যে ঘটে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবং মানবতা বোধের সম্পূর্ণতা ঘটে।
nagasaki-4.jpg
এ লেখার উদ্দেশ্যে হল আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানানো, আমরা যে সভ্যতার উপর ভিত করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করছি প্রযুক্তির ভুল ব্যবহারের কারণে দিতে হয়েছে অনেক গুলো প্রাণের আত্মহুতি। নিজের ইতিহাসকে আমরা যেন ভুলে না যাই। আমরা নিজেদের আত্মঅহংকার বোধের কারণে এমন কিছু ভুল করেছি এবং করে চলেছি যার মাশুল হয়তো গুনতে হবে আমাদের প্রজন্মকে যেমনটি গুনছে হিরোশিমা-নাগাসাকির মানুষগুলো। পার্থক্য হবে আমরা ভুল করে মাশুল গুনব আর তারা ভুল না করেই এখনও মাশুল গুনছে।

২৯৫০০ কোটি গিগাবাইট তথ্য সংরক্ষিত!

চলছে তথ্যের বিপ্লব। সেই বিপ্লবের বর হচ্ছে ডিজিটাল যুগে মানবসভ্যতার পদার্পণ। এ পর্যন্ত কত তথ্য সংরক্ষিত হয়েছে? একজন মানুষ কী পরিমাণ তথ্য তার স্মৃতিতে ধারণ করতে পারে? এ নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরা ২০ বছরেরও বেশি গবেষণা করে এর একটা হিসাব দাঁড় করিয়েছেন। কম্পিউটার হার্ডডিস্ক থেকে সেকেলে ফ্লপি ডিস্ক, এক্স-রে থেকে মাইক্রোচিপ, সংবাদপত্র থেকে বই—সব মিলিয়ে ১৯৮৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত মোট ২৯৫ এক্সাবাইট তথ্য ধারণ করা হয়েছে। এক্সাবাইট কী? ১০০ কোটি গিগাবাইটে হয় এক এক্সাবাইট। তাহলে ২৯৫ এক্সাবাইট অর্থ? চীনের মোট আয়তনের যে ক্ষেত্রফল, সেটাকে একটি বই কল্পনা করলে এ রকম ১৩টি বই একটির ওপর আরেকটি সাজালে যা হবে, ২৯৫ এক্সাবাইট মানে ঠিক তা-ই; অথবা তথ্যগুলোকে সিডিতে নিলে ডিস্কের যে পাহাড় হবে তার উচ্চতা পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বকেও হার মানাবে! আর যে পরিমাণ তথ্য আদান-প্রদান হয়েছে তার পরিমাণ স্বভাবতই আরও অনেক বেশি। গবেষকদের হিসাব বলছে, এটা দুই জেটাবাইটের সমতুল্য। এক জেটাবাইট মানে এক হাজার এক্সাবাইট। সহজ করে বলতে গেলে হিসাবটা হলো, বিশ্বের সব মানুষকে প্রতিদিন ১৭৫টি করে সংবাদপত্র দিলে যা হয় তার সমান।
এই গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০০ সালে সংরক্ষিত তথ্যের ৭৫ শতাংশই ছিল অ্যানালগ আকারে (বই-পত্রিকায়)। কিন্তু ২০০৭ সালের শেষে দেখা গেল, ৯৪ ভাগ তথ্যই ডিজিটালরূপে সংরক্ষিত হয়েছে। তার মানে ডিজিটাল যুগে মানুষের উন্নতি হওয়ার গতি গত দুই দশকে ফি বছর ৫৮ ভাগ করে বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর যে তথ্যটি বিজ্ঞানীরা বলছেন তা হলো, গত ২০ বছরে বিশ্বে যে পরিমাণ তথ্য ধারণ করা হয়েছে, একজন মানুষের ডিএনএ (বংশগতির ধারক ও বাহক) তার চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে!
সূত্রঃ প্রথম আলো

পাল্টেনিন মজিলা ফায়ারফক্সের চেহারা কোন থিম ছাড়াই

আমরা অনেকেই নিজেদের ব্রাউজারের থিম চেঞ্জ করে নেই একঘেয়েমি কাটানোর জন্য। একটা লুক সবসময় ভালো লাগেনা এটাই স্বাভাবিক। এই চেহারা পাল্টাতে যেয়েই আমরা নানা ধরণের থিম ব্যবহার করে থাকি। তাই আজকে আমরা শেখবো থিম না ব্যবহার করেই ফায়ারফক্সের চেহেরা কিভাবে পাল্টানো যায় :) ।
mozilla_firefox_ipad_wallpaper
কাজটি আমরা করবো এড-অন এর মাধ্যমে। আমরা  Stratiform 3.0.1 এড-অন টি  ফায়ারফক্সে অ্যাড করে নেই।
Image 1
https://addons.mozilla.org/en-us/firefox/addon/stratiform/
অ্যাড হবার পর ইন্সটল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট দিন।
Stratiform-initial-settings
ফায়ারফক্স রিস্টার্ট হয়ে গেলে আপনি আপনার হোমপেজে সেটিং দেখতে পাবেন। যদি না দেখতে পান তবে এখানে চলে যান about:stratiform ।
Stratiform-browser-settings
ডানপাশের অপশনগুলো থেকে সেটিং এর মাঝে ক্লিক করলেই এই উইন্ডো টি দেখতে পাবেন। আপনি এখান থেকে টুলসবার, ট্যাব, অ্যাপ্লিকেশন বাটন চেঞ্জ করে নিতে পারবেন।
প্রিসেটঃ
Stratiform-presets2
এটি একটি দুর্দান্ত অপশন। আপনি এটি দ্বারা রং, টুলবারের আকার, স্বচ্ছতা সব পরিবর্তন করতে সক্ষম। আপনি আপনার পছন্দমতো চেহারা এখান থেকেই তৈরি করে নেইতে পারবেন।
স্টাইলঃ 
Stratiform-styles2
আপনি ফায়ারফক্সকে আরো পরিবর্তন করতে চাইলে এখানথেকে সুবিধা নিতে পারবেন।
রঙের খেলাঃ 
Stratiform-colors2
আমরা সবচে পছন্দ হয়েছে এই অপশনটি। এতো বছরের এই ঘেয়েমি রং আমি কিছু সময়ের মধ্যেই এখান থেকে পাল্টে দিতে পেরেছি :D
অবশেষেঃ 
Image 2
এটি হচ্ছে আপনার আমার সকলের ফায়ারফক্সের সাধারণ চেহারা :( ।
Image 3
আর কাজশেষে আপনার ফায়ারফক্স হয়ে উঠবে নতুন দিনের রঙে রাঙ্গিত ;)

আপনার MP3 গানে লাগিয়ে নিন Lyrics মাত্র ৫ মিনিটে।

প্রথমে আপনি এইখান থেকে এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন। এরপর সফটওয়্যারটি সাধারনভাবে ইন্সটল করুন।
সফটওয়্যারটি ইন্সটল হলে এখন যে গানের সাথে লিরিক্স যোগ করতে চান, সেই গানটি প্লে করুন। খেয়াল করুন পাশে এই Sylteditor ওপেন হয়েছে।
গানটিতে লিরিক্স থাকলে Sylteditor সেটা প্লে করবে।

যদি না থাকে তাহলে চিত্রের মত লিরিক্স মেনু থেকে সার্চ লিরিক্স এ যান

এরপর গান এর নাম এবং আর্টিস্ট এর নাম দিয়ে সার্চ করুন। কিছুক্ষন এর মধ্য লিরিক্স এর লিস্ট আপনার সামনে আসবে। সেখান থেকে একটি লিরিক্স সিলেক্ট করুন।

এবার খেয়াল করুন Sylteditor লিরিক্স টি প্লে করছে। গানের কথার সাথে লিরিক্স ঠিক থাকলে লিরিক্স অপশন থেকে Save Lyrics AS এ যান। এরপর লিরিক্স টি আপনার পছন্দ অনুযায়ী সেভ করুন।

এবার স্টার্ট মেনু থেকে Sylteditor ওপেন করুন। সেখান থেকে File-open এ গিয়ে আপনার সেই গানটা ওপেন করুন। এরপর  File-Import SYLT from LRC তে ক্লিক করুন।তারপর আপনার পূর্বের সেই সেভ করা লিরিক্স টা ওপেন করুন।


এরপর আপনি File-Save as থেকে যে কোন স্থানে যে কোন নামে সেভ করুন। এরপর আপনার ফোনে Import করে গানটি প্লে করুন দেখুন আপনার গানটি লিরিক্স শো করছে।

ফেসবুক সৃষ্টির ইতিহাস ও অনেক অজানা তথ্য

ফেসবুক ডট কম। কে না চিনে? যে ফেসবুক চিনে না সে কোনদিন এই লেখা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেনা বলে আমার ধারনা।
যাই হোক, ফেসবুক হলো সোশিয়াল নেটওয়ার্ক জায়ান্ট। নয় গুগল পেজ র‍্যাঙ্ক নিয়ে এলেক্সা ডট কমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের ২য় বৃহত্তম সাইট। মাঝ খান দিয়ে একবার অনেক দিন বিশ্বের এক নাম্বার সাইট ছিলো।
ফেসবুক প্রথম পাতাফেসবুক প্রথম পাতা
ফেবুকের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। তবে আজকে একটু গভীরভাবে জানবো।
১৯৮৪ সালে নিউ ইয়র্কে জন্ম নেওয়া কম্পিউটার প্রোগ্রামার মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। ২০০৪ হলো ফেবুকের প্রতিষ্ঠা সাল। আমরা তার একটু আগে ফিরে যাবো।
মার্ক জুকারবার্গ ও ফেসবুক মার্ক জুকারবার্গ ও ফেসবুক
২০০৩ সালের ২৮ অক্টোবর মার্ক এলিয়ট জুকারবার্গ ফেসম্যাশ ডট কম নামে একটি সাইট প্রতিষ্ঠা করে। এই ফেসম্যাশ সাইটের কাজ খুব একটা ভালো কিছু ছিলোনা। এই সাইটে দুইটা ছবি পাশাপাশি রাখা হত। এই দুই ছবি থেকে ভিজিটররা কে “হট” আর কে “হট না/নট” তা তুলনা করতো।
এই রকমঃ
FaceMash-mark-zuckerberg
মার্ক জুকারবার্গ খুব ভালো কম্পিউটার প্রোগ্রামার স্কুল থেকেই ছিলেন, মানে আছেন এখনো। পরে তিনি হার্ভার্ড কলেজে ভর্তি হন। ফেসম্যাশ সেই সময়কার কথা। হার্ভার্ড কলেজের ডাটাবেজ হ্যাক করে স্টুডেন্টদের ছবি নিয়ে তা ফেসম্যাশে ব্যবহার করে ভিজিটরদের “হট” অথবা “নট” বের করার সুযোগ দেন।
পরে কলেজের স্টুডেন্টরা এই সাইট বন্ধ করতে তাকে বাধ্য করে। এ ব্যপারে মার্ক জুকারবার্গ বলেছিলো;
“ একটা ব্যপার পরিষ্কার এই সাইট বানানোর জন্য আমি একটা জার্ক! যাই হোক, কেউ না কেউ এটা এমনেই করতো। ”
হাউজসিস্টেম নামে হার্ভার্ড কলেজে একটা ওয়েব সার্ভিস ছিলো। এরপর ঐ বছরই  “দি ফেসবুক” কনসেপ্ট আসে এই হাউজ সিস্টেমের একটা নতুন ফিচার হিসেবে। ২০০৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর এরন গ্রীন্সপ্যান নামে এক স্টুডেন্ট আনেন এটি।
জুকারবার্গ পরে হার্ভার্ড কানেকশন নামে একটা সাইটে তার কিছু বন্ধুর ( ক্যামেরুন, টেলর,ডিভিয়া ) জন্য কাজ করা শুরু করেন।
মার্ক জুকারবার্গ  ২০০৪ সালের ১১ই জানুয়ারী দিফেসবুক ডট কম ডোমেইন কিনে নেন।  দি ফেসবুক ডট কমের চেহারা অনেকটা এরকমঃ
এই সেই... দি ফেসবুক এই সেই... দি ফেসবুক
দি ফেসবুক ডট কম চালুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে জুকারবার্গ ১২০০ জন স্টুডেন্ট এর রেজিস্ট্রেশন দেখতে পান। এখানে তার সাথে কাজ করেন তার রুমমেট এডুয়ারড সারভেরিন,আন্ড্রো ম্যাক্কোলাম, ডাস্টিন মস্কভিটয।  মূলত হার্ভার্ড কানেশন ডট কমে কাজ করার সময়কার ফিচার এই দি ফেসবুক ডট কম। তাই জুকারবার্গ এর সেই বন্ধুরা ( ক্যামেরুন, টেলর,ডিভিয়া ) ছয় দিনের মাথায় তার বিরুদ্ধে আইডিয়া চুরির অভিযোগ আনে।
কিন্তু সে দিকে দেখে কে! ফেসবুকের ইউজার সংখ্যা খুব দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে। ২ মাসের মাথায় হার্ভার্ড ছড়াও আরো বেশ কিছু কলেজে দি ফেসবুক পরিচিতি পায়।  জুন মাসের মধ্যে সাইটে প্রায় দেড় লাখ ( ১৫০,০০০ ) ইউজার প্রোফাইল খুলেছিলো। দি ফেসবুকের সম্ভাবনা দেখে ওই মাসেই পেপাল এর ফাউন্ডার ফেসবুকের ১০ দশমিক ২ পারসেন্ট এর শেয়ার কিনে নেয় পাঁচ লাখ ইউ এস ডলারে।
কিন্তু সেপ্টেম্বার মাসে এসে জেগে উঠে সেই পুরনো সমস্যা। ক্যামেরুন, টেলর ও ডিভিয়া মামলা করে বসে দি ফেসবুকের নামে।  যদিও সেই বছর ডিসেম্বারেই ১ মিলিয়ন ইউজার হয়ে যায় ফেসবুকে।
২০০৫ এর মে মাসে এক্সেল পারটনারস ১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে দি ফেসবুক ডট কমে।
২০০৫ সালের অগাস্ট মাসে দি ফেসবুক ডট কম কিনে নেয় ফেসবুক ডটকম ডোমেইনটি। তবে সহজে নয়, এতে তাদের গুনতে হয়েছে দুই লাখ মার্কিন ডলার।
২০০৬ সালে দেখা যায় গতবছর অর্থাৎ ২০০৫ সালে ফেসবুক সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলারের উপরে লস করে। এরপর ২০০৬ এর সেপ্টেম্বারে ১৩ বছর বয়সের উপরে সবার জন্য ফেসবুক ওপেন করে দেওয়া হয়।
২০০৭ সালে ফেসবুকে আরো বিশাল অঙ্কের দুটি ইনভেস্টমেন্ট দেখা যায়। হং কং এর এক লোক ষাট মিলিয়ন ডলার ও মাইক্রোসফট ২৪০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ফেসবুকের এক দশমিক ছয় পারসেন্ট কিনে নেয়।
২০০৮ এ এসে ফেসবুক আইনগত সমস্যাগুলো সমাধান করে এবং প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানীতে রুপ নেয়। ২০০৯ এসে দেখা যায় মাই স্পেস ডট কমকে পেছনে ফেলে দিয়েছে ফেসবুক, এবং তারা ফেসবুক থেকে আয় শুরু করেছে।
এরপর ফেসবুককে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১২ সালে দেখা যায় মার্ক জুকারবার্গ এর সম্পত্তির পরিমান প্রায় সাড়ে নয় বিলিয়ন ডলার। জুকারবার্গ নিজ যোগ্যতায় হওয়া পৃথিবীর দ্বিতীয় কনিষ্ঠ বিলিনিয়র।
২০১১ তে এসে ফেসবুকে ১০০ বিলিয়নের বেশি ছবি আপলোড করেছে ইউজাররা। এরপর ওই বছরই ফেসবুক ভিডিও কল এর জন্য স্কাইপ ও হিরুকুর সাথে চুক্তি করে ফেসবুক এর এপ্স অন্য প্ল্যাটফর্ম এ নিয়ে কাজ করানোর জন্য।  ২০১১ এর শেষ দিকে ফেসবুকে যোগ হয় টাইমলাইন ফিচার।
অক্টোবর ২০১২ তে ফেসবুকে ১ বিলিয়ন ইউজার রেজিস্ট্রেশন করে। এবং ২০১২ তেই মার্ক জুকারবার্গ বিয়ে করেন প্রিসিলা চ্যানকে। ২০১০ সালে টাইম ম্যাগাজিনের পারসোন অব দি ইয়ার হন ফেসবুকের জনক মার্ক জুকারবার্গ!
তারা দুই জন :D
তারা দুই জন :D

SpeedyFox– Boost Firefox Speed Up To 3 Times

আমরা সবাই firefox ব্রাউজারের কথা জানি...এটাও জানি firefox অনেক দ্রুতগতির ১টি ব্রাউজার...কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আপনার ব্রাউজারটি অনেক ধীরগতির হয়ে যায়...এটা মূলত profile databases এর খণ্ডনের কারনে হয়...এধরনের সমস্যা দূর করতে এসেছে একটি freeware টুল SpeedyFox...এটির কার্যপদ্ধতি ১০০% নিরাপদ...অর্থাৎ আপনার বুকমার্ক এবং পাসওয়ার্ডে কোন এফেক্ট করবেনা...আপনার firefox ব্রাউজারটি হয়ে যাবে অনেক দ্রুত গতির...


এক নজরে দেখে নিই SpeedyFox এর ফিচারগুলো
Features:
  • Boost Firefox startup in up to 3 times!
  • Speed-up browsing history
  • Quicker operation with cookies
Download SpeedyFox

সংগ্রহে রাখুন বাংলাদেশ এর সকল সরকারী ওয়েব সাইট এর ঠিকানা (সবার কাজে লাগবে)

আজ আপনাদের সাথে কিছু ওয়েব সাইট নিয়ে কথা বলব কারন এই ওয়েবসাইট গুলো যেকুন সময় যে কারো দরকার হতে পারে ।এখন  আপনাদের কাছে বাংলাদেশ এর সকল সরকারী ওয়েব সাইট এর লিংক শেয়ার করব। আমরা বিভিন্ন কাজে , বিভিন্ন কিছু করতে ,বিভিন্ন কাগজ পত্র এর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসা বা কাজ করার জন্য অনুমোদন প্রয়োজন, বিভিন্ন ইনফর্মেশন, ইত্যাদি কাজ করার জন্য এই ওয়েব সাইট মোটা মোটি সকল তথ্য দেওয়া আছে । না থাকলে এই ওয়েব সাইট এ তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বাবস্থা আছে ।আসলে সব  সময় নিজে কোন সমস্যার কারনে সরাসরি না যেতে পারলে এই পদ্ধতিটা আপনার কাজে লাগবে বলেই আমার মনে হয়।আপনারা লিঙ্কে গিয়ে সরাসরি যেতে পারবেন আপনার দরকারি ওয়েবসাইটে। তো চলুন দেখে নিই ওয়েবসাইট গুলো
http://www.bangladesh.gov.bd/
http://www.hrexport-baira.org/
http://www.bangladesh-bank.org/
http://www.banbeis.org/index-1.html
http://www.bangladesh.gov.bd/mos/bcsa/index.htm
http://www.bccbd.org/
http://www.epzbangladesh.org.bd/
http://www.bangladesh.gov.bd/mofl/fri/index.htm
http://www.bforest.gov.bd/
http://www.bfri.gov.bd/
http://www.bangladesh.gov.bd/
http://www.bdhajjinfo.org/
http://www.bangladesh.gov.bd/bjri/index.htm
http://www.bangladeshmuseum.org/
http://www.petrobangla.org/
http://www.boesl.org.bd/
http://www.parjatan.org/
http://www.bd-energysector-bpi.org/
http://www.bpatc.org/
http://www.bangladesh.gov.bd/bpscs/index.htm
http://www.railway.gov.bd/
http://www.brta.gov.bd/
http://www.brtc.gov.bd/
http://www.sparrso.ohttp:/
http://www.boibd.org/
Ministry of Food and Disaster Management
Ministry of Foreign Affairs
Ministry of Information
Ministry of Textiles and Jute
Ministry of Women and Children Affairs (MWCA)
National Board of Revenue (NBR)
National Data Bank
Parliament Secretariat
Power Development Board
President’s Office
Prime Minister’s Office
Free Online TV

সারা জীবন ফ্রী ব্যবহার করুন মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ বা ২০০৭ অথবা ২০০৩

মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ বা ২০০৭ অথবা ২০০৩ এর যে কোন এডিশন ব্যবহার করুন সারা জীবন ফ্রি। আমরা মোটামুটি সবাই মাইক্রোসফট অফিস ২০০৭ ও ২০০৩ লাইফটাইম ফ্রি ব্যবহারের পদ্ধতি আয়ত্ব করে ফেলেছি।আপনারা ভাবছেন ২০১০ থাকতে আবার ২০০৭ বা ২০০৩ এর দরকার কি? আসলে একটিভেটর পদ্ধতিটা একই। যার যা প্রয়োজন তিনি সেটা ব্যবহার করবেন। মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ ইনষ্টল নিয়ে টেকটিউনসে অনেক অনেক টিউন থাকার পর ও লিখতে বসলাম। কারণ আজ ২০.০৭.১১ ইং পর্যন্ত মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ ইনষ্টল নিয়ে টিউন করা কোন টিউন-ই ঠিক ভাবে কাজ করে না। তার সাথে আছে অনেক জটিল পদ্ধতির ইনষ্টলেশন টেকনিক।
আমি টেকটিউনস থেকে এমন অনেক একটিভেটর ব্যবহার করার চেষ্টা করে গতকাল পর্যন্ত সফল হই নাই। আমার টা ও সব পিসি বা অপারেটিং সিষ্টেমে সফল হবে তার কোন গ্যারান্টি নাই, তবে সফল হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। ২০১০, ২০০৭, ২০০৩ সব ভার্সনে ইনষ্টলেশন পদ্ধতি ও একটিভেটর একহওয়ায় আমি শুধু ২০১০ ইনষ্টল নিয়ে আলোচনা করবো। আসুন আমরা একটা মাত্র একটিভেটর ব্যবহার করে সফল হওয়ার চেষ্টা করি।
আপনার পিসি বা সিডি/ডিভিডি তে যদি অফিস ২০১০ থেকে থাকে তবে তা পিসিতে ইনষ্টল করুন।
  • না থাকলে মাইক্রোসফট ওয়েব সাইট এর এই লিংক  [মাইক্রোসফট অফিস] এ প্রবেশ করুন।
  • মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ এর যে কোন এডিশনের ট্রাই ইট ফ্রি তে ক্লিক করুন।
  • তারপর ট্রাই ফ্রি ফর ৬০ ডেজ এ ক্লিক করুন। ভাষা সিলেক্ট করুন। ট্রাই নাউ এ ক্লিক করুন।
  • আপনার হটমেইল বা লাইভ এর মেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করুন। হটমেইল বা লাইভ এর আইডি না থাকলে ক্রিয়েট করে প্রবেশ করুন।
  • মাইক্রোসফট অফিস অমুক এডিশন ট্রায়াল দেখাবে। সিরিয়াল নং পাবেন। সিরিয়াল নং কপি করে সংরক্ষণ করুন। যা ইনষ্টল এর সময় লাগবে।
  • ডাউনলোড নাউ এ ক্লিক করুন।
  • ডাউনলোড করা শেষ হলে ইনষ্টল করুন।
ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট এর যে কোনটা ওপেন করুন। ফাইল থেকে হেল্প এ ক্লিক করুন দ্বিতীয় কলামের উপরে মাইক্রোসফট অফিস লেখার নিচে আপনার অফিসটা ৬০ দিনের ট্রায়াল ভার্সন দেখবেন এবং টাস্ক প্যানেলেও দেখবেন মাইক্রোসট ওয়ার্ড বা অমুক ট্রায়াল।
  • এবার মিডিয়া ফায়ার এর এই লিংক [একটিভেটর ডাউনলোড লিংক] থেকে একটিভেটর টি ডাউনলোড করুন।
  • আপনার উইন্ডোজ যে ড্রাইভে ইনষ্টল করা সে ড্রাইভে প্রবেশ করুন।
  • ৬৪ বিট অপারেটিং সিষ্টেম ও অফিস ২০১০ সফটওয়্যার টি ৬৪ বিট এর হলে প্রোগ্রাম ফাইলস এ যান, অফিস ২০১০ সফটওয়্যার টি ৩২ বিট এর হলে প্রোগ্রাম ফাইলস (x86) এ যান। ৩২ বিট অপারেটিং সিষ্টেম ও অফিস ২০১০ সফটওয়্যার টি ৩২ বিট এর হলে প্রোগ্রাম ফাইলস এ যান।
  • মাইক্রোসফট অফিস এ যান ডাউনলোড করা একটিভেটর ফাইলটি এখানে পেষ্ট করুন।
  • একটিভেটর এর উপর দুই বার ক্লিক করুন। এক্সট্রাক্ট করুন।
  • দুইটি ফাইল পাবেন। এর মধ্যে অফিস ২০১০ টুলকিট এ দুই বার ক্লিক করুন। ইজেড-একটিভেটর এ ক্লিক করুন ও কিছু সময় অপেক্ষা করুন।
  • একটিভেটর সাকসেস লেখা আসবে, ক্লোজ করুন। ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট এর যে কোন একটি চালু করুন।
  • ফাইল থেকে হেল্প এ যান দ্বিতীয় কলামে মাইক্রোসফট অফিস এর নিচে লেখা আসবে প্রোডাক্ট এ্যাকটিভেটেড।
[ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ইনষ্টল করলে কোন রকম ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে]

ওয়ার্ড ২০০৭ হতে আপনার ব্লগ সাইটে সরাসরি পোস্ট করুন।

এ কাজটি করার জন্য অফিস বাটনে ক্লিক করে Publish হতে Blog এ ক্লিক করুন।এবার Manage Accounts এ ক্লিক করুন।

এবার New তে ক্লিক করুন। Bolg এর লিস্ট হতে wordpress সিলেক্ট করে Next বাটনে ক্লিক করুন। Blog post URL এর <enter your blog URL here> এই আংশে আপানার ব্লগ সাইট এর এড্রেস টাইপ করুন। যেমন: microqatar.wordpress.com । এবার আপনার সাইট একাউন্ট এর লগইন ইউজার নেইম এবং পারওয়ার্ড দিন। OK বাটনে ক্লিক করুন।

এবার আপনি যা লিখতে চান তা টাইপ করুন। টাইটেল অংশে টাইটেল টাইপ করুন। insert Category তে ক্লিক করে ক্যাটাগরী ফিল্ড সংযোগ করুন। যে ক্যাটাগরীতে পোস্ট করতে চান সেটি নির্ধারন করুন।
এবার Publish বাটনে ক্লিক করুন।

ব্যাকআপ রাখুন Firefox এর Add-on গুলোর

কিছু দিন পর পর আসে Firefox এর নতুন নতুন ভারসন।আবার কম্পিউটার নতুন করে সেটাপ দিলেই প্রয়োজন হয় নতুন করে ব্রাউজার সেটআপ দেবার।আর নতুন করে সেটআপ দিলেই হারিয়া যায় পুরনো Add-on গুলো।কিন্ত এখন আপনি আপনার Add-on গুলোর ব্যাকআপ রাখতে পারবেন আর ব্রাউজার সেটআপ এর পর পরি ইন্সটল করে নিতে পারবেন Add-on গুলো।
ব্যাকআপ রাখার জন্য আপনাকে প্রথমে FEBE (Firefox Environment Backup Extension) নামের এক্সটেন্সন টা ডাউনলোড করতে হবে।ডাউনলড করুন নিচের লিঙ্ক থেকে।
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/2109
Untitled
ডাউনলোড সেস হলে ব্রাউজার Restart করতে হবে।তারপর Tools মেনু থেকে FEBE অপশন এ যেতে হবে।FEBE option থেকে ঠিক করে দিতে হবে কোন ফোলডার এ ব্যাকআপ ফাইল গুলো জমা হবে।এরপর Perform Backup অপশন এ ক্লিক করলে FEBE ব্যাক আপ ফাইল তৈরী করবে।
১)Tools>FEBE>FEBE option
২)Tools>FEBE>Perform Backup
আপনার Select করে দেয়া ফোল্ডার চেক করে দেখুন Add-on গুলোর Backup ফাইল তৈরী হয়েছে।

আপনার টুইটার একাউন্ট থেকে টুইটস গুলোর ব্যাকআপ নিতে পারেন।

ব্যাকআপ নিনঃ 
আমরা এই কাজটি সম্পূর্ণ করবো  twDocs দ্বারা। এবার http://twdocs.com/ যান।
twdocs-homepage

সাইটের হোমেপেজেই লিস্ট পাবেন সব কিছুর। আপনার যা প্রয়োজন তাতে সিলেক্ট করে দেইলেই হবে। আপনার শেষ টুইট, আপনার প্রিয় টুইট সবি আপনি ব্যাকআপ নিতে পারবেন।
আর হ্যাঁ নিচে লক্ষ্য করুন। দেখুন দেখাচ্ছে আপনার টুইটস গুলো আপনি কিভাবে ব্যাকআপ নিতে চাচ্ছেন? PDF,DOC,HTML নাকি অন্যভাবে? আপনার পছন্দনুযায়ী সিলেক্ট করে দিন। আমি PDF দিয়েছি ;)
twdocs-export-latest-tweets

এখানে আমি লাস্ট ২০০ টুইটস ব্যাকআপ নিয়েছি। আপনি ১ টিও নিতে পারেন। এবার নিচথেকে GO সিলেক্ট করে দিন।
twdocs-authorize

আপনাকে লগিন অপশন দিয়ে টুইটারে লগিন করতে বলা হবে। লগিন করার পর Authorize app এর মাঝে ক্লিক করুন।
twdocs-download

কিছু সময় প্রসেসের পর মূলত সার্ভার থেকেই ডাউনলোড শুরু হয়ে যায়। যদি না হয়ে থাকে তবে “Click here” লিঙ্কে ক্লিক করুন ম্যানুয়ালি ডাউনলোড করার জন্য। এতে করে আপনার ডাউনলোড সফটওয়্যার (IDM) তা ক্যাচ করে ডাউনলোড করবে।
PDF Tweets

Pdf আকারে ব্যাকআপ করা আমার টুইটস :D । আমার টুইটস গুলো বাংলায়। তাই এরকম দেখাচ্ছে।