সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে গোটা গোটা করে লেখা থাকে, ধূমপান স্বাস্থ্যের
জন্য ক্ষতিকর। রাস্তার মোড়ে, কখনো প্রচারপত্রেও দেখা যায়, সিগারেট খেলে
কেমন করে মানুষের দেহে রোগ বাসা বাঁধে। এগুলো কিন্তু খুবই ইতিবাচক। কিন্তু
সত্যি বলতে কি, কেমন করে সিগারেট ছেড়ে দিতে হবে, এমন প্রচারণা কিন্তু
রাস্তার মোড়ে কিংবা সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে থাকে না! আসুন জেনে নিই, কেমন
করে ছাড়তে হবে সিগারেট। এ জন্য আমরা কথা বলেছি মাদকদ্রব্য ও নেশানিরোধ
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি জানান—
সিগারেট ছাড়ার জন্য প্রথমে ইচ্ছাশক্তি অর্জন করতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমাকে ছাড়তেই হবে সিগারেট।
সিগারেট ছাড়ার একটা নির্দিষ্ট দিন ধার্য করে নেওয়া যেতে পারে। দিনটা হতে পারে কোনো শুভদিন। নিজের কিংবা সন্তানের জন্মদিন। অথবা প্রথম প্রেম কিংবা পরিণয়েরও হতে পারে দিনটি। যাতে সহজে মনে রাখা যায়, এ দিনটিতেই সিগারেট ছেড়েছিলাম।
আত্মীয়-পরিজন কিংবা বন্ধুদের কাছে ঘোষণা দিয়ে ছাড়ুন সিগারেট। তাতে তাঁরাও মনে করিয়ে দিতে পারবেন, সিগারেট আর নয়।
অনেক ধূমপায়ীর বদ্ধমূল ধারণা থাকে, এত দিন ধরে যখন সিগারেট খাচ্ছি, হঠাৎ ছেড়ে দিলে হয়তো শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। সত্যি কথা হলো, পুরোটাই মানসিক। বরং যত তাড়াতাড়ি ছাড়া যাবে সিগারেট, শরীরের জন্য ততই মঙ্গল। এবারের টিপস তাঁদের জন্য—
সিগারেট হঠাৎ ছেড়ে দিলে ধূমপায়ীর কোনো ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না।
যাঁরা ২০ বছর ধরে সিগারেট খান, তাঁরা যদি আজ থেকে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেন, আজ থেকেই শুভ ফল পেতে থাকবেন।
যাঁরা বহুদিনের ধূমপায়ী, তাঁদের যত দ্রুত সম্ভব সিগারেট ছেড়ে দেওয়া উচিত।
সিগারেট ছাড়তে যত দেরি হয়, শরীরে ক্ষতির শঙ্কাও বেড়ে যায় দ্রুতগতিতে।
অনেকে সিগারেট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পানের দিকে ঝোঁকেন। কিন্তু পান-সুপারিও ক্ষতিকর।
কথা হয়েছিল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক শিশির কুমার মজুমদারের সঙ্গে। তিনি জানান,
অনেকে সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পর অস্বস্তিতে ভোগেন। তাঁরা লবঙ্গ, দারচিনি, কিংবা আদা মুখে পুরে নিতে পারেন। সিগারেটের দরকার হবে না তাতে।
যখনই সিগারেটের চাহিদা অনুভব করবেন, নিজেকে তখন জড়িয়ে নিন প্রচুর মনোযোগ দরকার হয় এমন কোন কোনো কাজে।
ধূমপায়ী বন্ধুদের এড়িয়ে চলুন। ধূমপায়ী বন্ধুদের সঙ্গে থাকবেন আবার সিগারেটও ছেড়ে দেবেন, এ পদ্ধতি একটু জটিলই।
আর মা-বাবাকেও সচেতন হতে হবে। সন্তান সিগারেটে আসক্ত হতেই পারে। তাকে তিরস্কার না করে ভালোবাসা দিয়ে এ পথ থেকে ফিরিয়ে আনুন। আপনার সন্তানও তখন হয়তো তার প্রিয় মানুষকে এ নেশার পথ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।Suvro
সিগারেট ছাড়ার জন্য প্রথমে ইচ্ছাশক্তি অর্জন করতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমাকে ছাড়তেই হবে সিগারেট।
সিগারেট ছাড়ার একটা নির্দিষ্ট দিন ধার্য করে নেওয়া যেতে পারে। দিনটা হতে পারে কোনো শুভদিন। নিজের কিংবা সন্তানের জন্মদিন। অথবা প্রথম প্রেম কিংবা পরিণয়েরও হতে পারে দিনটি। যাতে সহজে মনে রাখা যায়, এ দিনটিতেই সিগারেট ছেড়েছিলাম।
আত্মীয়-পরিজন কিংবা বন্ধুদের কাছে ঘোষণা দিয়ে ছাড়ুন সিগারেট। তাতে তাঁরাও মনে করিয়ে দিতে পারবেন, সিগারেট আর নয়।
অনেক ধূমপায়ীর বদ্ধমূল ধারণা থাকে, এত দিন ধরে যখন সিগারেট খাচ্ছি, হঠাৎ ছেড়ে দিলে হয়তো শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। সত্যি কথা হলো, পুরোটাই মানসিক। বরং যত তাড়াতাড়ি ছাড়া যাবে সিগারেট, শরীরের জন্য ততই মঙ্গল। এবারের টিপস তাঁদের জন্য—
সিগারেট হঠাৎ ছেড়ে দিলে ধূমপায়ীর কোনো ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না।
যাঁরা ২০ বছর ধরে সিগারেট খান, তাঁরা যদি আজ থেকে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেন, আজ থেকেই শুভ ফল পেতে থাকবেন।
যাঁরা বহুদিনের ধূমপায়ী, তাঁদের যত দ্রুত সম্ভব সিগারেট ছেড়ে দেওয়া উচিত।
সিগারেট ছাড়তে যত দেরি হয়, শরীরে ক্ষতির শঙ্কাও বেড়ে যায় দ্রুতগতিতে।
অনেকে সিগারেট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পানের দিকে ঝোঁকেন। কিন্তু পান-সুপারিও ক্ষতিকর।
কথা হয়েছিল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক শিশির কুমার মজুমদারের সঙ্গে। তিনি জানান,
অনেকে সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পর অস্বস্তিতে ভোগেন। তাঁরা লবঙ্গ, দারচিনি, কিংবা আদা মুখে পুরে নিতে পারেন। সিগারেটের দরকার হবে না তাতে।
যখনই সিগারেটের চাহিদা অনুভব করবেন, নিজেকে তখন জড়িয়ে নিন প্রচুর মনোযোগ দরকার হয় এমন কোন কোনো কাজে।
ধূমপায়ী বন্ধুদের এড়িয়ে চলুন। ধূমপায়ী বন্ধুদের সঙ্গে থাকবেন আবার সিগারেটও ছেড়ে দেবেন, এ পদ্ধতি একটু জটিলই।
আর মা-বাবাকেও সচেতন হতে হবে। সন্তান সিগারেটে আসক্ত হতেই পারে। তাকে তিরস্কার না করে ভালোবাসা দিয়ে এ পথ থেকে ফিরিয়ে আনুন। আপনার সন্তানও তখন হয়তো তার প্রিয় মানুষকে এ নেশার পথ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।Suvro
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন